সম্প্রতি কানাডার টরন্টো ও অন্টারিওতে পরিচালিত এক গবেষণায় উঠে এসেছে এক ভয়ঙ্কর তথ্য। ওই গবেষণায় দেখা গেছে- শিশুদের ব্যবহৃত বিছানার গদিতে এমন অনেক ক্ষতিকর রাসায়নিক আছে, যা শিশুদের মস্তিষ্কের স্বাভাবিক বিকাশ ব্যাহত করতে পারে।
গবেষকরা ৬ মাস থেকে ৪ বছর বয়সী ২৫ জন শিশুর ঘুমানোর পরিবেশ বিশ্লেষণ করে দেখেন- তাদের বিছানার চারপাশে ২০টিরও বেশি ক্ষতিকর রাসায়নিক ছড়িয়ে রয়েছে।
যে রাসায়নিকগুলো বেশি পাওয়া গেছে-
ফথালেটস (Phthalates): প্লাস্টিককে নরম ও টেকসই করতে ব্যবহৃত হয়। এটি হরমোনের ভারসাম্য নষ্ট করে এবং শিশুর শারীরিক গঠনে নেতিবাচক প্রভাব ফেলে।
ফ্লেম রিটার্ডেন্টস (Flame Retardants): আগুন ঠেকাতে ব্যবহৃত এই রাসায়নিক দীর্ঘমেয়াদে ক্যান্সার ও স্নায়ুবিক সমস্যা তৈরি করতে পারে।
ইউভি ফিল্টারস (UV Filters): সূর্যের আলো থেকে জিনিসপত্র রক্ষা করলেও এসব উপাদান মানবদেহের জন্য ক্ষতিকর।
গবেষণায় আরও দেখা গেছে- নতুন ও কমদামি গদিতেই এই রাসায়নিকের উপস্থিতি বেশি। শিশুর শরীরের উষ্ণতা ও ওজনের কারণে গদি থেকে এসব উপাদান সহজে ছড়িয়ে পড়ে।
সমাধান কী হতে পারে?
১। নিয়মিত চাদর, কাঁথা ও খেলনা ধুয়ে ফেলা।
২। বিছানায় অপ্রয়োজনীয় খেলনা বা জিনিস না রাখা।
৩। সবচেয়ে ভালো হয় যদি রাসায়নিকমুক্ত বা অর্গানিক গদি ব্যবহার করা যায়।
বিকল্প হিসেবে কী বেছে নিতে পারেন?
অর্গানিক ম্যাট্রেস: তুলা, উল বা প্রাকৃতিক ল্যাটেক্স দিয়ে তৈরি গদি যা রাসায়নিকমুক্ত হয়।
সার্টিফায়েড গদি: এই ধরনের গদি পরিবেশবান্ধব ও স্বাস্থ্যসম্মত।
ফ্লেম রিটার্ডেন্টবিহীন গদি: কিছু ব্র্যান্ড এখন এমন গদি তৈরি করে, যেগুলোতে আগুন প্রতিরোধের জন্য প্রাকৃতিক উপাদান ব্যবহার করা হয়।
সবশেষে গবেষকরা বলছেন- এই ক্ষেত্রে সচেতনতা যেমন জরুরি, তেমনি সরকারিভাবে শিশুদের ব্যবহারের পণ্যে রাসায়নিক নিয়ন্ত্রণ আরও কঠোর হওয়া দরকার।
তথ্য সূত্র - টাইমস অব ইন্ডিয়া।