শাহীন খন্দকার: [২] ১৭ থেকে থেকে ২৬ জুলাই পর্যন্ত এ রোগীরা ভর্তি হয়েছেন বলে জানান জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের পরিচালক অধ্যাপক ডা. গোলাম মোস্তফা। রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে নানাভাবে আহতসহ চোখের জটিলতা নিয়ে এসেছিলেন দেড় শতাধিক। এর মধ্যে ৩০৫ জনের অপারেশন হয়েছে। কোটা আন্দোলনে আহতদের মধ্যে গুলিবিদ্ধ কোন রোগী ছিলো না।
[৩] শুক্রবার পর্যন্ত ৩০৫ জনের চোখে অস্ত্রোপচার হয়েছে। ভর্তি আছে ১৩ জন। তাদের মধ্যে একাধিক ব্যক্তির অস্ত্রোপচার জটিল ছিলো। অস্ত্রোপচার করা রোগীদের মধ্যে সড়ক দুর্ঘটনা ও পারিবারিক সংঘর্ষে আহত, ছানি রোগী, জন্মগত রোগী এবং খেলাধুলা করতে গিয়ে ও মাছ ধরতে গিয়ে চোখে আঘাতপ্রাপ্তরা ছিলেন।
[৪] এক প্রশ্নের জবাবে পরিচালক বলেন, কোটা আন্দোলনে আহত হয়ে যে সব রোগী এসেছেন, এদের মধ্যে ছররা গুলিতে আহত হয়ে কোন রোগী আসেন নাই। তবে টিয়ারসেলের ধোঁয়ায় অসুস্থ হয়ে এবং ইট-পাটকেলের আঘাতে আঘাত প্রাপ্ত হয়ে অধিকাংশ রোগী এসেছেন। প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। যে ১৩ জন অপারেশনের অপেক্ষায় আছেন, তাদের চোখে ছানি অপারেশন হবে।
[৫.১] রাজধানীর আগারগাঁওয়ে অবস্থিত জাতীয় চক্ষুবিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে ১৭ই জুলাই রোগী ভর্তি ৪ জন, অপারেশন ৪ জনের। ১৮ জুলাই আউটডোরে আসেন ১৫১ জন, ভর্তি ১৪৩ জন, অপারেশন ৬৬ জনের।
[৫.২] ১৯ জুলাই রোগী আসেন ১০৩ জন, ভর্তি ৬৩ জন, অপারেশন ৯৩ জন। ২০ জুলাই আসেন ৭১ জন, ভর্তি ৫৮ এবং অপারেশন হয়েছে ৬৮ জনের। ২১ জুলাই রোগী আসেন ৬৫ জন, ভর্তি ৪০ এবং অপারেশন ২৫ জনের। ২২ জুলাই রোগী আসে ৩০ জন, ভর্তি ১০ জন আর অপারেশন হয়েছে ২২ জনের।
[৫.৩] ২৩ জুলাই রোগী এসেছেন ৫ জন, ভর্তি হয়েছেন ৫ জন এবং অপারেশন হয়েছে ১৩ জনের। ২৪ জুলাই রোগী এসেছেন ৮ জন, ভর্তি হয়েছে ৬ জন এবং অপারেশন হয়েছে ১১ জনের। ২৫ তারিখে রোগী এসেছেন ৮ জন, ভর্তি হয়েছেন ৫ জন এবং অপারেশন হয়েছে ৩ জনের।
[৬] শনিবার সরেজমিন দেখা যায়, হাসপাতাল প্রাঙ্গণ রোগী সংখ্যা বেড়েছে। সংঘর্ষ-সংঘাতের কোন রোগী দেখা যায়নি। রাজধানীর বেসরকারি একটি ইনস্টিটিউশনের পঞ্চম সেমিস্টারের শিক্ষার্থী আসিফ মাহমুদ। তিনি বলেন, বন্ধুরা মিলে বছিলা এলাকায় ক্রিকেট খেলার সময়ে বলের আঘাত লাগে। চোখে ঝাপসা দেখতে দেখতে আর কিছু বলতে পারি না। একদিন পর আজ শনিবার জ্ঞান ফেরার পর দেখি আমি চক্ষুবিজ্ঞান ইনস্টিটিউটে। চিকিৎসার পর এখন চোখে ব্যান্ডেজ আর কালো চশমা।
[৭] হাসপাতালের একজন নিরাপত্তাকর্মী বলেন, আন্দোলনে আহত রোগীরা যারা এসেছেন, তাদের মধ্যে ইট-পাটকেলের আঘাতপ্রাপ্তই বেশি। একজন নার্স জানিয়েছেন, চোখের অস্ত্রোপচার শেষে হাসপাতালে বেশি রাখার প্রয়োজন হয় না। তাদের অধিকাংশকেই বাড়িতে পাঠানো হয়। এরপর ফলোআপে যখন আসবেন তখন জানা যাবে চোখের অবস্থা। সম্পাদনা: সালেহ্ বিপ্লব
এসবি২