শিমুল চৌধুরী ধ্রুব: [২] আমেরিকার শিকোগোতে একটি পাঁচ তারকা হোটেলে গভীর ঘুমে তলিয়ে ছিলেন কলকাতার সিনেমা ইন্ডাস্ট্রির একঝাঁক তারকা। সঙ্গে ছিলেন বাংলাদেশের চঞ্চল চৌধুরীও। সকালের স্নিগ্ধ আলোয় ঘুম ভাঙার কথা থাকলেও রাত ভোরে বেরসিক অ্যালার্ম বেজে ওঠে কর্কশ শব্দে। এর অর্থ, ‘জায়গাটি নিরাপদ নয়। হোটেলের কোনো একটি কক্ষে আগুন লেগেছে। প্রাণ বাঁচাতে চাইলে পালাও।’
[৩] হুড়মুড়িয়ে উঠে বসেন স্বস্তিকা, শ্রাবন্তী, চঞ্চলরা। প্রাণ বাঁচাতে দৌড়ান সবাই। লক্ষ্য একটাই। হোটেল থেকে বের হওয়া। অধিকাংশ শিল্পী রাতের পোশাকেই দৌড়ে নেমেছেন নীচে। এমন দম আটকে আসা অভিজ্ঞতার কথা সংবাদমাধ্যমে জানিয়েছেন কয়েকজন। অভিনেতা ও নির্মাতা অরিন্দম শীল বলেন, ‘ভালো করে চোখ মেলতে পারিনি। হঠাৎ অ্যালার্মের শব্দে ধড়মড়িয়ে উঠে বসি। খাটে রাজ্যের জিনিসপত্র ছড়ানো। কিন্তু গোছাবে কে? আগে জিনিস না আগে প্রাণ?’ সূত্র: আনন্দবাজার
[৪] চঞ্চল চৌধুরীও জানালেন ভয়াবহ সে অভিজ্ঞতার কথা। তিনি বলেন, ‘ভোরবেলা হোটেলের প্রতিটি রুমের অ্যালার্ম বেজে গেল। কেউ হয়তো রুমে সিগারেট খেয়েছিল। ওইটা নিয়ে। কলকাতা ও ঢাকা থেকে একটা বিশাল টিম আসছি। সবাই শুধু পাসপোর্ট নিয়ে বের হতে পারলেই বেঁচে যায়। লাগেজ রেখে নিচে নেমে পড়ি। লিফট বন্ধ হয়ে গেল। পরে সিঁড়ি দিয়ে নামতে হয়। এই অ্যালার্ম ২০ মিনিটের মতো বাজতে থাকল। তারপর থামল। এর মধ্যে সবাই লবিতে জড়ো হলো। পরে অ্যালার্ম যখন থামল, তখন সবাই আবার সিঁড়ি বেয়ে যার যার রুমে যায়।’
[৫] চঞ্চল আরও বলেন, ‘পরে জানতে পেরেছি, এটা কারিগরি ত্রুটি ছিল, কোনো একটা কারণে বেজে ওঠে। সাধারণত হোটেলে ধূমপান করলে এভাবে বেজে ওঠে। পুরোপুরি টেকনিক্যাল সমস্যা। অত রাতে রিসিপশনেও কাউকে পেলাম না। যখন অ্যালার্ম বন্ধ হয়ে গেল, যার যার মতো করে যার যার রুমে চলে গেলাম আরকি।’
[৬] কৌশিক গাঙ্গুলি বলেন, ‘আমরা সবাই হইহই করতে করতে সিঁড়ি দিয়ে নামলাম। প্রত্যেকে কিংকর্তব্যবিমূঢ়। সকলের একটাই চিন্তা, যে করে হোক প্রাণে বাঁচতে হবে।’ শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায় থেকে চঞ্চল চৌধুরী, প্রাণ বাঁচানোর দৌড়ে শামিল সকলে। ছিলেন হোটেলের বাকিরাও।
[৭] তবে অরিন্দম জানান, সবাই এখন নিরাপদে রয়েছেন। ফায়ার অ্যালার্ম বাজতেই নিয়ম মেনে সিঁড়ি বেয়ে এক্সিট নেন তারা। মিনিটের মধ্যেই হাজির দমকল। সঙ্গে সঙ্গেই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে। সকলকে নিয়ে যাওয়া হয় নিরাপদ স্থানে।
[৮] আমেরিকার শিকাগোতে হয়ে গেল নর্থ আমেরিকান বেঙ্গলি কনফারেন্সের আয়োজনে ফিল্মফেয়ার অনুষ্ঠান। সেখানে যোগ দিতেই শিকাগোতে উড়ে গিয়েছিলেন টলি তারকারা। সবকিছু ভালোয় ভালোয় শেষ হলেও ভোর রাতের অগ্নিকাণ্ড হাড় হিম করে দিয়েছিল সবার।
এসসিডি/এনএইচ
আপনার মতামত লিখুন :