শিরোনাম
◈ আমাদের পরামর্শ হয়তো আর দরকার নেই, এজন্য ডাকেনি : মুজিবুল হক চুন্নু ◈ পরামর্শ ইতিবাচকভাবে নিয়েছে সরকার: বৈঠক শেষে গণফোরাম ◈ আওয়ামী লীগ সমর্থকদের প্রেসক্লাবের সামনে মারধর ◈ পলাতক পুলিশ সদস্যরা এখন ‘সন্ত্রাসী’ বিবেচিত হবে, দেখামাত্রই গ্রেফতার : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা ◈ দুই মাসে দেড় বিলিয়ন ডলার দেনা পরিশোধ করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক (ভিডিও) ◈ প্রয়োজনে সিস্টেম ভেঙে নতুন লোক বসাবো : উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ (ভিডিও) ◈ রাজনৈতিক দলের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার সংলাপ: এবারও ডাক পায়নি জাপা ◈ নেতানিয়াহুর বাসভবনে ড্রোন হামলা, বেঁচে গেলেন অল্পের জন্য ◈ সিনওয়ারের মরদেহ নিয়ে ‘দর কষাকষি’ করতে চায় ইসরায়েল ◈ ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন : সাড়ে চারশ কোটি টাকার ময়লা-বাণিজ্য হাত বদল

প্রকাশিত : ১৩ জুলাই, ২০২৪, ০৯:১০ রাত
আপডেট : ১৪ অক্টোবর, ২০২৪, ১১:০০ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

অনেক জেলা উপজেলায় সামগ্রীর ঘাটতি  

দেশে জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতির ব্যবহার কমছে

মোস্তাকিম স্বাধীন: [৩.১] মোহাম্মদ শরিফুলের বাড়ি কিশোরগঞ্জ। থাকেন ঢাকার মিরপুরের রূপনগর বস্তিতে। সংসারে ৩ মেয়ে। তার স্ত্রী বাসাবাড়িতে কাজ করেন। শরিফুল রিকশা চালিয়ে ঢাকায় সংসার চালান। তাকে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিলো, কী পদ্ধতি ব্যবহার করেন? উত্তরে মৃদু হেসে বললেন, আমি কোনো পদ্ধতি ব্যবহার করিনা। আগের চেয়ে এগুলোর দাম বেশি হয়ে গেছে। আল্লাহর ওপর ভরসা করে সংসার চালাই। 

[৩.২] শরীফুল আরো বলছিলেন, ‘গ্রামে থাকতে হাসাপাতাল থেকে  কনডম ফ্রি পাইতাম। এখানে স্বাস্থ্য ক্লিনিকে পাওয়া যায় কিন্তু দূরত্বের কারণে যাওয়া হয়না’। 

[৪] শরিফুলের মতো পরিবার পরিকল্পনার প্রতি অনীহা রয়েছে এমন মানুষের সংখ্যা প্রতিদিনই বাড়ছে। জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি নিয়ে কেবলমাত্র সচেতন ও শিক্ষিত বিবাহিতরাই ভাবছেন। অসচেতন ও নিম্নবিত্ত মানুষেরা তেমন ভাবেন না। এমনটাই বলছিলেন একটি বেসরকারি কলেজের শিক্ষক আসলাম উদ্দিন পাটোয়ারি । 

[৫] ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংখ্যা বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক মোহাম্মদ মইনুল ইসলাম বলেন, দেশের মোট জনগোষ্ঠীর বড় অংশই নারী। কিন্তু আমাদের দেশে পরিবার পরিকল্পনায় সাফল্য থাকলেও  বাল্যবিয়ে এবং কিশোরী গর্ভধারণে এখনো শীর্ষে বাংলাদেশ। জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি গ্রহণ না করার কারণে অল্প বয়সে অনাকাক্সিক্ষত গর্ভধারণের সংখ্যা বাড়ছে। তিনি বলেন, আমাদের লক্ষ্য ছিলো জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি ব্যবহারের হার ৭২ শতাংশে নিয়ে যাওয়া, কিন্তু পারিনি। ২০১৬ সাল পর্যন্ত দেশের জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচি ও পরিস্থিতি ভালো ছিলো । (সময়ের আলো) 

[৬] মাঠ পর্যায়ের স্বাস্থ্যকর্মীরা বলেছেন, দেশের জনসংখ্যাকে নিয়ন্ত্রণে রাখার ক্ষেত্রে অনেক সমস্যা রয়েছে। জেলা-উপজেলাতে জন্ম নিয়ন্ত্রণ সামগ্রীর সংকট চলছে। এমনটা চলতে থাকলে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) অর্জনে বড় বাধা আসতে পারে।

[৭] পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের পরিচালক (আইইএম ) ও লাইন ডিরেক্টর মীর সাজেদুর রহমান বলেন, পরিবার পরিকল্পনা পদ্ধতি গ্রহণের হার বৃদ্ধি ও জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার যৌক্তিক পর্যায়ে রাখা,পরিকল্পিত পরিবার গঠন এবং প্রসব পরবর্তী সেবাসহ বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে সরকার । সম্পাদনা: সালেহ্ বিপ্লব

এসবি২

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়