বছরের প্রথম দিন টিজার প্রকাশের মধ্যদিয়ে সিনেমার ঘোষণা দেন নির্মাতা আলোক হাসান। ‘টগর’ শিরোনামের সিনেমাতে অভিনয় করার কথা ছিল আদর আজাদ ও প্রার্থনা ফারদিন দীঘির। তবে শুটিংয়ের ঠিক মুহূর্তে আগে বদলে গেল নায়িকা। দীঘি নয়, ‘টগর’-এ দেখা যাবে পূজা চেরিকে। সম্প্রতি সিনেমার মোশন পোস্টার প্রকাশের মাধ্যমে এই ঘোষণা আসে।
দীঘিকে সরানোর কারণ হিসেবে নির্মাতা আলোক হাসান জানান, দীঘির কাজে পেশাদারিত্বের অভাব থাকায় নির্মাতাকে এই সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছে।
নির্মাতার এমন মন্তব্যে বেজায় খেপেছেন এই চিত্রনায়িকা। জানিয়েছেন, বিষয়টি শিল্পী সমিতিতে অভিযোগ আকারে জানাবেন এবং মানহানির শিকার হওয়ায় আইনি পদক্ষেপও নেবেন তিনি। নায়িকার দাবি- বাদ পড়ার কারণও নাকি জানেন না তিনি।
দীঘির এমন দাবির উত্তরও দিয়েছে ‘টগর’ সিনেমার প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান এ আর মুভি নেটওয়ার্ক। একাধিক অভিযোগ এনে প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানটি তাদের ফেসবুক পেজে লিখেছে, ‘বরং নিজের পেশাদারত্বের দিকে মনোযোগ দিলে ভালো করতেন। একটি প্রজেক্টে অনবোর্ড হওয়ার পর দিনের পর দিন পার হয়ে যায়, তিনি স্ক্রিপ্টের ফাইনাল ড্রাফট পড়ার সময় পান না। পরিচালকের ফোন, মেসেজের রিপ্লাই করতে ২৪-৪৮ ঘণ্টা পেরিয়ে যায়, কনটেন্ট প্রমোশনের সময় পান না- এমন পরিস্থিতিতে একটা প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানের করণীয় কী থাকে? একটা প্রজেক্টের শুরুতেই যদি এত অনীহা ও দায়িত্বহীনতা কাজ করে, তাহলে রিলিজের সময় কী হবে?’
আরও উল্লেখ করা হয়, ‘পরিচালক নিজে তাকে বাদ দেওয়ার বিষয়টি জানান। এরপর তিনি পরিচালককে কল করেন। তিনি দাবি করেছেন, আমরা যুক্তিসংগত কারণ দেখাতে পারিনি। অথচ তিনি বাদ পড়েছেন গত ২২ জানুয়ারি। সেদিন তিনি পরিচালকের সঙ্গে ২০ মিনিট কথা বলেছেন। শেষ পর্যন্ত আমাদের সিদ্ধান্ত মেনেও নিয়েছেন। এরপর তিনি তার কো-আর্টিস্ট আদর আজাদের সঙ্গে ৩৪ মিনিট কথা বলেছেন। তারও ঠিক এক মাস পর যখন আমরা তাকে বাদ দিয়ে মোশন পোস্টার প্রকাশ করে টগরের নায়িকার নাম ঘোষণা করলাম, এখন তিনি শিল্পী সমিতিতে অভিযোগের কথা বলছেন। মানহানির কথা বলছেন। অভিযোগ তো আমাদের করার কথা তার অপেশাদারত্বের কারণে।’
দীঘিকে পাল্টা হুমকি দিয়ে প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানটি জানায়, ‘প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান বিনিয়োগ করবে; আর্টিস্টরা যদি কাজে কমিটেড না থাকেন, তাহলে প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান যেকোনো সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা রাখে। আমরা তো শুধু অ্যানাউন্সমেন্ট টিজার শুট করেছি, বিশ্বব্যাপী সিনেমার মূল শুটিংয়ের পরও কাস্টিং পরিবর্তনের অসংখ্য নজির রয়েছে। দীঘির অপেশাদারত্বের আরেকটি নমুনা হচ্ছে, প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানের সিদ্ধান্ত মেনে নিয়ে এক মাস পর অভিযোগের হুমকি দিচ্ছেন। তিনি যদি এ বিষয়ে আর জল ঘোলা করেন, তাহলে প্রমানস্বরূপ ২২ জানুয়ারি হওয়া তার সঙ্গে টিমের দুটি কনভারসেশনের অডিও অনলাইনে আপলোড করে দেব।’