বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) সুলতানা রাজিয়া হলের এক নারী শিক্ষার্থী বলেন, ‘দীর্ঘ দেড় বছরের বেশি সময় ধরে ৪টি গণরুমে ১২৬ জন থাকছি। এক বেডে দুজন করে ঘুমাচ্ছি। মাত্র ৪টি বাথরুম ব্যবহার করতে হচ্ছে সবাইকে। এতদিন ধৈর্য ধরেছি। কিন্তু এখন আর সম্ভব না। আমরা নিজস্ব সিট চাই।’
গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় সুলতানা রাজিয়া হলের গণরুম বিলুপ্ত করে একক আসনের দাবি জানিয়ে আন্দোলনের সময় ওই শিক্ষার্থী এসব কথা বলেন।
এরআগে বারবার হল প্রভোস্ট ও প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনা করেও কোনো সমাধান পাননি বলে জানান আন্দোলনে উপস্থিত শিক্ষার্থীরা।
এদিন আরেক শিক্ষার্থী বলেন, ‘কয়েক দফা হল প্রভোস্টের সঙ্গে কথা বলেছি। তিনি কোনো সদুত্তর না দিয়ে ছাত্র বিষয়ক উপদেষ্টার কাছে পাঠান। সেখানেও কোনো সমাধান পাইনি। সবাই শুধু অসহায়ত্ব প্রকাশ করছে। কিন্তু আমাদের সমস্যা সমাধানের উদ্যোগ নিচ্ছে না। তাই বাধ্য হয়ে আন্দোলনে নেমেছি।’
এ সময় তারা সড়ক অবরোধ করে "গণরুম নাকি জেল, প্রশাসনের নাকে তেল", "হলে হলে বৈষম্য, চলবে না চলবে না", "সিঙ্গেল বেডে দুজন করে, থাকব না থাকব না" ইত্যাদি স্লোগান দিতে থাকেন।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র বিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক মো. শহীদুল হক বলেন, ‘সুলতানা রাজিয়া হলের শিক্ষার্থীরা গণরুম সমস্যার বিষয়ে আমার সঙ্গে আলোচনা করেছিল। আমি তাদেরকে তখন বুঝিয়েছিলাম, রাতারাতি এই সমস্যার সমাধান করা সম্ভব নয়। হলে খালি আসন না থাকলে তো তাদেরকে আসন বরাদ্দ দেওয়া যাচ্ছে না। তবে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সর্বাত্মক চেষ্টা করছে যাতে যতদ্রুত সম্ভব এই সমস্যা সমাধান করা যায়।’