কথায় আছে, যার দাঁত সুন্দর তার হাসিও সুন্দর। তাছাড়া এই দাঁতের সাহায্যেই আমরা প্রতিদিন খাবার খেয়ে থাকি। তাই সুন্দর ও মজবুত দাঁতের জন্য চাই দাঁতের সঠিক যত্ন। দাঁতের সঠিক যত্নে স্বাস্থ্য অভ্যাস গড়ে তোলা সত্যিই গুরুত্বপূর্ণ।
দাঁতের যত্নের অভ্যাসে থাকতে হবে ফ্লসিং, ব্রাশিং ও মাউথওয়াশ। তবে এর সঠিক ক্রম অনুসরণ করলে আরো ভালো ফলাফল পাওয়া সম্ভব।
দাঁতের যত্নের সঠিক ক্রম : নিউ ইয়র্ক সিটির দাঁতের চিকিৎসক ডা. মাইক ওয়েই দাঁতের যত্নের একটি ক্রম অনুসরণের পরামর্শ দিয়েছেন। সেটি হলো-
১. ফ্লসিং: প্রথমে ফ্লস ব্যবহার করলে দাঁতের ফাঁক ও মাড়ির কাছ জমে থাকা খাদ্যকণা ও প্লাক সরানো সহজ হয়। যা ব্রাশ বা মাউথওয়াশে পরিষ্কার সম্ভব নয়।
২. ব্রাশিং: ফ্লসিংয়ের পরে ফ্লোরাইডযুক্ত টুথপেস্ট দিয়ে দাঁতের পৃষ্ঠ পরিষ্কার করুন। এটি ব্যাকটেরিয়া ও খাদ্যকণা দূর করে।
৩. মাউথওয়াশ: শেষ ধাপে মাউথওয়াশ ব্যবহার করে জীবাণু ধ্বংস করুন এবং শ্বাস সতেজ রাখুন।
যেসব জায়গায় ব্রাশ পৌঁছানো যায় না সেসব জায়গা পরিষ্কার করতে সাহায্য করে মাউথওয়াশ।
ডা. ওয়েই বলেন, এই ক্রমে ফ্লসিং, ব্রাশিং ও মাউথওয়াশ ব্যবহার করলে দাঁত এবং মাড়ির পুরোপুরি পরিষ্কার হওয়া নিশ্চিত করা যায়। এর ফলে মুখের স্বাস্থ্য ভালো থাকে এবং ক্যাভিটি ও মাড়ির রোগের ঝুঁকি কমাতেও সাহায্য করে। এই ক্রম দাঁতের স্বাস্থ্য রক্ষার জন্য দাঁতের চিকিৎসকদের মধ্যে প্রচলিত একটি পদ্ধতি।
বিকল্প পদ্ধতি : টেক্সাসের দাঁতের বিশেষজ্ঞ ডা. এলি ফিলিপসের মতে, ব্রাশ করার আগে মাউথওয়াশ দিয়ে মুখ ধোয়া দাঁতের অম্লতা কমাতে সহায়ক হতে পারে।
ব্রাশের পরে ফ্লস ব্যবহার করলে টুথপেস্ট দাঁতের ফাঁকে পৌঁছাতে পারে।
তিনি বলেন, লবণ পানি বা অন্য কোনো মাউথওয়াশ যেমন ক্লোরিন ডাইঅক্সাইড ব্যবহার করলে খাদ্য ও পানীয়ের অম্লতা দূর করতে সাহায্য করতে পারে এবং সেগুলোকে দাঁতের ফাঁকে ঢুকতে দেয় না।
ডা. এলি ফিলিপস পরামর্শ দিয়ে বলেন, ফ্লস করার পর মাউথওয়াশ দিয়ে কুলি করুন। গবেষণায় প্রমাণিত হয়েছে যে ফ্লসের তুলনায় পাঁচ গুণ বেশি কার্যকর হচ্ছে মাউথওয়াশ দিয়ে কয়েক সেকেন্ড কুলি করা।
সতর্কতা ও পরামর্শ : অ্যালকোহলযুক্ত মাউথওয়াশের অতিরিক্ত ব্যবহারে মুখ শুষ্ক বা জ্বালাপোড়া হতে পারে।
ফ্লসের রাসায়নিক উপাদান সম্পর্কে সচেতন থাকতে হবে। দাঁতের চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী পণ্য নির্বাচন করুন। সঠিক ক্রম অনুসরণ করলে দাঁত ও মাড়ি সুস্থ থাকে এবং ক্যাভিটি ও মাড়ির রোগের ঝুঁকি কমে। প্রতিদিন এই অভ্যাস গড়ে তুলুন এবং আপনার দাঁতের স্বাস্থ্য নিশ্চিত করুন। সূত্র : ফক্স নিউজ
আপনার মতামত লিখুন :