ইকবাল খান, সালেহ্ বিপ্লব: [২.১] প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভাগ্নি, ৪১ বছর বয়সী টিউলিপ সিদ্দিক হচ্ছেন প্রথম বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ মন্ত্রী। অভিজ্ঞতার মূল্যায়ন করেই তাকে মন্ত্রিসভায় নিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার। লেবার পার্টি যখন বিরোধী দলে ছিলো, তখন নগর বিষয়ক শ্যাডো মন্ত্রী ছিলেন টিউলিপ। ফিনান্সিয়াল নিউজ
[২.২] নগরমন্ত্রী হিসেবে তিনি ফিনান্সিয়াল সার্ভিস সেক্টরের দেখভাল করবেন। গত মে মাসেই টিউলিপ ফিনান্সিয়াল টাইমসকে জানিয়েছিলেন, ব্রিটেনের বাজার নিয়ন্ত্রণকে আরো প্রতিযোগিতামূলক করা এবং প্রবৃদ্ধির প্রতিবন্ধকতা দূর করতে বেশ কিছু পদক্ষেপ নেবে লেবার পার্টি।
[৩] টিউলিপ সিদ্দিক ৪ জুলাইর নির্বাচনে টানা চতুর্থবারের মত উত্তর পশ্চিম লন্ডনের হ্যামস্টেড ও হাইগেট আসন থেকে ব্রিটিশ পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ হাউজ অব কমন্সের সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি ১৫ হাজারের ব্যবধানে হারিয়েছেন কনজারভেটিভ পার্টির ডন উইলিয়ামসকে। ব্লুমবার্গ
[৪] বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত ৫ জুলাই বাকিংহাম প্যালেস থেকে ফিরেই মন্ত্রিসভা গঠনের কাজ শুরু করেন নতুন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার। এরই মধ্যে বেশ কয়েকজনের নাম ঘোষণা করা হয়েছে। লেবার এমপি অ্যাঞ্জেলা রেনারকে উপপ্রধানমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। সেই ধারাবাহিকতায় ব্রিটেনের হ্যাম্পস্টেড অ্যান্ড হাইগেট আসন থেকে নির্বাচিত এমপি টিউলিপকে নগরমন্ত্রী করা হলো।
[৫] রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, টিউলিপ সিদ্দিক স্থলাভিষিক্ত হবেন সদ্যবিদায়ী কনজারভেটিভ সরকারের নগরমন্ত্রী বিম আফোলামির, যিনি মন্ত্রী হওয়ার আগে এইচএসবিসি ব্যাংকের কর্মকর্তা ছিলেন।
[৬] শেখ রেহানা শফিক সিদ্দিকীর দ্বিতীয় সন্তান টিউলিপ ১৯৮২ সালে লন্ডনের মিচামে সেন্ট হেলিয়ার হাসপাতালে জন্মগ্রহণ করেন। তার শৈশব ছিল বৈচিত্র্যময়। শৈশবে তিনি বাংলাদেশ, ভারত ও সিঙ্গাপুরে থেকেছেন। পরে কিশোর বয়সে লন্ডনে স্থিত হন এবং সেখানেই পড়ালেখা করেন। লন্ডনের কিংস কলেজ থেকে পলিটিকস, পলিসি ও গভর্নমেন্ট বিষয়ে তার স্নাতকোত্তর ডিগ্রি রয়েছে।
[৭] যুক্তরাজ্য সরকারের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেছেন টিউলিপ সিদ্দিক। তিনি দেশটিতে শিশু এবং প্রাথমিক বিভাগ এবং প্রাথমিক শিক্ষার ছায়ামন্ত্রী হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন। এ ছাড়া ট্রেজারি বিভাগের ছায়া অর্থনৈতিক সচিবও ছিলেন তিনি।
[৮] ডেইলি স্টার জানায়, এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত মন্ত্রিসভায় টিউলিপের স্থান পাওয়ার বিষয়টি সরকার আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করেনি।
[৯] টিউলিপ সিদ্দিক ও ক্রিস পার্সি দম্পতির দুই সন্তান। মেয়ে আজালিয়া জয় পার্সি ও ছেলে রাফায়েল মুজিব সেন্ট জন পার্সি।
[১০] টিউলিপ সিদ্দিকের বড়ভাই রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক একটি আন্তর্জাতিক সংস্থায় কর্মরত এবং আওয়ামী লীগের গবেষণা শাখা সেন্টার ফর রিসার্চ অ্যান্ড ইনফরমেশনের (সিআরআই) ট্রাস্টি। ছোট বোন আজমিনা সিদ্দিক রূপন্তি লন্ডন ভিত্তিক কন্ট্রোল রিস্কস-এর গ্লোবাল রিস্কস এনালিসিস এডিটর হিসেবে কাজ করছেন।
আপনার মতামত লিখুন :