ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ড্যাব), ন্যাশনাল ডক্টরস ফোরামসহ (এনডিএফ) বৈষম্যবিরোধী চিকিৎসকদের দাবির মুখে নিজের চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ বাতিলের আবেদন করেছেন ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্সেস হাসপাতালের পরিচালক অধ্যাপক কাজী দ্বীন মোহাম্মদ।
বৃহস্পতিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) সকালে তিনি স্বাস্থ্য উপদেষ্টার কাছে আবেদন পাঠান। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র তথ্য অফিসার মোহাম্মদ শাহাদাত হোসেন।
মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, পরিচালক অধ্যাপক কাজী দ্বীন মোহাম্মদের নিয়োগ ছিল চুক্তিভিত্তিক। তিনি চিঠিতে ‘দায়িত্ব পালনে অপারগতা’ প্রকাশ করে নিয়োগ বাতিলের আবেদন জানিয়েছেন। আজ সকালে চিঠিটি স্বাস্থ্য উপদেষ্টার কাছে পাঠান তিনি। তার চিঠি গ্রহণ করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়কে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশনা দিয়েছে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়।
প্রসঙ্গত, চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীদের হামলার অভিযোগে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে জাতীয় নিউরোসায়েন্স ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের চিকিৎসকেরা কর্মবিরতিতে গেছেন। হামলার ঘটনায় প্রতিষ্ঠানটির যুগ্ম পরিচালক অধ্যাপক ডা. মো. বদরুল আলম ও পরিচালক অধ্যাপক ডা. কাজী দ্বীন মোহাম্মদের অপসারণের দাবিতে পালিত হচ্ছে এ কর্মবিরতি। বৃহস্পতিবার দ্বিতীয় দিনের মতো তারা কর্মসূচি পালন করছেন। তবে এই কর্মবিরতি প্রতীকী বলে দাবি করেছেন চিকিৎসকেরা। শুধু রুটিন সার্জারি বন্ধ রেখেছেন তারা। অন্যান্য সেবা চালু আছে বলে জানিয়েছে চিকিৎসকরা।
আন্দোলনরত চিকিৎসকরা জানান, আওয়ামী লীগ সমর্থিত চিকিৎসকদের সংগঠন স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের (স্বাচীপ) নিউরোসায়েন্স হাসপাতাল শাখার প্রভাবশালী সদস্য ডা. গুরুদাস মণ্ডলকে শেখ হাসিনার পতনের পর পাবনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে বদলি করা হয়। তিনি ওই হাসপাতালের নিউরোলজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ছিলেন। চলতি সপ্তাহে তাকে পরিচালকের সুপারিশের ভিত্তিতে এই হাসপাতালে পুনরায় পদায়ন করা হয়।
বুধবার সকালে ডা. গুরুদাস মন্ডলের যোগদান ঘিরে হাসপাতাল পরিচালকের সঙ্গে চিকিৎসকদের বাগবিতণ্ডা হয়। সেখানে একপর্যায়ে আউটসোর্সিং কর্মীরা চিকিৎসকদের ওপর হামলা করেন। এতে তিন জন চিকিৎসকসহ অন্তত ১০ জন আহত হন। এর প্রতিবাদে বুধবার হাসপাতালের চিকিৎসকেরা জরুরি ও বহির্বিভাগের সেবা চালু রেখে হাসপাতালের নিয়মিত অস্ত্রোপচার বন্ধ ঘোষণা করেন ও ৩ ঘণ্টা কর্মবিরতি পালন করেন। সূত্র : বাংলা ট্রিবিউন
আপনার মতামত লিখুন :