শিরোনাম
◈ জিম্মিদের ছেড়ে দিতে চায় হামাস, যুদ্ধ সমাপ্তির জন্য পূর্ণাঙ্গ চুক্তির দাবি ◈ চট্টগ্রাম-নারায়ণগঞ্জ পাইপলাইনে জ্বালানি তেল পরিবহন শুরু মে-তে, সাশ্রয় হবে কোটি টাকা ◈ দূতাবাসের সীমাবদ্ধতা সত্ত্বেও প্রবাসীদের সেবা নিশ্চিতের নির্দেশ পররাষ্ট্র উপদেষ্টার ◈ রাজউকের সাবেক চেয়ারম্যানের স্ত্রী সহ দেশ ত্যাগে আদালতের নিষেধাজ্ঞা ◈ ভারতে সংখ্যালঘু সুরক্ষা নিয়ে বাংলাদেশের উদ্বেগ প্রত্যাখ্যান করল দিল্লি, পাল্টা দিল নজর ঘোরানোর অভিযোগ ◈ ফ্লোরিডা স্টেট ইউনিভার্সিটিতে বন্দুকধারীর গুলিতে নিহত ২, ট্রাম্প বললেন ‘বন্দুক নয়, মানুষ গুলি করে’ ◈ পাকিস্তানের খনিজ ভাণ্ডারে ট্রাম্প প্রশাসনের নজর, বিনিয়োগে বাধা নিরাপত্তা ও অবকাঠামো সংকট ◈ এবার চীনের সঙ্গে শুল্ক যুদ্ধ শেষের ইঙ্গিত ট্রাম্পের, টিকটক চুক্তি বিলম্বিত হতে পারে ◈ ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্কে স্থিতিশীলতার ইঙ্গিত, পারস্পরিক স্বার্থে অর্থনৈতিক সম্পর্ক জোরদার করার আহ্বান বিশেষজ্ঞের ◈ হার্ভার্ডে বিদেশি শিক্ষার্থী ভর্তি বন্ধের হুঁশিয়ারি

প্রকাশিত : ০৬ নভেম্বর, ২০২৪, ০৪:৩৫ দুপুর
আপডেট : ৩০ মার্চ, ২০২৫, ০৮:০০ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

গরম চায়ের সঙ্গে মুচমুচে বিস্কুট খাওয়া কি স্বাস্থ্যকর? কী বলছেন পুষ্টিবিদ

সকাল কিংবা সন্ধ্যা— চায়ের সঙ্গে ‘টা’ না হলে ঠিক জমে না? আর বাঙালির ‘টা’ মানেই হল মুড়ি, মুচমুচে বিস্কুট অথবা শিঙাড়া, চপ। এখন তো আবার চায়ের আড্ডায় শৌখিন কুকিজ়, কেক দিব্যি চলছে। গরম চায়ে বিস্কুট ডুবিয়ে না খেলে কী আর ভাল লাগে? এখন কথা হল, চায়ের সঙ্গে বিস্কুট খাওয়ার এই অভ্যাস কি ভাল? সেটা যেমন বিস্কুটই খান না কেন, তাতে শরীরে লাভ হয় নাকি ক্ষতি?

এই বিষয়ে ভারতের খ্যাতনামা পুষ্টিবিদ শম্পা চক্রবর্তী বলছেন, সকালে হোক বা সন্ধ্যায়, চায়ের সঙ্গে ভুলেও ময়দার বিস্কুট খাবেন না। কুকিজ়, কেক তো নয়ই। এখন অনেকে বলবেন, থিন অ্যারারুটের মতো আটা দিয়ে তৈরি বিস্কুটও কি ক্ষতিকর? 

এই পুষ্টিবিদ জানাচ্ছেন, থিন অ্যারারুট বা ক্রিম ক্র্যাকারের মতো বিস্কুট ততটা ক্ষতিকর নয় তবে এগুলোতেও স্বাস্থ্যকর ফ্যাট থাকে না। আর চায়ের সঙ্গে ময়দা বা আটার বিস্কুটের যুগলবন্দি শরীরেরর জন্য একেবারেই ভাল নয়। এই দুইয়ের মিলমিশ ঠিকমতো হজমই করতে পারে না পাকস্থলী। ফলে বদহজমের সমস্যা, গ্যাস-অম্বল বেড়ে যায় অনেকখানি।

বিস্কুটের আরও কিছু ক্ষতিকর দিক আছে। এই পুষ্টিবিদের কথায়, কার্বোহাইড্রেট-সমৃদ্ধ বিস্কুট যখন চায়ে ডুবিয়ে মুখে পুরছেন, তখন অনেকখানি ক্যালোরি শরীরে ঢুকছে। শুধু তা-ই নয়, বিস্কুটের অস্বাস্থ্যকর ফ্যাট শরীরে কোলেস্টেরল ও ট্রাইগ্লিসারাইডের মাত্রাও বাড়িয়ে দিচ্ছে। আর যদি দুধ-চিনি দেওয়া চায়ের সঙ্গে বিস্কুট রোজ খেতে থাকেন, তা হলে তো কথাই নেই। কোলেস্টেরলের মাত্রা বেড়ে তা হৃদ্রোগের কারণও হয়ে উঠতে পারে।

বিস্কুটে শর্করার মাত্রা খুব বেশি থাকে। তাই ডায়াবেটিসের রোগীদের তো বটেই, শরীরে অন্য কোনও অসুখ থাকলেও বিস্কুট খাওয়া এড়িয়েই চলতে হবে। বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গিয়েছে, বিস্কুটে এত বেশি চিনি থাকে যা রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়িয়ে তোলে। নোনতা বিস্কুটও সুরক্ষিত নয়। তাতে নুনের মাত্রা বেশি থাকে। পাশাপাশি গ্লুটেনের পরিমাণও অনেক বেশি থাকে। গ্লুটেনও সবচেয়ে বেশি প্রভাব ফেলে হজমের প্রক্রিয়ায়। চায়ের সঙ্গে অনেকেই টোস্ট বিস্কুট খান। সেটি আরও ক্ষতিকর। টোস্ট বিস্কুট তৈরি হয় পাউরুটি দিয়ে। আর তৈরির প্রক্রিয়াও স্বাস্থ্যসম্মত নয়। তাই এই ধরনের বিস্কুটও না খাওয়াই ভাল।

বিকল্প কী হতে পারে?

শম্পা চক্রবর্তীর পরামর্শ, চায়ের সঙ্গে একমুঠো শুকনো মুড়ি খেতে পারেন। অথবা শুকনো খোলায় ভাজা ছোলাও চলবে। চিড়ে ভাজা রাখতে পারেন হাতের কাছে। বাদামও স্বাস্থ্যকর। শুকনো ফলের সঙ্গে মিশিয়ে বাদাম খেতে পারেন। তবে একমুঠোর বেশি নয়। যা-ই খান, পরিমিতই খেতে হবে।

চেষ্টা করতে হবে দুধ-চিনি ছাড়া লিকার চা খেতে। তাও দিনে দু’বারের বেশি নয়। আদা, দারচিনি, তেজপাতা, লবঙ্গ ফুটিয়ে চা বানিয়ে খাওয়া বেশি স্বাস্থ্যকর। তার সঙ্গে একমুঠো শুকনো ফল বা ছোলা খেয়ে নিতে পারেন। 

 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়