চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) শেখ হাসিনা হলের নামফলক ভাঙা নিয়ে বাগ্বিতণ্ডায় সহকারী প্রক্টরকে লাঞ্ছিত করেছেন এক শিক্ষার্থী। ৫ ফেব্রুয়ারি রাতে ঘটনাটি ঘটলেও আজ মঙ্গলবার এর একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের মধ্যে আলোচনা-সমালোচনা শুরু হয়েছে।
অপর দিকে শিক্ষকের ওপর হামলা-লাঞ্ছনার ঘটনায় নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছে চবি শাখা ছাত্রশিবির। শাখা ছাত্রদলও বিক্ষোভ মিছিলের ঘোষণা দিয়েছে।
ভুক্তভোগী ড. মোহাম্মদ কোরবান আলী বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর ও দর্শন বিভাগের অধ্যাপক, আর অভিযুক্ত শিক্ষার্থীর নাম আফসানা এনায়েত এমি, তিনি ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের আইন বিভাগের ছাত্রী এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের শেখ হাসিনা হলের আবাসিক শিক্ষার্থী।
১ মিনিট ২৫ সেকেন্ডের ভিডিওতে দেখা গেছে, শেখ হাসিনা হলের নামফলক ও হলের সামনে কংক্রিটে নির্মিত নৌকা ভাঙতে গেলে অভিযুক্ত ছাত্রী ওই শিক্ষকের সঙ্গে বাগ্বিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন। একপর্যায়ে ওই ছাত্রী শিক্ষককে (সহকারী প্রক্টর) শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করেন।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, ৫ ফেব্রুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা শেখ হাসিনা হলের নামফলক ও হলের সামনে কংক্রিটে নির্মিত নৌকা ভাঙতে গেলে ওই ছাত্রী বাগ্বিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন। একপর্যায়ে ওই ছাত্রী সহকারী প্রক্টরকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করেন। ঘটনাস্থলে এক সাংবাদিকের মোবাইল কেড়ে নিয়ে হেনস্তার ঘটনাও ঘটে।
এ বিষয়ে অধ্যাপক ড. কোরবান আলী বলেন, ‘আসলে ওই দিন পরিস্থিতি শান্ত করতে সেখানে গিয়েছি, আমরা তো কারও শত্রু নই। একপর্যায়ে ওই ছাত্রী আমাকে লাঞ্ছিত করে, যা ভিডিও ফুটেজে স্পষ্ট দেখা গেছে। এর বাইরে আমি আর কিছু বলতে চাই না।’ এ বিষয়ে কথা বলতে অভিযুক্ত ছাত্রীর মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল করে সাড়া পাওয়া যায়নি। উৎস: আজকের পত্রিকা ও রাইজিং বিডি।
আপনার মতামত লিখুন :