নাম তাঁর ভজন সিং রানা। এতদিন লোকে তাঁকে শুধু অটোচালক হিসেবেই চিনতেন। কিন্তু গত বুধবার রাতে রক্তাক্ত সাইফকে হাসপাতালে পৌঁছে খান পরিবারের কাছে তিনি সুপারহিরো; জীবনদাতা।
আর মঙ্গলবার (২১ জানুয়ারি) হাসপাতালে যখন সাইফকে দেখতে গেলেন জীবনদাতা অটোচালক ভজন, তখন দূরে ঠেলে রাখলেন না সাইফ। কাছে টেনে জড়িয়ে ধরলেন। শুধুই কি তাই, আড্ডা দিলেন বেশ কিছুক্ষণ। আর সাইফের মা শর্মিলা ঠাকুর কাছে ডাকলেন ভজনকে। মাথায় হাত বুলিয়ে করলেন আশীর্বাদ।
ভারতীয় গণমাধ্যমে এসেছে সে রাতের ভয়াবহতার কথা। অটোচালক ভজন জানান, তিনি প্রথমে চিনতে পারেননি আহতকে। পরে আহত সাইফই জানান, তিনি অভিনেতা সাইফ আলি খান। তারপর একছুটে অটো গিয়ে দাঁড়ায় লীলাবতী হাসপাতালে। চিকিৎসকরা তখনই জানিয়ে ছিলেন, সাইফকে দ্রুত আনার কারণে চিকিৎসায় সাহায্য হয়েছে।
প্রথমে শোনা গিয়েছিল, সেদিন রাতের জন্য অটোচালককে নাকি কোনো অটো ভাড়াই দেননি সাইফ। তবে পরে অটোচালক নিজেই জানিয়ে ছিলেন সাইফের পরিবারের থেকে ১১ হাজার রুপি পেয়েছেন তিনি।
সাইফের স্বাস্থ্য নিয়ে স্বাভাবিকভাবেই দুশ্চিন্তায় ছিলেন খান পরিবারসহ অনুরাগীরা। সেই চিন্তা দূর করতেই বাড়িতে ঢোকার মুখেই গতকাল সংবাদমাধ্যমের ক্যামেরার সামনেই হাত তুলে সাইফ বুঝিয়ে দেন তিনি একেবারে সুস্থ। সাদা শার্ট, ডেনিম জিনস, চোখে রোদচশমায় সাইফকে দেখা গেল একেবারে নবাবী মেজাজে। ছোটা নবাবকে দেখে একেবারে বোঝাই যাচ্ছিল না যে, ঠিক পাঁচদিন আগেই তাঁর ওপর দিয়ে এমন ঝড় বয়ে গেছে।
সাইফকে পর্যবেক্ষণে রেখেছে চিকিৎসকরা। আগামী দু’মাস তাঁর চিকিৎসা চলবে। থাকতে হবে পুরোপুরি বিশ্রামে। সূত্র: হিন্দুস্তান টাইমস
আপনার মতামত লিখুন :