সাইফ আলী খানের ওপর হামলায় নড়েচড়ে বসেছে ভারতীয় প্রশাসন। জারি রয়েছে তাদের চিরুনি অভিযান। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে কাজ হারাতে হয়েছে বেশ কয়েকজন নিরপরাধ লোককে। পাশাপাশি আরও বেশকিছু তথ্য বেরিয়ে এসেছে হামলাকারী শরীফুল ইসলাম সম্পর্কে।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মুম্বাই পুলিশের তরফে আগেই জানানো হয়েছিল, বৈধ নথিপত্র ছাড়া ভারতে বসবাসকারী শরিফুল গত পাঁচ মাস ধরে মুম্বাইয়ের বিভিন্ন সংস্থায় কাজ করছিলেন। ওরলি এবং ঠাণে এলাকার দু’টি রেস্তরাঁ-পাব ও হোটেলের কথা জানতে পারে পুলিশ। গেল শনিবার সেখানে হানা দেয় তারা। এরপর ওই রেস্তরাঁ দুটি থেকে সরিয়ে দেওয়া হয় তাদের পুরনো সমস্ত সাফাইকর্মীকে।
জানা গেছে, এর আগেও অপরাধকর্মে নাম উঠেছিল শরীফুলের। ওরলির একটি রেস্তোরাঁয় কাজের সময় তার বিরুদ্ধে উঠেছিল চুরির অভিযোগ। এ কারণে গত অগস্টে চাকরিও যায় তার।
এদিকে শরীফুলের কারণে কাজ হারিয়েছেন রেস্তোরাঁয় কর্মী সরবরাহের কাজে নিয়োজিত ঠিকাদার। রেস্তোরাঁর ম্যানেজার জানান, যে ঠিকাদারের কাছ থেকে তারা কর্মী ভাড়া করেন সেই ঠিকাদারকেও বরখাস্ত করেছেন। পাশাপাশি ওই ঠিকাদারের মাধ্যমে নিযুক্ত সব কর্মীকে বরখাস্ত করা হয়েছে। কারণ তারা জানতে পেরেছেন চুরির অভিযোগে শরিফুলকে বরখাস্ত করার পরও ওই ঠিকাদার তাকে কর্মী আবাসনে থাকার অনুমতি দিয়েছিলেন।
ম্যানেজার বলেন, “আমরা সাধারণত কোনো ঠিকাদারের কাছ থেকেই কর্মী ভাড়া করে থাকি। ফলে কর্মীদের সততা এবং বিশ্বস্ততার দিকটি খতিয়ে দেখার দায়িত্ব ঠিকাদারেরই। পুলিশের তদন্ত শুরু হওয়ার পর গাফিলতি স্পষ্ট হয়েছে। আমরা ওই ঠিকাদারকেও সরিয়ে দিয়েছি।”
এদিকে ওরলি থেকে কাজ হারানোর পর শরীফুল কাজ নেন ঠাণে এলাকায়। ১৫ সেপ্টেম্বর-১৫ই ডিসেম্বর পর্যন্ত কাজ করেন সেখানে। তবে ওই রেস্তোরাঁ থাকাকালীন তার বিরুদ্ধে কোনো অপরাধমূলক কাজের সঙ্গে যুক্ত হওয়ার অভিযোগ নেই বলে জানান রেস্তোরাঁর ম্যানেজার।
গেল বুধবার দিবাগত রাত ২টার দিকে সইফের বাড়িতে হানা দেন শরীফুল। সাইফকে ছুরি দিয়ে একের পর এক আঘাত করেন তিনি। এরপর জখম অভিনেতাকে ভর্তি করানো হয় মুম্বাইয়ের লীলাবতী হাসপাতালে।