শিরোনাম
◈ ইতালি প্রবাসী ফুটবলার ফাহমিদুল ইস্যুতে আজ বাফুফে সভাপতির সঙ্গে বসবেন ক্রীড়া উপদেষ্টা ◈ কোকাকোলা থেকে কোলগেট পর্যন্ত মার্কিন সব পণ্য বর্জনের ডাক উঠেছে ইউরোপজুড়ে! ◈ তারেক রহমানসহ সব আসামির খালাসের বিরুদ্ধে আপিল: ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা ◈ ঘোড়ার মাংস বিক্রি নিষিদ্ধ, হতে পারে জেল-জরিমানা! ◈ আফগানিস্তানকে শত্রু বানানোর চেষ্টা কেন, প্রশ্ন ইমরান খানের ◈ বিসিবির অর্থ আত্মসাত, পাপনের বিরুদ্ধে দুদকের অনুসন্ধান ◈ জুলাই ফাউন্ডেশনে আহতদের তালিকায় নাম অন্তর্ভুক্ত করতে গায়ে মুরগির রক্ত মেখে প্রতারণা! ◈ মার্কিন গোয়েন্দাপ্রধান তুলসী গ্যাবার্ডের বক্তব্য বাংলাদেশের জন্য কী বার্তা দিচ্ছে? ◈ ধরাছোঁয়ার বাইরে শহরের এক নীরব ঘাতক শব্দদূষণ ◈ ২৯ মার্চের ট্রেনের টিকিট বিক্রি আজ থেকেই

প্রকাশিত : ১৯ মার্চ, ২০২৫, ০৩:২২ রাত
আপডেট : ১৯ মার্চ, ২০২৫, ০১:১১ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

ঈদুল ফিতরকে কেন্দ্র করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের জরুরি নির্দেশনা

পবিত্র ঈদুল ফিতরকে কেন্দ্র করে জরুরি নির্দেশনা দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতে দেওয়া এসব নির্দেশনার মধ্যে রয়েছে সার্বক্ষণিক চিকিৎসকের উপস্থিতি, জনস্বার্থকে প্রাধান্য দিয়ে জনবলকে পর্যায়ক্রমে ছুটি, বিভাগীয় কার্যক্রম তদারকি, ওষুধ সামগ্রী মজুত, সার্বক্ষণিক অ্যাম্বুলেন্স সার্ভিস চালু রাখা।

মঙ্গলবার (১৮ মার্চ) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এক অফিস আদেশে ১৬টি নির্দেশনা দেওয়া হয়।

নির্দেশনাগুলোর মধ্যে রয়েছে-
 
জরুরি বিভাগে প্রয়োজনে অতিরিক্ত চিকিৎসক পদায়নপূর্বক সার্বক্ষণিক চিকিৎসকের উপস্থিতি নিশ্চিত করতে হবে। জরুরি বিভাগ ও লেবার রুম, ইমার্জেন্সি ওটি, ল্যাব সার্বক্ষণিক চালু রাখতে হবে। কর্মস্থলে পর্যাপ্ত জনবল ও চিকিৎসাসেবা নিশ্চিত করার জন্য ঈদের আগে ও পরে সমন্বয় করে জনবলকে পর্যায়ক্রমে ছুটি দেয়া যেতে পারে। প্রতিষ্ঠান প্রধান নিরবচ্ছিন্ন জরুরি চিকিৎসা কার্যক্রম ও জনস্বার্থকে প্রাধান্য দিয়ে ছুটি মঞ্জুর করবেন। সিভিল সার্জন, বিভাগীয় পরিচালককে অবহিত করে শুধু ঈদের ছুটিকালীন নিজ জেলার মধ্যে অতি প্রয়োজনীয় জনবল সমন্বয় করতে পারবেন। হাসপাতালের অন্তঃবিভাগ ইউনিট প্রধানরা প্রতিদিন তাদের বিভাগীয় কার্যক্রম তদারকি করবেন। মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, বিশেষায়িত হাসপাতাল, জেলা সদর হাসপাতাল ও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সসমূহে জরুরি ল্যাব, এক্স-রে সেবা সার্বক্ষণিক চালু রাখতে হবে। উপজেলা পর্যায়ে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের অনকল সেবা চালু রাখতে হবে।
 
ছুটি শুরু হওয়ার আগেই ছুটিকালীন পর্যাপ্ত ওষুধ, আইভি ফ্লুইড, কেমিক্যাল রি-এজেন্ট, সার্জিক্যাল সামগ্রী মজুত ও তাৎক্ষণিক ভাবে সরবরাহের ব্যবস্থা রাখতে হবে। এ ক্ষেত্রে স্টোরকিপার অথবা ছুটিকালীন দায়িত্বপ্রাপ্ত স্টাফ অবশ্যই নিজ জেলা ও উপজেলায় অবস্থান করবেন। অ্যাম্বুলেন্স সার্ভিস সার্বক্ষণিক চালু রাখতে হবে।

ছুটিকালীন হাসপাতালের নিরাপত্তার জন্য স্থানীয় প্রশাসন ও আইন প্রয়োগকারী সংস্থাকে আগাম চিঠি দিতে হবে। ছুটিকালীন সব স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানে অগ্নিনির্বাপণ বিষয়ক সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। প্রতিষ্ঠান প্রধান ও বিভিন্ন বিভাগের প্রধানরা ছুটিকালীন সেবা প্রদানকারী কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ করবেন এবং ঈদের দিন কুশল বিনিময় করবেন। প্রতিষ্ঠান প্রধান ছুটি নিলে অবশ্যই বিধি মোতাবেক কাউকে দায়িত্ব দিয়ে যাবেন এবং দায়িত্ব গ্রহণকারী কর্মকর্তা সব দায়িত্ব সুষ্ঠুভাবে পালন করবেন। দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তির নাম ও মোবাইল নম্বর ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করতে হবে। প্রতিষ্ঠান প্রধান ঈদের দিন রোগীদের উন্নতমানের খাবার পরিবেশন তদারকি করবেন এবং রোগীদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন।

বহির্বিভাগ একাধারে ৭২ ঘণ্টার বেশি বন্ধ রাখা যাবে না। এর ভিত্তিতে প্রতিষ্ঠান প্রধানরা নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবেন। ক. সকল বেসরকারি ক্লিনিক বা হাসপাতাল রেজিস্টার্ড চিকিৎসকের অধীন সার্বক্ষণিক জরুরি ও প্রসূতি বিভাগ খোলা রাখবে। কোনো রোগী রেফার করার আগে প্রয়োজনীয় প্রাথমিক চিকিৎসা এবং যাত্রাপথের চিকিৎসা নিশ্চিত করতে হবে। রেফার্ড রোগীদের ক্ষেত্রে অ্যাম্বুলেন্স প্রাপ্তির প্রয়োজনীয় সহযোগিতা প্রদান করতে হবে।

যে কোনো দুর্যোগ, অনাকাঙ্ক্ষিত দুর্ঘটনা সম্পর্কে স্বাস্থ্য অধিদফতরের কন্ট্রোলরুমকে তাৎক্ষণিকভাবে অবহিত করতে হবে।

 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়