শীত এখনো পুরোপুরি নামেনি। তবে অনেকেরেই ফ্যান বন্ধ হয়েছে। আর এমন পরিবেশেই জেগে উঠেছে কিছু ভাইরাস। আর এ সব ভাইরাস বাচ্চাদের শরীরে আক্রমণ করতে পারে যে কোনো সময়।
যার ফলে সর্দি-কাশির ফাঁদে পড়বে তারা। আর সন্তানকে এই সমস্যা থেকে দূরে রাখতে সবার প্রথমে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। সেই সঙ্গে ওষুধের পাশাপাশি ডায়েটে রাখুন কিছু উপকারী খাবারকে জায়গা দিন। তাতেই দ্রুত সেরে উঠবে সন্তান।
চিকেন সুপ : এই সময় সন্তানকে নিয়মিত খাওয়ান চিকেন সুপ। কারণ এই খাবারে রয়েছে প্রোটিনের ভাণ্ডার। আর যেকোনো প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার বাচ্চার ইমিউনিটি বাড়ানোর কাজে একাই একশো। শুধু তাই নয়, এই খাবার নিয়মিত খেলে দেহে প্রদাহ কমে।
সেই সুবাদেও দ্রুত সর্দি-কাশি থেকে সেরে ওঠা যায়। তবে উপকার পেতে চাইলে এতে বেশি পরিমাণে তেল, মশলা দেবেন না। এই ভুলটা করলে শরীর ও স্বাস্থ্য আরো খারাপ হতে পারে।
দুধ : সন্তানকে নিয়মিত খাওয়াতে পারেন দুধ। কারণ দুধে থাকা প্রোটিন বাচ্চাদের শরীর খুব সহজেই গ্রহণ করে নেয়।
যার ফলে মেলে শক্তি। শুধু তাই নয়, এতে ভিটামিন এ, ক্যালসিয়াম থেকে শুরু করে একাধিক জরুরি ভিটামিন ও খনিজ রয়েছে। যেই কারণে দুধ খেলে অনায়াসে সর্দি-কাশি থেকে সেরে ওঠা যায়। তবে সন্তানের দুধে অ্যালার্জি থাকলে তাকে এই পানীয় খাওয়াবেন না। এই ভুল করলে পেটের হাল বিগড়ে যেতে পারে।
দই : বাচ্চারা দই খেতে ভীষণ ভালোবাসে। আর এই খাবার শরীরের জন্য অত্যন্ত উপকারী। কারণ দইতে রয়েছে ল্যাকটোব্যাসিলাসের ভাণ্ডার। যার ফলে এই খাবার খেলে অন্ত্রে ভালো ব্যাকটেরিয়ার সংখ্যা বাড়ে। আর ভালো ব্যাকটেরিয়া বৃদ্ধি পেলে সক্রিয় হয়ে ওঠে ইমিউনিটি। দ্রুত সর্দি, কাশি থেকে সেরে ওঠা যায়। তাই রোজের ডায়েটে অবশ্যই দইকে রাখুন। তাতেই সমস্যাকে কাবু করে ফেলতে পারবেন।
লেবু: শীত পড়তেই বাজারে শরবতিলেবু, কমলালেবু ভিড় করেছে। আর এ সব লেবুতে রয়েছে ভিটামিন সি-এর ভাণ্ডার। যে কারণে লেবু খেলে সক্রিয় হয়ে ওঠে ইমিউনিটি। দ্রুত সর্দি-কাশির মতো জটিল রোগের ফাঁদ এড়িয়ে চলা যায়। তাই রোজের ডায়েটে অবশ্যই লেবুকে জায়গা করে দিন। আর সন্তান যদি লেবু চিবিয়ে না খেতে চায়, তা হলে তাকে রস করে খাওয়ান। আশা করছি, এই নিয়মটা মেনে চললে উপকার মিলবে হাতেনাতে। সে দ্রুত সেরে উঠবে।
মাছ : আপনার সন্তানকে অবশ্যই সর্দি-কাশিতে মাছ খাওয়াতে হবে। কারণ মাছে রয়েছে ভিটামিন ও খনিজের ভাণ্ডার। শুধু তাই নয়, এতে প্রোটিনও রয়েছে ভরপুর পরিমাণে। যার ফলে মাছ খেলে ইমিউনিটি বাড়ে। শক্তি পায় শরীর। তবে সন্তানকে খুব বড় সাইজের মাছ খাওয়াবেন না। তাকে ২ কেজির কম ওজনের মাছই খাওয়াতে হবে। তাতেই সমস্যাকে কাবু করে ফেলতে পারবেন। এড়িয়ে চলা যাবে বহু জটিল রোগ। সূত্র : এই সময়
আপনার মতামত লিখুন :