শিরোনাম
◈ কোচ গি‌লে‌স্পি ও পা‌কিস্তান ক্রিকেট বো‌র্ডের দ্বন্দ্ব আইসিসি পর্যন্ত গড়ালো ◈ ভারতে রাজনৈতিক প্রতীক হয়ে উঠছে ব্যাগ: প্রিয়াঙ্কার ‘সহানুভূতি’র পাল্টা বাঁশুরির ‘দুর্নীতি’র বার্তা ◈ সড়কে ময়লা ফেলে তীব্র যানজট; বকেয়া বেতনের দাবিতে পরিচ্ছন্নতা কর্মীদের আন্দোলন ◈ আওয়ামী লীগের ব্যানারে মিছিলের প্রস্তুতি, বিএনপি নেতার ছেলেসহ আটক ৮ ◈ দুবাই বিমানবন্দর থেকে জনপ্রিয় পাকিস্তানি টিকটকার গ্রেপ্তার ◈ বাংলাদেশ থেকে সৈন্য নেবে কাতার, এলএনজি চুক্তি বাড়ানোর উদ্যোগেও আগ্রহ ◈ পোপ ফ্রান্সিসের মৃত্যুতে ‌লিও‌নেল মেসির আবেগঘন বার্তা ◈ বাংলাদেশ এখন এমন এক অবস্থায় দাঁড়িয়ে, যেখানে একটি নতুন সামাজিক চুক্তি করার সুযোগ এসেছে : প্রধান উপদেষ্টা  ◈ সংস্কার আলোচনা: প্রতিটি বিষয়ে মুহাম্মদ ইউনূস দিকনির্দেশনা দিচ্ছেন, জানালেন আলী রীয়াজ ◈ হাসিনার সম্মানসূচক ডিগ্রি বাতিল করবে অস্ট্রেলিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়

প্রকাশিত : ০৩ আগস্ট, ২০২৪, ০৯:৪৮ রাত
আপডেট : ২৯ মার্চ, ২০২৫, ০৫:০০ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

কলকাতার উৎসবে ‘দ্যা লক্ষণ দাস সার্কাস’

শিমুল চৌধুরী ধ্রুব: [২] সরকারি অনুদানে নির্মিত দেশের প্রামাণ্যচিত্র ‘দ্যা লক্ষণ দাস সার্কাস’। ভারতের কলকাতায় অনুষ্ঠিতব্য ১৩তম ইন্টারন্যাশনাল কলকাতা শর্টফিল্ম ফেস্টিভ্যালে প্রদর্শিত হবে এটি। রোববার (৪ আগস্ট) দেখা যাবে ঝুমুর আসমা জুঁই পরিচালিত এই প্রামাণ্যচিত্র। 

[৩] জানা যায়, বিলুপ্তপ্রায় সার্কাস শিল্পকে বাঁচিয়ে রাখার প্রয়াসে নির্মিত হয়েছে দ্য লক্ষণ দাস সার্কাস। ১৯৪৭ সালের দিকে একটি সার্কাসের দল গঠন করেন শ্রী লক্ষণ দাস, যা ‘দ্য রয়েল পাকিস্তান সার্কাস’ নামে পরিচিতি পায়। তিনি যখন খেলা দেখাতেন, তখন দূর-দূরান্ত থেকে মানুষ তা দেখতে আসতেন। একাত্তরে স্বাধীনতা সংগ্রাম শুরু হলে মুক্তিযোদ্ধাদের সাহায্য-সহযোগিতা করতেন লক্ষণ দাস। এক পর্যায়ে পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর গুলিতে নিহত তিনি। সমাপ্ত হয় এক মহান সার্কাস শিল্পীর জীবন। এমনকি তার আদরের হাতিটাকেও পাঁচটা গুলি করে পাকসেনা।

[৪] দেশ স্বাধীনের পর লক্ষণ দাসের দুই ছেলে শ্রী অরুণ দাস ও শ্রী বীরেন দাস আবারও দল গঠন করেন। যার নাম দেয়া হয় ‘দ্য রয়েল বেঙ্গল সার্কাস’ ও ‘দ্যা লক্ষণ দাস সার্কাস’। গত ৬০ বছর ধরে কোনো প্রাপ্তির আশা না করে, দেশের বিভিন্ন প্রান্তে মানুষকে বিনোদন দিয়ে আসছেন তারা। সার্কাসের ছেলে-মেয়েদের সঙ্গে নিয়ে চালিয়ে যাচ্ছেন কঠিন সংগ্রাম। 

[৫] জানা যায়, এই দলের ছিল তিনটি নৌকা। একসময় প্রতিটি নৌকায় ৭০ থেকে ৮০ জন শিল্পী অবস্থান করতেন। বিভিন্ন গ্রামে গ্রামে হত সার্কাস প্রদর্শনী। কিন্তু বর্তমানে সার্কাসের কোনো শো নেই বললেই চলে।

[৬] অরুণ দাস বলেন, ‘সমস্যা হচ্ছে সার্কাসের জন্য অনুমতি পাওয়া। আর এত বড় আয়োজন অনুমতি ছাড়া করা সম্ভব না। সার্কাস শিল্পকে বাঁচিয়ে রাখতে আজীবন সংগ্রাম করে যাওয়া মানুষগুলোর পাশে থাকাই এই প্রামাণ্য চলচ্চিত্রটির মূল উদ্দেশ্য।’

[৭] তিনি আরও বলেন, ‘বিলুপ্তপ্রায় এই শিল্পটিকে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য বাঁচিয়ে রাখা খুব জরুরি। এই শিল্পকে সংরক্ষণ করতে দ্য লক্ষণ দাস সার্কাসের মতো আরও প্রামাণ্যচিত্র নির্মাণ এখন সময়ের দাবি।’

[৮] এর আগে দিল্লির ১৪তম দাদা সাহেব ফালকে চলচ্চিত্র উৎসবে বিশেষ সম্মাননা অর্জন করেছিল দ্য লক্ষণ দাস সার্কাস চলচ্চিত্রটি। সম্পাদনা: কামরুজ্জামান

এসসিডি/কে/এনএইচ

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়