শিরোনাম
◈ সিলেটকে হারিয়ে বিপিএলের প্লে-অফে খেলার পথে দুর্বার রাজশাহী ◈ গ্যাসের দাম বাড়ালে পোশাক খাতে খরচ বাড়বে ১৮ হাজার কোটি টাকা ◈ পাকিস্তানের মাটিতে ৩৪ বছর পর টেস্ট জয় করলো ওয়েস্ট ইন্ডিজ ◈ কারাগারে সাবেক বিচারপতি মানিকের মৃত্যুর খবর নিয়ে যা জানা গেল ◈ রংপুরের হয়ে খেলতে আসছেন টিম ডেভিড, সুনিল নারাইন ও ডেভিড ওয়ার্নার  ◈ বান্দরবানে সেনাবাহিনীর বিশেষ অভিযানে কেএনএফের দুই সন্ত্রাসী আটক ◈ এবার আল্টিমেটাম দিয়ে নিউমার্কেট থানা ঘেরাওয়ের হুঁশিয়ারি ৭ কলেজের শিক্ষার্থীদের ◈ বাংলাদেশের গার্মেন্টস শিল্পের ওপর নির্ভরশীলতা বন্ধ করা উচিত: নিক্কেই এশিয়ায় মতামত প্রতিবেদন ◈ সংস্কার  দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কৌশল পরিবর্তন করতে হবে,তহবিলের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করার আহ্বান ◈ টেবিলের নিচ দিয়ে টাকা দেওয়া থেকে বাড়তি ভ্যাট ভালো: অর্থ উপদেষ্টা

প্রকাশিত : ২৭ জানুয়ারী, ২০২৫, ০২:৪২ রাত
আপডেট : ২৭ জানুয়ারী, ২০২৫, ১১:০০ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষের ঘটনায় যা বললেন ছাত্রদল সাধারণ সম্পাদক

সাত কলেজ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে শান্তিপূর্ণভাবে অতিদ্রুত সমস্যার সমাধান করার আহ্বান জানিয়েছেন ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দিন নাসির। এ সময় তিনি সাত কলেজকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত করা নিয়েও সমালোচনা করেন।

রোববার (২৬ জানুয়ারি) দিবাগত রাত ২টার দিকে ফেসবুকে নিজের ভেরিফায়েড আইডিতে এক পোস্টে তিনি এ আহ্বান জানান।

সাত কলেজের অধিভুক্তির সিদ্ধান্তকে হঠকারী মন্তব্য করে পোস্টে নাসির লেখেন, ‘ঢাকা শহরের সাতটি ঐতিহ্যবাহী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সুদীর্ঘ সময় ধরে বাংলাদেশে উচ্চশিক্ষা বিস্তারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে। এই প্রতিষ্ঠানগুলোর দীর্ঘ সুনাম ও স্বতন্ত্র ঐতিহ্য থাকার পরেও ফ্যাসিস্ট হাসিনার পদলেহনকারী সাবেক উপাচার্য আরেফিন সিদ্দিক ও ফ্যাসিস্ট হাসিনার আরেক সহযোগী জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হারুন অর রশিদের ব্যক্তিগত রেষারেষির পরিপ্রেক্ষিতে লক্ষ লক্ষ শিক্ষার্থীদের শিক্ষাজীবন ও সুন্দর ভবিষ্যৎকে হুমকির মুখে ফেলে এই কলেজগুলোকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত করা হয়। এটি ছিল একটি অবিবেচনাপ্রসূত চরম হঠকারী পদক্ষেপ।’

সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সাবেক উপাচার্য আরেফিন সিদ্দিকের সমালোচনা করে তিনি বলেন, ‘আজ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এবং অন্য প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে যে অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে, তার দায়ভার সম্পূর্ণরূপে শেখ হাসিনা ও তার দোসর আরেফিন সিদ্দিকের। উল্লেখ্য, ড. হারুন অর রশিদ চব্বিশের গণ-অভ্যুত্থানের সময়ে ছাত্রদের ওপর আরও বেশি গুলি করে হত্যা করার পরামর্শ দিয়েছিলেন শেখ হাসিনাকে। তারাই এই অধিভুক্ত কলেজের সমস্যার মূল কুশীলব।’

আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘বর্তমানে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে শিক্ষার্থী, কলেজ এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে শান্তিপূর্ণভাবে অতিদ্রুত সমস্যার সমাধান করতে হবে। সহিংসতা সমাধানের পথ রুদ্ধ করবে। সব প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদেরকে শান্তি বজায় রেখে নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানে ফিরে যাওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি।’

ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘ফ্যাসিস্ট হাসিনা রেজিম এই সমস্যার সৃষ্টি করেছে। কিন্তু তারাই এই সহিংসতা উসকে দিয়ে বিশৃঙ্খল পরিবেশ সৃষ্টি করছে। আপনারা ফ্যাসিস্টদের সেই সুযোগ দেবেন না। ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানসহ সব গণতান্ত্রিক সংগ্রামে আজকের বিবদমান প্রতিষ্ঠানগুলো কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে লড়াই করেছে। আজ আপনারা নিজেদের মধ্যে দ্বন্দ্ব-সংঘাত সৃষ্টি করে ফ্যাসিস্টদের কোনো সুযোগ দেবেন না। সব ধরনের উসকানি এড়িয়ে চলুন।’

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে অনুরোধ জানায়ে তিনি বলেন, ‘ফ্যাসিস্ট হাসিনার তৈরি করা এই সংকট দ্রুত নিরসন করুন। সব পক্ষের মতামত শুনে সবচেয়ে গ্রহণযোগ্য বাস্তবসম্মত একটি সমাধান বের করুন।’

 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়