টালিউডের উজ্জ্বল নক্ষত্র রিমঝিম মিত্র। গত দুই দশক ধরে বাংলা সিরিয়াল জগতকে সমৃদ্ধ করছেন তিনি। বর্তমানে তাকে দেখা যাচ্ছে নানা সিরিয়ালে। তবে অধিকাংশই তিনি ভ্যাম্পের চরিত্রে অভিনয় করছেন। অর্থাৎ খলনায়িকার চরিত্রে।
এ ধরনের চরিত্রে অভিনয় করা রিমঝিমের কাছে এক চ্যালেঞ্জের ব্যাপার। তবে আজও অবিবাহিতই থেকে গেছেন রিমঝিম। সংসার পাতেননি তিনি।
প্রিয়জন বলতেই তার মা। দক্ষিণ কলকাতার ঢাকুরিয়া অঞ্চলে বাড়ি রিমঝিমের। একটি অ্যাপার্টমেন্টে মাকে নিয়ে থাকেন রিমঝিম। সেই রিমঝিমের কাছেই একবার এসেছিল বিয়ের প্রস্তাব। এবং সেই প্রস্তাবে এসেছিল ডাকাতের থেকে।
কেবল অভিনয় নয়। অভিনেত্রী রিমঝিম দুর্দান্ত ভালো নাচেন। অভিনেত্রী মমতা শঙ্করের ব্যালেট ট্রুপে নিয়মিত নৃত্য পরিবেশন করতেন তিনি। মমতা শঙ্কর ব্যালট ট্রুপের সঙ্গে এ রাজ্যে, ও রাজ্যে নাচের অনুষ্ঠান করেছেন তিনি। তেমনই এক নাচের অনুষ্ঠান করতে ঝাড়খণ্ডে গিয়েছিলেন এই অভিনেত্রী।
শাশ্বত চট্টোপাধ্যায়ের সঞ্চালিত একটি টকশোতে এসেছিলেন তিনি। সেই টক শোতে তিনি জানিয়েছিলেন, ডাকাতের থেকে বিয়ের প্রস্তাব পেয়েছিলেন।
রিমঝিম বলেন, ‘স্টেশনে দাঁড়িয়ে ছিলাম আমরা। সামনে দেখি বেশকিছু সুদর্শন দেখতে ছেলে রয়েছে। আমাদের তখন কিশোরী বয়স। সবেমাত্র ছেলেদের দেখে মোহিত হচ্ছি। স্টেশনে দাঁড়িয়ে থাকা সেই সুপুরুষদের দেখে আমাদের মন উৎফুল্ল হয়ে ওঠে। তারপর লোডশেডিং হয় স্টেশনে। আলো ফিরতেই দেখি, ছেলেগুলো উধাও। আমরা যথারীতি ট্রেনের কামরায় উঠে পড়ি। মম মাসি, অর্থাৎ মমতা শঙ্কর তার নাচের দলের মেয়েদেরকে একসঙ্গে নিয়ে বসে ছিলেন একটি কামরায়। হঠাৎই মাঝপথে ট্রেন থেমে যায়। আমি এবং আমার এক বান্ধবী টয়লেটে গিয়েছিলাম। সেখানে গিয়ে দেখি ট্রেন থেমে গেছে। টয়লেটের বাইরে বেরিয়ে দেখি মম মাসির স্বামী এবং আমাদের নাচের দলের একজন আসছেন হন্তদন্ত হয়ে। তার মাথা থেকে গলগল করে রক্ত ঝরছে। জিজ্ঞেস করেন, ওরা আসেনি তো এখানে?’
‘তাকে দেখেই চমকে গেলাম। তিনি আমাদের এসেই জিজ্ঞেস করলেন, ‘ওরা আসেনি তো এখানে?’ আমি পাল্টা প্রশ্ন করলাম, ‘ওরা মানে কারা?’ তিনি জানালেন, ট্রেনে একদল ছেলে আমাদেরকে দেখে মোহিত হয়েছিল। তারা সবাই ডাকাত। ট্রেন থামিয়ে ডাকাতি করছিল।’
রিমঝিম আরও বলেন, ‘এসময় মম মাসির স্বামী আমাদের দুজনকে বাথরুমেই ঢুকে যেতে বলেন। বাইরে থেকে শুনতে পাই ছেলেগুলো এসে বলছে, নাচের মেয়েগুলো কোথায়। ওদের ডাক। ওদেরকে বিয়ে করব, সংসার করব।’ উৎস: যুগান্তর।