শিরোনাম
◈ শেখ হাসিনার ডক্টরেট ডিগ্রি নিয়ে অনুসন্ধান করবে দুদক ◈ একুশে পদক ২০২৫ পাচ্ছেন ১৪ ব্যক্তি ও নারী ফুটবল দল ◈ ওয়ানডে ক্রিকেটকে গুডবাই বললেন অস্ট্রেলিয়ান মার্কাস স্টয়নিস ◈ আরও ৩ রুটে চালু হচ্ছে কাউন্টার-ই টিকিটিং বাসসেবা ◈ উড়োজাহাজ ভাড়ার নামে শত শত কোটি টাকা অপচয় করেছেন হাসিনা ◈ বিপিএলের ফাইনালে যে দল বেশি শান্ত থাকবে তাদের শিরোপা জয়ের সম্ভাবনা : তামিম ◈ ভারতে বসে হাসিনা দেশে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির ষড়যন্ত্র করছে: হাফিজ উদ্দিন আহমেদ ◈ ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে ভাঙচুর ঘটনায় যে বিবৃতি দিলেন অন্তর্বর্তী সরকার ◈ ধানমন্ডি-৩২-এ ভূরিভোজের জন্য আনা হলো গরু ◈ ভারত থেকে শেখ হাসিনার অবিরাম বিবৃতির কারণেই ভাঙচুর: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন

প্রকাশিত : ০৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, ০৪:০১ দুপুর
আপডেট : ০৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, ০৭:০০ বিকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

‘দেশ ঠিকই বুঝতে পারে, কারা প্রেমিক আর কারা প্রেমিকের মতো দেখতে’

আফজাল হোসেন, দেশের একজন মেধাবী অভিনেতা। তবে এর বাইরেও তার আছে আরও কিছু পরিচয়। তিনি একাধারে নির্মাতা , চিত্রশিল্পী ও লেখক। সমাজ ও দেশের বিভিন্ন অসঙ্গতি উঠে আসে তার লেখায়। বিশেষ করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তিনি খুবই সরব থাকেন।

এই যেমন, ৬ ফেব্রুয়ারি (বৃহস্পতিবার) তিনি নিজের ফেসবুক ওয়ালে একটি লেখা শেয়ার করেছেন। সেখানে এই অভিনেতা লেখেন, ‘আমরা সবাই খুব দেশপ্রেমিক। ষোলো আনায় আমাদের সন্তুষ্টি তেমন আসে না তাই প্রমান দিতে চাই, ষোলোর উপরে আঠারো আনা দেশপ্রেমিক আমরা। পরিমান বুঝিয়ে দেবার পরও মনে উসখুস থাকে- তখন কথার খই ফুটিয়ে বোঝাতে চাই, দেশপ্রেমে আমরা কতখানি খাঁটি, নির্ভেজাল।’

এরপর তিনি লিখেছেন, “কাকে প্রমাণ দিতে চাই আমরা? কেনো হাজারটা কথা বলে কয়ে আমাদের প্রমান দেয়া লাগে? দেশটা আমার, আমি আমার মতো করে তাকে ভালোবাসি, ভালোবাসবো। কতটা, কিভাবে ভালোবাসি তা আমার ব্যাপার। আমার সঙ্গে আমার তা নিয়ে অজস্রবার বোঝাপড়া হতে পারে, হয়ও। দেশের ভালো কে কতটা চায়, তা প্রমান দিতে সকলকেই দিনরাত এতো এতো বকর বকর করতে হয়- তা কি ‘ঠাকুর ঘরে কে? আমি কলা খাইনি’ গল্পের মতো! না কি ‘খালি কলসি বাজে বেশি’- এই প্রবচনের মতো? যেটাই হোক, আমরা কেউই নির্ভেজাল নই।”

আফজাল হোসেন আরও লিখেছেন, ‘আমাদের ভালোবাসায় ত্রুটি আছে। তা থাকা দোষের নয়। বাবা-মা, সন্তানসন্ততিদের প্রতি ভালোবাসাতেও অনেক ত্রুটি থাকে। ত্রুটি থাকে স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্কেও। দোষ-গুন পাশাপাশি রয়েছে বলেই সকল সম্পর্কই দু ধারি তলোয়ারের মতো- তিক্ত এবং মধুর। জীবনে ভালো মন্দ আছে, ভালোবাসাতেও থাকবে। আমরা আয়নার সামনে দাঁড়াই- নিজেকেই দেখা যায় আয়নায়। কখনও নিজেকে ভালো লাগে, কখনও লাগেনা। তার জন্য আয়না বা নিজেকে দোষারোপ করি না কেউ। কতজন জানি, আমাদের দুটো চোখ, কান, নাকের দুইপাশ একরকম দেখতে কিন্তু মাপে কম বেশী আছে। মিল অমিল, অসঙ্গতি বহুকিছুতে রয়েছে- সব মিলিয়েই জীবন। কার কোনটা কম আর কি কি বেশী- তা নিয়ে অনেকজনের অন্তহীন মাথাব্যথা। যেনো দেশটা একটা প্রতিযোগিতার মাঠ- সবাই সে মাঠে কোমর বেঁধে নেমে পড়ে প্রমান দিতে চায়, আমার যা আছে তা তোমার চেয়ে বেশী।’

তিনি লিখেছেন, ‘মনস্তত্ত্ববিদরা এই সমস্যাকে হীনমন্যতা বলবেন। যা, যতটুকু নিজের মধ্যে আছে, তা আমাদের সন্তুষ্ট করতে পারেনা। নিজেদের প্রতি নিজেদেরই অনেক সন্দেহ- তাই যতটুকু আছে, বলে বলে তার চেয়েও অনেক বেশী আছে বোঝাতে হয়। কেনো এই বোঝাতে চাওয়া? কেউ কারও মালিক নয়। কারও অধীনস্ত নই কেউ। কেউ কাউকে খাওয়ায় পরায় না। নিজেরটা খেয়ে পরে, নিজের বিশ্বাস মাফিক চলে বলে, আরেকজনকে কেনো কৈফিয়ত দিতে হবে বলে ভাবি?’

অভিনেতা আরও লিখেছেন, ‘কৈফিয়ত আমরা দেই। আমাদের দিতে হয় কারণ অধিকাংশজনই ভান ভালবাসি। আমরা অনেককাল যাবৎ মনে আর মুখে এক নই, তাই নিজেদের উপর নিজেদের বিশ্বাস পোক্ত হতে পারেনি। হাল্কা পলকা বিশ্বাসী মন প্রমাণ দিতে চায়, নিত্যই বক বক করে বোঝাতে চায়- আমার কম নেই, আছে তোমার চেয়েও বেশী। এ দেশে কে কিসে কম বা একে অন্যের ভুল ধরতে তারাই ওঁত পেতে থাকে, যারা নিজেরাই শূন্য। নিজেরা নিজেদের প্রতি যারা আস্থাহীন। শূন্যের আগে সংখ্যা যোগ করতে আস্থাহীন মানুষেরা গলা চড়িয়ে অন্যকে দোষারোপ করে। অপরকে দোষারোপ করেই জাহির করতে হয় নিজের প্রেম। দেশ ঠিকই বুঝতে পারে, কারা প্রেমিক আর কারা কারা প্রেমিকের মতো দেখতে- বলে কয়ে প্রেমিক।

বলা প্রয়োজন, দেশের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়েই যে তিনি  কথাগুলো লিখেছেন, সেটা তার লেখা থেকেই সুস্পষ্ট।

 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়