ইমরুল শাহেদ: [২] হামাস-ইসরায়েল যুদ্ধের ২৭৭ দিন অতিবাহিত হয়েছে। এ সময়ে এসে যুদ্ধবিরতি আলোচনা চললেও থেমে গাজায় ইসরায়েলি গণহত্যা। বুধবার গাজার সরকারি মিডিয়া অফিস জানিয়েছে, দক্ষিণ গাজার খান ইউনিসে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী। এতে সেখানের আবাসন টাউনের একটি স্কুলের বাইরে তাঁবুতে আশ্রয় নেওয়া অন্তত ২৯ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। সূত্র: আল-জাজিরা
[৩] গত চার দিনের মধ্যে চারবার স্কুল ভবনে হামলা চালালো ইসরায়েল। যেটিকে মানুষ আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহার করছে। এর আগে খান ইউনিসের কিছু অংশ থেকে ফের ফিলিস্তিনিদের সরে যাওয়ার নির্দেশ দেয় ইসরায়েল।
[৪] এদিকে হামাসও বসে থাকেনি এ সময়ে। তারা সুজাইয়া এলাকায় ইসরায়েলের চারটি মারকাবা ট্যাঙ্ক ও কয়েকটি সাজোয়া যান ধ্বংস করেছে। ইসরায়েল এ ব্যাপারে নীরব থাকলেও হামাস এই ধ্বংসের ভিডিও প্রকাশ করেছে। ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এবং সেনাবাহিনী সূত্রের বরাতে ইসরায়েলি দৈনিক ক্যালকালিস্ট জানিয়েছে, কয়েকটি দেশ ইতোমধ্যে ইসরায়েলের কাছে অস্ত্রশস্ত্র ও খুচরা যন্ত্রাংশ বিক্রি বন্ধ করে দিয়েছে।
[৫] অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি হামলায় মঙ্গলবার পর্যন্ত ৩৮ হাজার ২৪৩ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন ৮৮ হাজার ২৪৩ জন। মাসের পর মাস ইসরায়েলি হামলার কারণে গাজায় খাবার, পানি, ওষুধ ও অন্যান্য মানবিক সংকট তীব্র আকার ধারণ করেছে।
[৬] গাজায় ইসরায়েলের চলমান এমন পরিস্থিতিতে জাতিসংঘের মানবধিকার বিশ্লেষকরা বলছেন, গাজার জনগণনের ওপর দুর্ভিক্ষ চাপিয়ে দিচ্ছে ইসরায়েল। ফলে না খেয়ে মারা যাচ্ছে শিশুরা।
[৭] তাছাড়া গাজাযুদ্ধ আরও বড় পরিসরে ছড়িয়ে পড়তে পারে বলেও আশঙ্কা করা হচ্ছে। কারণ ফিলিস্তিনিদের প্রতি সমর্থন জানিয়ে ইসরায়েলে হামলা চালাচ্ছে লেবাননের সশস্ত্র সংগঠন হামাস। তাদের লক্ষ্য করে পাল্টা হামলা চালাচ্ছে ইসরায়েলি বাহিনী। সম্পাদনা: রাশিদ
আইএস/আর/একে
আপনার মতামত লিখুন :