শিরোনাম
◈ কা‌র্ডিফ সি‌টির বিরু‌দ্ধে হামজা চৌধুরীর শেফিল্ডের দুর্দান্ত জয় ◈ পা‌কিস্তান ক্রিকেট লি‌গে  সর্বোচ্চ উইকেটের ইতিহাস গড়লেন হাসান আলি ◈ আমরা একমতের জায়গাগুলো চিহ্নিত করতে পেরেছি, সেগুলো নিয়ে অগ্রসর হব: এনসিপির সঙ্গে বৈঠকে আলী রীয়াজ ◈ ‘আ.লীগের মিছিলের বিরুদ্ধে নিষ্ক্রিয়তা পেলে পুলিশের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা’ (ভিডিও) ◈ ‘রাইজ ইন রেড’ কর্মসূচি নিয়ে আবারও রাস্তায় পলিটেকনিক শিক্ষার্থীরা ◈ ‘করোনাভাইরাস চীনের ল্যাবে তৈরি’ বলছে হোয়াইট হাউসের নতুন ওয়েবসাইট  ◈ বাংলাদেশ থেকে চলতি বছর হজে যাবেন ৮৭ হাজার জন, নেওয়া হচ্ছে যেসব ব্যবস্থা ◈ একটি দলকে সরিয়ে আরেকটি দলকে বসাতে গণ-অভ্যুত্থান হয়নি: নাহিদ ইসলাম (ভিডিও) ◈ দেশের ৯ অঞ্চলে সন্ধ্যার মধ্যে ঝোড়ো বৃষ্টি হতে পারে ◈ ঢাকা বায়ুদূষণের শীর্ষে, যেসব পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের

প্রকাশিত : ১২ জুলাই, ২০২৪, ০৫:২৭ বিকাল
আপডেট : ০৬ এপ্রিল, ২০২৫, ১২:০০ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

জাতিসংঘের পূর্বাভাস, ২১০০ সালে ভারতের জনসংখ্যা হতে পারে ১৫০ কোটি, চীনের ৬৩ কোটি 

ইকবাল খান: [২] চীনকে সরিয়ে বিশ্বের সবচেয়ে জনবহুল দেশের তকমা পেয়েছে ভারত। ২০২৩ সালের জাতিসংঘের পরিসংখ্যান অনুসারে, ভারতের জনসংখ্যা ১৪২ কোটি ৮৬ লাখ। অন্য দিকে, চীনের জনসংখ্যা ১৪২ কোটি ৫৭ লাখ। 

[৩] আনন্দবাজার জানায়, বৃহস্পতিবার প্রকাশিত জাতিসংঘের একটি জনসংখ্যা সংক্রান্ত সমীক্ষায় অবশ্য দাবি করা হয়েছে, ২০৬০ সালে ভারতের জনসংখ্যাই সবচেয়ে বেশি হবে, ১৭০ কোটি। তার পরই ভারতের জনসংখ্যা ১২ শতাংশ কমবে। একবিংশ শতাব্দীর শেষে জনসংখ্যা অনেকটা কমলেও ভারতই বিশ্বের সবচেয়ে জনবহুল দেশ হতে পারে বলে পূর্বাভাস দেওয়া হচ্ছে জাতিসংঘের এই রিপোর্টে।

[৪] জাতিসংঘের ‘ওয়ার্ল্ড পপুলেশন প্রসপেক্টস ২০২৪’ নামাঙ্কিত রিপোর্ট বলছে, জনসংখ্যা কমলেও ভারতই বিশ্বের সবচেয়ে জনবহুল দেশ থাকছে। 

[৫] ওই রিপোর্ট অনুসারে, ২০২৪ সালের শেষে ভারতের সম্ভাব্য জনসংখ্যা হতে পারে ১৪৫ কোটি। চীনের জনসংখ্যা ১৪১ কোটি। 

[৬] ২০৬০ সালে ভারতের জনসংখ্যা হতে পারে ১৭০ কোটি। তবে এই সময়ের মধ্যে চীনের জনসংখ্যা ১২০ কোটির কাছাকাছি থাকতে পারে বলে পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে জাতিসংঘের রিপোর্টে।

[৭] জাতিসংঘের রিপোর্ট অনুসারে, ২১০০ সালে ভারতের জনসংখ্যা হতে পারে ১৫০ কোটি। চীনের জনসংখ্যা কমে হতে পারে ৬৩ কোটি। 

[৮] জনসংখ্যার নিরিখে ভারত এবং চীনের পরে থাকতে পারে আমেরিকা। সে দিক থেকে দেখতে গেলে জনসংখ্যা কমলেও একবিংশ শতাব্দীর শেষেও ভারত বিশ্বের সবচেয়ে জনবহুল দেশই থাকছে।

[৯] জাতিসংঘের তরফে এই রিপোর্ট প্রকাশ করেছে ‘ইউনাইটেড নেশনস ডিপার্টমেন্ট অফ ইকোনমিক অ্যান্ড সোশ্যাল অ্যাফেয়ার্স' (দেসা)-এর জনসংখ্যা সংক্রান্ত বিভাগ।

[১০] সংবাদ সংস্থা পিটিআইয়ের প্রশ্নের উত্তরে ‘দেসা’র অন্যতম জনসংখ্যা কর্মকর্তা ক্লেয়ার মেনোৎজি বলেন, “বৃহত্তর ভৌগোলিক আয়তন এবং জন্মহার কমার জন্য ২০২৪ থেকে ২০৫৪ সালের মধ্যে চীনে জনসংখ্যা ২০ কোটিরও বেশি কমতে পারে।” এই সময়ের মধ্যে জাপানে ২ কোটি, রাশিয়ায় ১ কোটি জনসংখ্যা কমতে পারে।

[১১] দীর্ঘ দিন ধরেই বিশ্বের সর্বাধিক জনবহুল দেশের তকমা পাওয়া চীন ‘এক সন্তান নীতি’র উপরে জোর দেওয়ার পরেই সে দেশে জনসংখ্যা হ্রাস পেতে থাকে। 

[১২] ছয় দশক পরে প্রথম বারের জন্য চীনের জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার শুধু থমকেই যায়নি, অস্বাভাবিক ভাবে কমতেও থাকে। 

[১৩] তথ্য বলছে, ভারতেও জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার থমকে গিয়েছে। ২০১১ সালের পর এ দেশে জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার ১.০২ শতাংশে থমকে গিয়েছে, যা আগে ছিল ১.০৭ শতাংশ। 

[১৪] এর জেরেই ২০৬০ সালের পর জনসংখ্যা কমবে এ দেশে। জনসংখ্যা হ্রাসে লাগাম পরাতে চীন বেশ কয়েক বছর ধরেই ‘এক সন্তান নীতি’ বাতিল করেছে। বরং একের বেশি সন্তান নেওয়ায় উৎসাহ দেওয়া হচ্ছে নাগরিকদের।

এসবি২

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়