শিমুল চৌধুরী ধ্রুব: [২] কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই। যা নিয়ে আমরা কমবেশি সকলেই অবগত। কী না করা যায় এআই দিয়ে? মানুষের চেহারাও তৈরি করা এআই এর কাছে এখন এক তুরির কাজ। কিন্তু, এআইকে ব্যবহার করে একজন মানুষের চেহারা কতটা আকর্ষণীয় করা যায়, সেখানেই রয়েছে মুন্সিয়ানা।
[৩] সম্প্রতি এমনই এক প্রতিযোগিতা বিশ্বে প্রথমবারের মত অনুষ্ঠিত হল তাও খুবই বড় পরিসরে। সেটি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই সুন্দরী প্রতিযোগিতা। এতে বিজয়ীর মুকুট অর্জন করেছেন কেনজা লাইলি নামে এক মরক্কোর ইনফ্লুয়েন্সার।
[৪] তবে, সাধারণ বিশ্ব সুন্দরী প্রতিযোগিতার মত কেনজা লাইলি তার সৌন্দর্যের ওপর মুকুট অর্জন করেননি। এখানে অংশগ্রহণকারীরা এআইকে ব্যবহার করে একটি ভার্চুয়াল মডেলকে নিজের মত রূপ দিয়েছেন। সবমিলিয়ে মডেলের গঠন, পোশাক, ডিজাইন দেখে বিবেচনা করা হয়েছে কোন প্রতিযোগী এআই মডেলকে সবচেয়ে আকর্ষণীয় রূপে তৈরি করেছে। প্রযুক্তির ক্ষেত্রে ক্রিয়েটরের দক্ষতা এবং কোন টুলের মাধ্যমে ক্রিয়েটর এ মডেল বানিয়েছেন, তা যাচাই করা হয়েছে। এখানে প্রম্পট সবচেয়ে বড় ভূমিকা পালন করেছে।
[৫] চলতি বছরের এপ্রিল মাসে আয়োজন করা হয় বিশ্বের প্রথম কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই সুন্দরী প্রতিযোগিতা ‘মিস এআই’। এআই কনটেন্ট-নির্ভর ওয়েবসাইট ফ্যানভ্যু আয়োজন করে ইভেন্টটি। সম্প্রতি অনুষ্ঠিত হয়ে গেল প্রতিযোগিতার চূড়ান্ত পর্ব। এতে মরক্কোর হিজাবি ইনফ্লুয়েন্সার কেনজা লাইলির মাথায় উঠেছে বিজয়ীর মুকুট।
[৬] প্রায় ১ হাজার ৫০০ প্রতিযোগীকে পেছনে ফেলে সে এই সম্মাননা অর্জন করেছেন কেনজা লাইলি। এ ছাড়া রানার্সআপ হয়েছে ফ্রান্সের লালিনা ভালিনা ও পর্তুগালের অলিভিয়া সি।
[৭] কেনজা লাইলি হিজাব পরিহিত অ্যাকটিভিস্ট ও ইনফ্লুয়েন্সার। ইনস্টাগ্রামে তার অনুসারীর সংখ্যা ১ লাখ ৯৫ হাজার। সে-ই মরক্কোর প্রথম ভার্চ্যুয়াল ইনফ্লুয়েন্সার। নিজের কনটেন্টের মাধ্যমে লাইলি তার দেশের ঐতিহ্যকে বিশ্ববাসীর সামনে তুলে ধরতে চায়।
এসসিডি/এনএইচ
আপনার মতামত লিখুন :