সাজ্জাদুল ইসলাম: [২] ফ্রান্সের বামপন্থী দলগুলোর জোট রোববার অনুষ্ঠিত দ্বিতীয় দফা পার্লামেন্টে মধ্যপন্থী ও উগ্র ডানপন্থীদের টপকিয়ে অধিকাংশ আসনে জয়ী হয়েছে। তবে তারা সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়নি। এতে দেশটির রাজনীতিতে এক ধরণের অচলাবস্থা দেখা দিতে পারে। সূত্র : এপি
[৩] বাম জোটের বিশিষ্ট নেতা জিন লুক মেলেনচন ফলাফলকে স্বাগত জানিয়েছেন। তবে উগ্র ডানপন্থী দল ন্যাশনাল র্যালির সভাপতি জর্ডান বার্ডেলা রুয়েড ও ফ্রান্সের প্রধানমন্ত্রী গ্যাবরিয়ল আট্টাল বলেছেন, তারা পদত্যাগ করছেন।
[৪] ইউরোপীয় ইউনিয়নের নেতৃস্থানীয় দেশ ও অলিম্পিকের স্বাগত দেশ ফ্রান্সের রাজনৈতিক বিশৃঙ্খলা বাজার ও ফ্রান্সের অর্থনীতিকে অস্থির করে তুলতে পারে। ইউক্রেন যুদ্ধের ওপরও এর ব্যাপক প্রভাব পড়তে পারে। সেই সাথে বৈশ্বিক কূটনীতি ও ইউরোপের অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতাকেও নির্বাচনের ফল প্রভাবিত করতে পারে।
[৫] গত ৯ জুন ইউরোপীয় পার্লামেন্ট নির্বাচনে উগ্র ডানপন্থীরা ভাল করার পর প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাঁক্রো আগাম নির্বাচন আহ্বান করেন। ভোটাররা এর ব্যাখ্যা দেবে বলে আশা করেছিলেন তিনি। কিন্তু তার সে আহ্বান হিতে বিপরিত হয়েছে।
[৬] সোমবার সকালে প্রকাশিত সরকারি ফলাফলে দেখা গেছে, তিনটি প্রধান জোটের কোনটিই ৫৭৭ আসনের জাতীয় পরিষদে সরকার গঠনের জন্য প্রয়োজনীয় ২৮৯ আসন পেতে ব্যর্থ হয়েছে। ফ্রান্সের দুই কক্ষ বিশিষ্ট পার্লামেন্টের মধ্যে এটি হল অধিকতর শক্তিশালী।
[৭] বাম জোট নিউ পপুলার ফ্রন্ট এ নির্বাচনে ১৮০টি আসনে জয়ী হয়ে শীর্ষ অবস্থান লাভ করেছে। ম্যাঁক্রোর মধ্যপন্থী জোট ১৬০ আসন নিয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে আর ম্যারিন লি পেন্সএর উগ্র ডানপন্থী ন্যাশনাল র্যালি ১৪০ আসন পেয়ে তৃতীয় অবস্থান লাভ করেছে। ২০২২ সালের নির্বাচনে এ দলটি পেয়েছিল মাত্র ৮৯টি আসন।
এসআই/আইএফ
আপনার মতামত লিখুন :