ডা. তাসনিম জারা ও ডা. জাহাঙ্গীর কবিরের বিরুদ্ধে পাঠানো আইনি নোটিশ প্রত্যাহার করেছেন নোটিশদাতারা।
আজ রবিবার ব্যারিস্টার মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির পল্লব এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, সংশোধিত নোটিশ ডাকযোগে সংশ্লিষ্ট বিবাদীদের বরাবর পাঠানো হয়েছে।
এর আগে, গত ২৪ এপ্রিল একটি মানবাধিকার সংগঠন ও সুপ্রিম কোর্টের দুই আইনজীবীর পক্ষে অনলাইন প্ল্যাটফর্মে (ফেসবুক, ইউটিউব, টিকটক, লাইকি ইত্যাদি) অশ্লীল ও পর্নোগ্রাফিক ভিডিও, বিজ্ঞাপন এবং প্রচারণা বন্ধে সরকারের সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলোর কাছে আইনি নোটিশ পাঠানো হয়। নোটিশটি ডাকযোগে ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের সচিব, তথ্য ও সম্প্রচার সচিব, স্বরাষ্ট্র সচিব, আইন সচিব, বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) এবং পুলিশের মহাপরিদর্শকের কাছে পাঠানো হয়।
তবে সেই নোটিশ প্রত্যাহার করে একটি সংশোধনী নোটিশ আজ রবিবার ডাকযোগে বিবাদীদের বরাবর পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন আইনজীবী।
সংশোধিত নোটিশে বলা হয়েছে, প্রথম নোটিশের বিষয়টি বিভিন্ন অনলাইন, প্রিন্ট ও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভুলভাবে উপস্থাপিত হয়েছে। বিশেষ করে ডাক্তার তাসনিম জারার নামকে কেন্দ্র করে চটকদার সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে। নোটিশে উল্লেখ করা হয়, প্রকৃতপক্ষে ডা. তাসনিম জারাকে উদ্দেশ্য করে সরাসরি কোনো আইনি নোটিশ পাঠানো হয়নি। বরং একটি প্রসঙ্গ হিসেবে তার নাম উল্লেখ করা হয়েছিল, যা সংবাদমাধ্যমে অতিরঞ্জিতভাবে উপস্থাপিত হয়েছে। অনেকে এটি ভিন্নভাবে ব্যাখ্যা করে অনলাইনে বাণিজ্য করার অপচেষ্টা করেছেন বলে নোটিশে উল্লেখ করা হয়।
নোটিশ প্রত্যাহারের প্রসঙ্গে ব্যারিস্টার পল্লব বলেন, সম্প্রতি তাসনিম জারা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তার অবস্থান ব্যাখ্যা করে একটি বিবৃতি দেন। সেখানে তিনি জানান, তার নাম ও ছবি ব্যবহার করে অসংখ্য ভুয়া ফেসবুক আইডি ও ইউটিউব চ্যানেল প্রতারণামূলক কর্মকাণ্ড চালাচ্ছে, যা তার নিজস্ব নয়। তিনি জানান, তিনি দায়িত্বশীল অবস্থান থেকেই কাজ করে যাচ্ছেন। ডা. তাসনিম জারার এই ব্যাখ্যায় নোটিশদাতারা সন্তুষ্ট হয়েছেন এবং তার নাম সংশ্লিষ্ট নোটিশ থেকে প্রত্যাহার করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। একইসঙ্গে, ডাক্তার জাহাঙ্গীর কবিরের নামও প্রত্যাহার করে তাদের উভয়ের প্রতি আন্তরিক দুঃখ প্রকাশ করা হয়েছে।