শিরোনাম
◈ ‘দেশের অর্থনীতি ছিল মানুষের ধারণার চেয়েও খারাপ অবস্থায়’ ◈ ৫৯০ কোটি টাকা লুট করতেই ফ্ল্যাটে হানা! ◈ পদত্যাগ করলেন আইসিসির প্রধান নির্বাহী অ্যালারডাইস ◈ বলিভিয়াকে হারিয়ে সুপার সিক্সে আর্জেন্টিনা ◈ দুই বিদেশি ক্রিকেটার চিটাগং কিংস মালিকের বিরুদ্ধে পারিশ্রমিক না দেয়ার অভিযোগ আনলেন ◈ আবারো রাজপথে নামতে যাচ্ছে বিএনপি! ◈ ক্রিকেটারদের পাওনা পরিশোধে দুর্বার রাজশাহীকে সময় বেধে দিলো বিসিবি ◈ শুক্রবার শুরু হচ্ছে বিশ্ব ইজতেমা, প্রথম পর্বে অংশ নিচ্ছেন ৪১ জেলার মুসল্লি ◈ সুগন্ধি চাল রফতানিতে নিষেধাজ্ঞা তুলে নিতে পারে সরকার ◈ স্টেশনে আসছেন যাত্রীরা, ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক

প্রকাশিত : ১৬ জানুয়ারী, ২০২৫, ১২:২৭ রাত
আপডেট : ২৮ জানুয়ারী, ২০২৫, ০৮:০০ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

ফেব্রুয়ারি থেকে সেন্টমার্টিন পর্যটক যাওয়া বন্ধ, হতাশায় ব্যবসায়ীরা

ফেব্রুয়ারি থেকে সেন্টমার্টিনে পর্যটক যাওয়া বন্ধ থাকবে। এতে ভরা মৌসুমে বিধিনিষেধ জারি করায় হতাশ দ্বীপের বাসিন্দারা।

এর আগে ১ ডিসেম্বর নানা জটিলতার মধ্যে কক্সবাজার নুনিয়া ছড়া জেটিঘাট থেকে সেন্টমার্টিনে একটি পর্যটকবাহী জাহাজ পৌঁছে।

সেন্টমার্টিনের হোটেল রয়েল বিচের পরিচালক জাহেদ হোসেন বলেন, নানা জটিলতায় পর্যটক মৌসুমের শুরুতে দ্বীপে পর্যটক আসেনি। এতে হোটেল-রেস্তোরাঁসহ ছোট-বড় ব্যবসায়ীরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। পরে ১ ডিসেম্বর পর্যটক দ্বীপে আসা শুরু করে। কিন্তু চাহিদা পরিমাণ ব্যবসা হচ্ছে না। বিগত বছরের পর্যটকরা এক মাস আগে থেকে হোটেলের রুম বুকিং দিয়ে রাখতেন। এখন পর্যটক সংখ্যা কমে যাওয়ায় প্রতিদিন রুম খালি থেকে যাচ্ছে। সব হোটেলে একই অবস্থা হাহাকার বিরাজ করছে। বিগত সময় অনুযায়ী ফেব্রুয়ারি বা মার্চ মাসে দ্বীপে পর্যটকদের ভরপুর হয়। কিন্তু বিধিনিষেধের কারণে দ্বীপে ফেব্রুয়ারি মাসে পর্যটক আসার সম্ভাবনা নাই বলে জানা গেছে।

সেন্টমার্টিন ইউপির ছৈয়দ আলম মেম্বার বলেন, যে পর্যটক সেন্টমার্টিনে আসছেন সেটি বিগত সময়ের তুলনায় খুব কম। দ্বীপের হোটেল-রেস্তোরাঁ ছাড়াও ছোট-বড় শুঁটকি, পান ও চায়ের দোকান, মাছ বিক্রেতা, ভ্যান ও রিকশা, টমটমচালক (অটোরিকশা) সবাই হতাশা। যেখানে আরও দুই মাস আগে দ্বীপে পর্যটক আসার কথা ছিল সেখানে দুই মাস পরে পর্যটক আসতেছে। তাও বিভিন্ন বিধিনিষেধ অনুযায়ী। সেন্টমার্টিন দ্বীপের মানুষের একমাত্র আয়ের উৎস পর্যটক ব্যবসা। দ্বীপে ৫-৬ মাস পর্যটক আসলে পুরো বছর তারা সংসারের খরচ যোগাড় হয়ে যায়। এখন মাত্র দুই মাস সময় পেয়েছেন তাও চাহিদা অনুযায়ী পর্যটক দ্বীপে আসতেছে না।

টেকনাফ উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শেখ এহসান উদ্দিন বলেন, দ্বীপে ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত পর্যটক যেতে পারবেন বলা আছে। তবে ফেব্রুয়ারিতে পর্যটক যেতে পারবে কী পারবে না সেটি সরকার সিদ্ধান্ত নিবেন। তবে পূর্বের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী জানুয়ারি পরে দ্বীপে পর্যটক যাওয়া বন্ধ থাকবে।

পরিবেশগত সংকটাপন্ন সেন্টমার্টিন দ্বীপে অনিয়ন্ত্রিত পর্যটন ও একক ব্যবহারযোগ্য প্লাস্টিকের দূষণ নিয়ন্ত্রণে পাঁচ দফা সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের বিষয়ে ২৮ অক্টোবর স্মারক জারি করে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়। অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের সম্মতি নিয়ে দ্বীপে নৌযান চলাচলের অনুমতি দেবে। ডিসেম্বর ও জানুয়ারি মাসে সেন্টমার্টিন দ্বীপে রাত্রিযাপন করা যাবে না, পর্যটকের সংখ্যা গড়ে প্রতিদিন দুই হাজারের বেশি হবে না এবং সৈকতে রাতে আলো জ্বালানো, শব্দ সৃষ্টি করা ও বারবিকিউ পার্টি করা যাবে না বলে সিদ্ধান্তে উল্লেখ করা হয়। উৎস: জাগোনিউজ২৪

 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়