সরকারের অনুমোদন পেয়েছে ‘গ্রামীণ ইউনিভার্সিটি’ নামে একটি নতুন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়। এটি রাজধানী ঢাকায় স্থাপিত হবে। বিশ্ববিদ্যালয়টির বোর্ড অব ট্রাস্টিজের চেয়ারম্যান হিসেবে থাকছেন মো. আশরাফুল হাসান।
গতকাল সোমবার (১৭ মার্চ) শিক্ষা মন্ত্রণালয় বিশ্ববিদ্যালয়টির বোর্ড অব ট্রাস্টিজের চেয়ারম্যানের হাতে অনুমোদনের চিঠি তুলে দিয়েছে। সাময়িক অনুমোদনের আওতায় ২২টি শর্ত পূরণের ভিত্তিতে বিশ্ববিদ্যালয়টি স্থাপন ও পরিচালনার নির্দেশনা জারি করা হয়েছে।
নতুন এই অনুমোদনের ফলে দেশে অনুমোদিত বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১১৬-তে। যদিও এর মধ্যে কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয় এখনো কার্যক্রম শুরু করেনি।
প্রস্তাবিত ‘গ্রামীণ ইউনিভার্সিটি’ পরিচালনার জন্য সরকার যে শর্তগুলো নির্ধারণ করেছে, তার মধ্যে অন্যতম হলো-
সাময়িক অনুমতির মেয়াদ সাত বছর।
বিশ্ববিদ্যালয়কে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইন, ২০১০-এর বিধান ও শর্ত অনুসরণ করতে হবে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য কমপক্ষে ২৫ হাজার বর্গফুটের নিজস্ব বা ভাড়া করা ভবন থাকতে হবে।
ন্যূনতম তিনটি অনুষদ এবং ছয়টি বিভাগ চালু করতে হবে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের নামে সংরক্ষিত তহবিলে কমপক্ষে দেড় কোটি টাকা যেকোনো তফসিলি ব্যাংকে জমা রাখতে হবে।
শিক্ষার মানোন্নয়ন এবং উচ্চশিক্ষার প্রসারে ‘গ্রামীণ ইউনিভার্সিটি’ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে উল্লেখ করে সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন, নতুন এই প্রতিষ্ঠানটি দেশের উচ্চশিক্ষায় নতুন মাত্রা যোগ করবে।
প্রসঙ্গত, গত জানুয়ারিতে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের (ইউজিসি) একটি প্রতিনিধি দল রাজধানীর উত্তরায় বিশ্ববিদ্যালয়টির ক্যাম্পাস পরিদর্শন করেছিল। পরিদর্শন শেষে প্রতিনিধি দল তাদের পর্যবেক্ষণ প্রতিবেদন আকারে শিক্ষা মন্ত্রণালয় পাঠায়। শিক্ষা মন্ত্রণালয় এই প্রতিবেদন যাচাই-বাছাই করে দু’মাস পর নতুন এই বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুমোদন দেয়।