সাজ্জাদুল ইসলাম: [২] পার্লামেন্ট নির্বাচনে কোনো দলই একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা না পাওয়ায় ফ্রান্সে সরকার গঠনে অচলাবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। এ অচলাবস্থার জন্য দেশটির প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাঁক্রোর বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ করলেন উগ্র ডানপন্থী নেতা মারি লি পেন। সূত্র: রয়টার্স
[৩] ফ্রান্সের বামপন্থী জোট ও ম্যাঁক্রোর মধ্যপন্থী জোট মিলে কট্টর ডানপন্থী দলটিকে দ্বিতীয় দফার নির্বাচনে জিতে সরকার গঠন করতে দেয়নি। গত রোববারের এ নির্বাচনে বামপন্থী নিউ পপুলার ফ্রন্ট (এনএফপি) সবচেয়ে বেশি আসন পেলেও সরকার গঠনের মতো সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করতে পারেনি।
[৪] বামপন্থী, ডানপন্থী ও মধ্যপন্থী জোটের নেতারা সরকার গঠনের জন্য পরস্পরের সঙ্গে চুক্তিতে যেতে অসম্মতি জানানোয় পরিস্থিতি আরও জটিল হয়েছে। এ নির্বাচনের ফলে ভোটারদের মধ্যে রাজনৈতিক প্রভাব খাটানো নিয়ে দলগুলোর অভ্যন্তরেও নানা উদ্বেগ তৈরি হয়েছে।
[৫] লি পেন বলেন, ‘আমরা এমন একটি পরিস্থিতির মধ্যে পড়েছি, যেখানে প্রধানমন্ত্রী কোথা থেকে আসবেন বা কোন নীতি গ্রহণ করা হবে, তা কেউ বলতে পারছেন না। তিনি নির্বাচনের আগে ম্যাঁক্রোর মধ্যপন্থী জোটের সঙ্গে বামপন্থীদের চুক্তির নিন্দা করেন।
[৬] ইউরোপীয় পার্লামেন্টের (ইইউ) নির্বাচনে হারের পর পার্লামেন্ট ভেঙে দিয়েছিলেন ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ম্যাঁক্রো দ্রুত নির্বাচনের ডাক দেন। ফ্রান্সে নিজের জনপ্রিয়তা নতুন করে তৈরি করতে এ পদক্ষেপ নিয়েছিলেন। কিন্তু তিনি যা ভেবেছিলেন, বাস্তবে তা হয়নি।
[৭] সরকার গঠনের জন্য সবচেয়ে বড় সংসদীয় দলকে আহ্বান জানাতে পারেন ম্যাঁক্রো। কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতিতে সংবিধান অনুযায়ী তিনি তা করতে বাধ্য নন। বিকল্পের মধ্যে রয়েছে একটি বড় জোট গঠন করে ক্ষমতায় আসা বা একটি সংখ্যালঘু সরকার, যা অস্থায়ী চুক্তিসহ সংসদে আইন পাস করবে। সম্পাদনা: রাশিদ
আপনার মতামত লিখুন :