ইমরুল শাহেদ: [২] সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে জোটভুক্ত দেশগুলোর নেতারা এক যৌথ বিবৃতিতে ওই ঘোষণা দেন। মঙ্গলবার ওয়াশিংটনে শুরু হওয়া ৩২ দেশের ৭৫তম ন্যাটো সম্মেলন বৃহস্পতিবার শেষ হয়েছে। ইউক্রেন-রাশিয়া এবং হামাস-ইসরায়েল যুদ্ধের আবহে অনুষ্ঠিত এই সম্মেলনকে বিশেষভাবে তাৎপর্যপূর্ণ মনে করা হচ্ছে। সূত্র: রয়টার্স
[৩] ন্যাটোর এই ঘোষণাকে স্বাগত জানিয়েছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি। একইসঙ্গে যত দ্রুত সম্ভব কিয়েভের কাছে এই সহায়তা হস্তান্তরের আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। আলজাজিরা জানিয়েছে, ইউক্রেনকে ৪৩ বিলিয়ন ডলারের সামরিক সহায়তা প্রদানের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন ন্যাটো নেতারা।
[৪] পক্ষান্তরে সম্মেলনের দিনই রাশিয়ার পক্ষ থেকে ইউক্রেনকে লক্ষ্য করে একাধিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলার ঘটনা ঘটেছে। এতে ১২ জনের বেশি নিহত হয়েছেন। এ ছাড়া কিয়েভে একটি শিশু হাসপাতালে হামলার ঘটনাও ঘটেছে, যা রাশিয়া অস্বীকার করেছে।
[৫] বার্তা সংস্থা আনাদুলু জানিয়েছে, ন্যাটোর ঘোষণায় ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ বৃহস্পতিবার বলেছেন, ন্যাটোর সংঘাতমূলক পদক্ষেপ রাশিয়াকে প্রতিক্রিয়ামূলক ব্যবস্থা নিতে প্ররোচিত করছে। সেন্ট পিটার্সবার্গে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘আমরা ব্ল্যাক সি এলাকার শহরগুলিতে লজিস্টিক হাব তৈরি এবং ইউরোপে অতিরিক্ত পয়েন্ট খোলার ন্যাটোর সিদ্ধান্ত দেখতে পাচ্ছি। ন্যাটোর সামরিক অবকাঠামো ক্রমান্বয়ে আমাদের সীমান্তের দিকে অগ্রসর হচ্ছে।’
[৬] উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেন, ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের এই সংকটময় সময়ে আগের যে কোনো সময়ের চেয়ে আরও জোরালো ভূমিকা রাখছে ন্যাটো। এই যুদ্ধে রাশিয়া নয় বরং ইউক্রেনই বিজয়ী হবে।
[৭] ন্যাটোর যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘আমরা ইউক্রেনকে অতিরিক্ত কৌশলগত বিমান প্রতিরক্ষাব্যবস্থা দিতে যাচ্ছি। এর মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র, জার্মানি ও রোমানিয়ার অতিরিক্ত প্যাট্রিয়ট ব্যাটারি; প্যাট্রিয়ট ব্যাটারিকে অপারেশনে সক্ষম করে তোলার জন্য নেদারল্যান্ডস ও অন্যান্য অংশীদারের দেওয়া প্যাট্রিয়ট উপাদান এবং ইতালির দেওয়া একটি অতিরিক্ত এসএএমপি সিস্টেম রয়েছে।’ সম্পাদনা: ইকবাল খান
এসবি২
আপনার মতামত লিখুন :