শিরোনাম
◈ কাতারে পৌঁছেছেন ড. ইউনূস, পেলেন লালগালিচা সংবর্ধনা ◈ স্বাস্থ্য উপদেষ্টার এপিএসকেও সরিয়ে দেওয়া হলো ◈ নকশা না মেনে গড়ে ওঠা রাজধানীর ৩ হাজার ৩৮২ ভবন ভাঙা হবে: রাজউক চেয়ারম্যান ◈ যেসকল সেবা মেলে না এনআইডি লক হলে ◈ মেজর সিনহা হত্যা মামলায় ডেথ রেফারেন্স অগ্রাধিকার ভিত্তিতে নিষ্পত্তির সিদ্ধান্ত ◈ সাংবাদিকের করা এক প্রশ্নে বাংলাদেশি নই বলা টিউলিপ বাংলাদেশের এনআইডি-পাসপোর্টধারী ◈ আর্থিক প্রতিষ্ঠানে এসি চালানো নিয়ে নতুন নির্দেশনা ◈ গাজী সালাউদ্দিন তানভীরকে দুই অভিযোগ ওঠার পর সাময়িক অব্যাহতি দিল এনসিপি ◈ আবারও স্বর্ণের দামে নতুন ইতিহাস, দেশে ভরিতে কত বাড়লো? ◈ বিদেশি বিনিয়োগকারীদের নিরাপত্তায় হটলাইন

প্রকাশিত : ২১ অক্টোবর, ২০২৪, ০২:১৬ রাত
আপডেট : ১৭ এপ্রিল, ২০২৫, ০৬:০০ বিকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

হরিণ শিকারের কারণেই বিষ্ণোই হয়ে উঠেছেন সালমান খানের প্রধান শত্রু

চলতি বছরের শুরুতেই সালমান খানকে খুনের চেষ্টা হয়। অভিনেতার বাড়ির সামনে গুলি চলে। এরপর গত সপ্তাহে সালমানের ঘনিষ্ঠ এনসিপি নেতা বাবা সিদ্দিকিকে গুলি করে খুন করে বিষ্ণোই গ্যাং। এবার ফের খুনের হুমকি।

বলিউডের ‘দাবাং’ অভিনেতা সলমন খান। তিনি কিছু বললে বা করলেই খবর হয়। তবে এবার তাঁর খবরে থাকার কারণটা অন্য। জেল থেকে আবারও সলমন খানকে খুনের হুমকি দিয়েছেন গ্যাংস্টার লরেন্স বিষ্ণোই। বিষয়টিকে যথেষ্ট গুরুতর বলে মনে করছে পুলিশ।

এত কিছু ঘটছে একটি কৃষ্ণসার হরিণের জন্য। ১৯৯৮ সালে ‘হাম সাথ সাথ হ্যায়’-এর শ্যুটিং চলাকালীন সালমান খানের বিরুদ্ধে কৃষ্ণসার হরিণ শিকারের অভিযোগ উঠেছিল। এই নিয়ে মামলাও হয়। দীর্ঘদিন ধরে চলে মামলা। শেষ পর্যন্ত অবশ্য যোধপুর আদালতে রেহাই পান তিনি। বেকসুর খালাস করা হয় সালমানকে। কিন্তু এই রায়ে লরেন্স বিষ্ণোই সন্তুষ্ট হননি। বিষ্ণোই সম্প্রদায় কৃষ্ণসার হরিণকে ঈশ্বরের সমতুল্য মনে করেন। তাই সালমান তাঁর শত্রু।

কৃষ্ণসার বিরল প্রজাতির হরিণ। কালোবাজারে এর ব্যাপক চাহিদা। ফলে দামও অনেক। ভারতে কৃষ্ণসার হরিণ শিকার সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। কিন্তু শিকারিরা লুকিয়ে চুরিয়ে শিকার করে। এমনকী কালোবাজারে বিক্রিও হয়। কৃষ্ণসার হরিণের শরীরের প্রতিটা অংশ তো বটেই, মাংসেরও আন্তর্জাতিক বাজারে ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। রেস্তোরাঁয় কৃষ্ণসার হরিণের মাংস বিপুল দামে বিক্রি হয়।

ওষুধ-সহ অন্যান্য জিনিস তৈরি হয় শরীরের বাকি অংশ থেকে। কালোবাজারে কৃষ্ণসার হরিণের মাথা আর সিংয়ের চাহিদা সবচেয়ে বেশি। বাড়ির ড্রয়িং রুমে শিং সমেত মাথা স্টাফ করে সাজিয়ে রাখা হয়। ধনী ব্যক্তিদের কাছে এটা স্ট্যাটাস সিম্বল। শিং, নখ ও দাঁত দিয়ে বিভিন্ন ধরণের ওষুধ ও অন্যান্য সামগ্রী তৈরি করা হয়। সোজা কথায়, নিরীহ এই প্রাণীর শরীরের প্রতিটা অংশ দিয়েই হয় কিছু তৈরি হয়। নয়ত ঘর সাজানোর কাজে লাগে।

কালোবাজারে একটি কৃষ্ণসার হরিণের দাম ১৫ থেকে ২০ লাখ টাকা। শুধু শিং সমেত মাথা ১০ থেকে ১৫ লাখ টাকায় বিক্রি হয়। এই কারণে মাঝেমধ্যেই কৃষ্ণসার হরিণ পাচারের খবর সামনে আসে। এদের বাঁচানো বন বিভাগের কাছেও বড় চ্যালেঞ্জ। এছাড়া কৃষ্ণসার হরিণের মাংসও হাজার হাজার টাকা কেজিতে বিক্রি হয়। রেস্তোরাঁয় রান্নার পর তা ১০ গুণ দামে পরিবেশন করা হয়। উৎস: বাংলানিউজ১৮

 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়