শিরোনাম
◈ আওয়ামী লীগ সমর্থকদের প্রেসক্লাবের সামনে মারধর ◈ পলাতক পুলিশ সদস্যরা এখন ‘সন্ত্রাসী’ বিবেচিত হবে, দেখামাত্রই গ্রেফতার : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা ◈ দুই মাসে দেড় বিলিয়ন ডলার দেনা পরিশোধ করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক (ভিডিও) ◈ প্রয়োজনে সিস্টেম ভেঙে নতুন লোক বসাবো : উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ (ভিডিও) ◈ রাজনৈতিক দলের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার সংলাপ: এবারও ডাক পায়নি জাপা ◈ নেতানিয়াহুর বাসভবনে ড্রোন হামলা, বেঁচে গেলেন অল্পের জন্য ◈ সিনওয়ারের মরদেহ নিয়ে ‘দর কষাকষি’ করতে চায় ইসরায়েল ◈ ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন : সাড়ে চারশ কোটি টাকার ময়লা-বাণিজ্য হাত বদল ◈ এবার ভয়ংকর সেই আয়নাঘর নিয়ে নিউইয়র্ক টাইমসের প্রতিবেদন ◈ নির্বাচনের সময় নিয়ে বক্তব্যের ব্যাখ্যা দিলেন আসিফ নজরুল

প্রকাশিত : ১০ জুলাই, ২০২৪, ০৭:১৭ বিকাল
আপডেট : ০৯ অক্টোবর, ২০২৪, ০১:০০ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

সারাদেশে সাপের দংশনে ৩৮ জনের মৃত্যু: স্বাস্থ্য অধিদপ্তর

শাহীন খন্দকার: [২] বাংলাদেশে চলতি বছর এখন পর্যন্ত সাপের দংশনে ৩৮ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছেন, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। বুধবার (১০জুলাই) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সভাকক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এতথ্য জানানো হয়।  

[৩] সম্প্রতি দেশব্যাপী আতঙ্ক ছড়ানো রাসেলস ভাইপার নিয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নন-কমিউনিকেবল ডিজিজ কন্ট্রোল প্রোগ্রামের লাইন ডিরেক্টর অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ রোবেদ আমিন বলেন, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ম্যানেজমেন্ট ইনফরমেশন সিস্টেমে (এমআইএস) আসা তথ্য অনুসারে ২০২৪ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে ৯ জুলাই পর্যন্ত সারাদেশে ৬১০টি সর্পদংশনের তথ্য লিপিবদ্ধ হয়েছে এবং এখন পর্যন্ত ৩৮ জনের মৃত্যু হয়েছে।

[৪] অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ রোবেদ আমিন বলেন এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি রোগী পাওয়া গেছে রাজশাহীতে। তিনি বলেন, রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে পাওয়া তথ্য অনুসারে ২০২৪ সালের জানুয়ারি থেকে এখন পর্যন্ত সর্পদংশনে মোট ৪১৬ জন রোগী ভর্তি হন।

[৫] এর মধ্যে চন্দ্রবোড়া বা রাসেলস ভাইপারে কাটার ঘটনা ১৮টি এবং অন্য বিষধর সাপে কাটার ঘটনা ৭৩টি। সাপের সংশনে আক্রান্তদের মধ্যে মোট ১১ জন রোগী মারা যান, যার মধ্যে রাসেলস ভাইপারের দংশনের কারণে মারা যান ৫ জন।

[৬] তিনি আরও বলেন, দেশে সাপের দংশনে নীতিগতভাবে একটি স্বীকৃত গুরুত্বপূর্ণ জনস্বাস্থ্য সমস্যা হিসেবে চিহ্নিত। ২০২২ সালে পরিচালিত জাতীয় জরিপ অনুযায়ী, বাংলাদেশের ৪ লাখের অধিক মানুষ সাপের দংশনের শিকার হয়। যার মধ্যে দুঃখজনকভাবে প্রায় সাড়ে সাত হাজার মানুষ মৃত্যুবরণ করেন। সাপের বিষয়ে অপর্যাপ্ত তথ্য থাকা সত্ত্বেও প্রধান ‘বিষধর' সাপের মধ্যে গোখরা, ক্রেইট, চন্দ্রবোড়া (রাসেলস ভাইপার) ও সবুজ সাপ অন্যতম। কিছু কিছু সামুদ্রিক সাপের দংশনের তথ্য আছে।

[৭] বাংলাদেশে চন্দ্রবোড়ায় অস্তিত্ব এবং এর দংশনে মৃত্যুর ইতিহাস ১৯২০ সালেই স্বীকৃত আছে। ২০১৩ সালে রামেক হাসপাতালে চন্দ্রবোড়া অথবা উলুবোড়া সাপের দংশনের প্রথম রিপোর্ট হিসেবে লিপিবদ্ধ আছে, প্রাথমিকভাবে রাজশাহী ও বরেন্দ্র অঞ্চলে এর প্রভাব বেশি দেখা গেলেও পরবর্তীতে ধীরে ধীরে চন্দ্রবোড়ার বিস্তৃতি ২৭টি জেলায় ছড়িয়েছে। ‘বিষধর, সাপের দংশনের স্বীকৃত চিকিৎসা হচ্ছে এন্টিভেনম। তাই সাপের দংশনের আতঙ্ক নয়, প্রয়োজন সচেতনতা।  সম্পাদনা: কামরুজ্জামান

এসবি২

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়