শাহরিয়ার বিপ্লব: [২] আমেরিকার গণতন্ত্র একটি ভয়াল অন্ধকার সময় পার করছে। নির্বাচন যত ঘনিয়ে আসছে উদ্বেগ যেন বাড়ছেই। ট্রাম্প জিতলে প্রতিশোধ ও হারলে রক্তপাত করার ঘোষণা দিয়েছেন। অনেকে আশঙ্কা করছেন রাজনৈতিক নিপীড়ন বাড়বে নির্বাচনের পরে। ।
[৩] প্রশাসনিক ও রাজনৈতিক কারণে অন্য দেশে চলে যাওয়া নতুন নয়। ভিয়েতনাম যুদ্ধ বা ২০১২ সালে জর্জ ডব্লিউ বুশের পুনঃনির্বাচনের পরে অনেকে দেশ ছেড়েছেন। এমনকি ট্রাম্প একবার রসিকতা করেছিলেন যে তিনি চলে যেতে পারেন যদি বাইডেন নির্বাচিত হন।
[৪] কেন্ট ইউনিভার্সিটির মাইগ্রেশন বিশেষজ্ঞ আমান্ডা ক্লেকোভস্কি ভন কোপেনফেলস বলেন, সাধারণত যারা চলে যাওয়ার শপথ করেন তারা আসলে কমই যান। তবে এই বছর ট্রাম্প ও জো বাইডেনের বিভাজনমূলক নির্বাচনী প্রতিযোগিতার আগে ভোটারদের উদ্বেগ বিপদজনক মাত্রায় পৌঁছেছে অর্থাৎ রেড জোনে আছে। সমাজের বিভিন্ন অংশের আমেরিকানরা দেশ ছাড়তে অস্থির হয়ে আছে।
[৫] মনমাউথ ইউনিভার্সিটির কর্মকর্তারা বলেছেন, তারা বিশ্বাস করেন সাম্প্রতিক বছরগুলিতে রাজনৈতিক বিদ্বেষ সর্বোচ্চ উত্থান হয়েছে।
[৬] মার্কিন আইন প্রয়োগকারী, গোয়েন্দা সংস্থার বর্তমান ও প্রাক্তন কিছু সদস্য জেলে যাওয়া এড়াতে দেশ ছাড়ার পরিকল্পনা করছেন বলে মনে করছেন একজন প্রাক্তন এফবিআই পরিচালক।
[৭] ইন্টারন্যাশনাল লিভিং-এর একটি সাম্প্রতিক সমীক্ষায় দেখা গেছে ৬৫% পাঠক বলেছেন যে, রাজনৈতিক উদ্বেগের কারণে বিদেশের পরিকল্পনা করতে হচ্ছে।
[৮] হেনলি অ্যান্ড পার্টনার্স নামের একটি বৃহৎ বৈশ্বিক বাসস্থান ও নাগরিকত্ব উপদেষ্টা সংস্থা এই বছর রিপোর্ট করেছে যে, ধনী আমেরিকানরা রেকর্ড মাত্রায় ব্যাকআপ নাগরিকত্ব বা বিদেশে বসবাস করছে। এর ক্লায়েন্টরা ট্যাক্স ও ব্যবসায়িক কারণে রাজনৈতিক ঝুঁকিতে আছেন ।
[৯] আমেরিকানদের বিদেশে বসবাস করতে সহায়তা করে এমন আরও বেশ কয়েকটি সংস্থা বলেছে যে, কেবল রাজনৈতিক অনিশ্চয়তার জন্যেই নয় বরং ভিসা, বাড়ি, দ্বৈত নাগরিকত্ব বা বিদেশী কাজের পারমিট সুরক্ষিত করার জন্যও এই প্র্রয়াস বৃদ্ধি পাচ্ছে । সুত্র: ইউএসএ টুডে, ০৭/০৭/২০২৪। সম্পাদনা: সালেহ্ বিপ্লব
এসবি২
আপনার মতামত লিখুন :