শিরোনাম

প্রকাশিত : ০৩ অক্টোবর, ২০২৪, ০৫:৩০ বিকাল
আপডেট : ২০ ডিসেম্বর, ২০২৪, ০৫:০০ বিকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

১৫ বছর যে কারণে নিষিদ্ধ ছিলেন কণ্ঠশিল্পী ফেরদৌস আরা

দেশের জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী ফেরদৌস আরা। ক্যারিয়ারে অসংখ্য গান উপহার দিয়েছেন তিনি। তবে হঠাৎ করেই ১৫ বছর আগে বাংলাদেশ টেলিভিশন (বিটিভি) ও বাংলাদেশ বেতারে পারফর্ম করতে নিষিদ্ধ হন তিনি। এমনকি কোনো অনুষ্ঠানেও অংশ নিতে পারেননি এই গায়িকা।

জানা গেছে, ভিন্নমতের হওয়ায় বিগত সরকারের আমলে অনেক শিল্পীই সেই কালো তালিকাভুক্ত ছিলেন। রাষ্ট্রীয় বেতার ও টিভি চ্যানেলে কোন কোন শিল্পী পরিবেশন করতে পারবেন, আর কে কে পারবেন না— তা ছিল একটি অঘোষিত তালিকা। এমনকি একটি ‘কালো তালিকা’-ও ছিল। সেই কালো তালিকায় নাম ছিল ফেরদৌস আরার।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে তোপের মুখে পড়ে গত ৫ আগস্ট প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করে ভারতে পালিয়ে যান শেখ হাসিনা। এরপর রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর আবারও বিটিভি ও বেতারের অনুষ্ঠানে অংশ নেওয়ার সুযোগ পেয়েছেন এই গায়িকা।

সম্প্রতি দেশের একটি গণমাধ্যমে বিষয়টি নিয়ে কথা বলেছেন ফেরদৌস আরা। তিনি বলেন, দীর্ঘ ১৫ বছর পর আবারও আমাদের প্রাণের প্রতিষ্ঠান বিটিভিতে গাইতে পেরে ভীষণ ভালো লাগছে। শিল্পী তৈরিতে এ প্রতিষ্ঠানটির ভূমিকা বর্ণনাতীত। কিন্তু কী কারণে আমাকে দীর্ঘদিন কোনো অনুষ্ঠানে ডাকা হয়নি জানি না। শুনেছি অনেক শিল্পী রাজনীতি করার কারণে বিটিভি-বেতারে নিষিদ্ধ ছিলেন। কিন্তু আমি তো রাজনীতি করি না। আমাকে কেন এত বছর বঞ্চিত করা হয়েছে?

বিএনপি সরকারের আমলে সচিব হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে ছিলেন ফেরদৌস আরার স্বামী ড. রফিকুল মুহাম্মদ। বিগত সরকারের ধারণা ছিল— রাজনৈতিকভাবে বিএনপিপন্থি ও দলটির অনুগতর তারা। মূলত এ কারণে ফেরদৌস আরাকে রাষ্ট্রীয় মাধ্যমে গান করতে দেওয়া হতো না বলে ধারণা অনেকের।

বিষয়টি নিয়ে আক্ষেপ করে গায়িকা বলেন, আমার স্বামীর চাকরির কারণে যদি এমনটি হয়ে থাকে, সেটি কি কোনো যুক্তির কথা? আমার স্বামী কোনো রাজনীতি করতেন না। এ কোন দেশে বাস করি আমরা? শিল্পী তো নির্দিষ্ট কোনো দলের হতে পারে না। শিল্পী সবার— সব মানুষের জন্য গান করে। উৎস: আরটিভি অনলাইন।

 

 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়