শিরোনাম
◈ ওয়েস্ট ইন্ডিজ থেকে দেশে ফিরলো বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা ◈ বিলিয়ন পাউন্ড আত্মসাতের অভিযোগের পর টিউলিপকে সমর্থন করছেন স্টারমার ◈ সারজিস আলম বললেন এই আন্দোলন শতভাগ যৌক্তিক, চিকিৎসকদের সঙ্গে আমরাই রাজপথে নামব (ভিডিও) ◈ পুলিশ নাগরিকদের সেবার ব্যাপারে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ : ডিএমপি  ◈ কারা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে বা যোগ্য, তা নির্ধারণ করা নির্বাচন কমিশনের দায়িত্ব: বদিউল আলম মজুমদার ◈ বন্দিদের ভারতে পাঠাতেন শেখ হাসিনা: আনন্দবাজারের প্রতিবেদন ◈ ‘বঙ্গবন্ধু রেল সেতু’র নাম পরিবর্তন ◈ হাসান আরিফের মৃত্যুতে উপদেষ্টা পরিষদের শোক ◈ গত ১৫ বছর বাংলাদেশের গণমাধ্যম অনেক ক্ষেত্রে তাঁবেদারি করেছে : প্রেস সচিব  ◈ উপদেষ্টা হাসান আরিফের মৃত্যুতে সোমবার রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা

প্রকাশিত : ১৫ ডিসেম্বর, ২০২৪, ০১:২২ রাত
আপডেট : ২২ ডিসেম্বর, ২০২৪, ০৭:০০ বিকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

জানেন কি, অতিরিক্ত ফল খাওয়ার পরিণতি সম্পর্কে?

ফল আমাদের স্বাস্থ্যের জন্যে খুবই উপকারি। সুস্বাস্থ্যের জন্য প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় যেকোনো ধরনের একটি ফল অবশ্যই থাকা উচিত।

কিন্তু অনেকে ভাবেন যত বেশি পরিমাণে ফল খাওয়া হবে, ততোই শরীরের জন্য ভালো। এমনকি কেউ কেউ ডায়েটে অন্যান্য খাবারের পরিমাণ কমিয়ে আনলেও ফল খেয়ে থাকেন ইচ্ছামতো।

এবার তাঁদের জন্য রয়েছে একটি দুঃসংবাদ। কারণ চিকিৎসকদের মতে, অন্য সকল খাবারের মতো ফলফলাদিও অতিরিক্ত খেলে বিপদ! অত্যধিক ফলাহারে স্বাস্থ্যের ওপর বিরূপ প্রভাব পড়তে পারে, বিশেষ করে আমাদের যকৃত ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।

ফলের রসে থাকে ফ্রুকটোজ। দিনের পর দিন প্রয়োজনের অধিক ফল খাওয়ায় আমাদের দেহে এই ফ্রুকটোজ এসে জমা হয়। পুষ্টিবিদদের মতে, আমাদের লিভার বা যকৃত তখন সেই অতিরিক্ত ফ্রুকটোজটুকু ফ্যাট তৈরিতে ব্যয় করে। এ প্রক্রিয়াকে বলা হয় লাইপোজেনেসিস। এর ফলে যে রোগ হতে পারে চিকিৎসা বিজ্ঞানের ভাষায় তার নাম নন-অ্যালকোহলিক ফ্যাটি লিভার ডিজিজ (এনএএফএলডি)।

তবে এই মতের বিরোধিতাও করেছেন কেউ কেউ। অত্যধিক ফলাহারে লিভারের ক্ষতি হয়, এমন কোনো শক্তপোক্ত প্রমাণ এখনও হাতে আসেনি বলেই তাঁদের দাবি। তবে একে পুরোপুরি উড়িয়েও দিচ্ছেন না তারা। বরং প্রয়োজনের অতিরিক্ত ফল খেলে অন্যান্য যেসব পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হতে পারে, সে সম্পর্কে সতর্ক করেছেন।

ফাইবার এবং প্রাকৃতিক শর্করা থাকায় অতিরিক্ত ফলমূল খেলে পেট ফাঁপা, ডায়রিয়া বা কোষ্ঠকাঠিন্য দেখা দিতে পারে। এতে প্রাকৃতিক এসিড এবং চিনি থাকায় দাঁতক্ষয়ের সমস্যাও হতে পারে।

এ ছাড়া অত্যধিক চিনি রক্তে শর্করার পরিমাণকে অস্বাভাবিকভাবে বাড়িয়ে তুলতে পারে। যাদের ডায়াবেটিস, হাইপারগ্লাইসেমিয়া বা অগ্ন্যাশয়ের সমস্যা রয়েছে তাদের জন্য এটি বিপৎসংকেত!

ফলে থাকা ফ্রুক্টোজ ইনসুলিন রেজিস্ট্যান্সের জন্যও দায়ী। ইনসুলিন ঠিকমতো উৎপাদিত না হলে রক্তে শর্করার মাত্রা ঠিক থাকে না। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে সুগার লেভেল বেড়ে যায়। এতে ডায়বেটিস, স্থূলতা, বিভিন্ন পুষ্টি উপাদানের ঘাটতি দেখা দেয়।

সুতরাং কেবলমাত্র ফলভিত্তিক ডায়েটকে অন্ধভাবে অনুসরণ না করে পুষ্টিবিদের পরামর্শ অনুযায়ী ডায়েট চার্ট অনুসরণ করা উচিত, যেখানে সব খাদ্য উপাদানের সুষম বণ্টন থাকবে। তথ্যসূত্র: ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস

 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়