শিরোনাম
◈ ‘বঙ্গবন্ধু রেল সেতু’র নাম পরিবর্তন ◈ হাসান আরিফের মৃত্যুতে উপদেষ্টা পরিষদের শোক ◈ গত ১৫ বছর বাংলাদেশের গণমাধ্যম অনেক ক্ষেত্রে তাঁবেদারি করেছে : প্রেস সচিব  ◈ উপদেষ্টা হাসান আরিফের মৃত্যুতে সোমবার রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা ◈ ভাতা বৃদ্ধির দাবীতে শাহবাগে সড়ক অবরোধ করেছেন চিকিৎসকরা ◈ রাজধানীর যেসব সড়ক কাল বন্ধ থাকবে, বিকল্প পথে চলার পরামর্শ ◈ পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন রোহিঙ্গাদের ফেরাতে যে কৌশলের কথা জানালেন ◈ শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে রেড অ্যালার্ট জারি নিয়ে যা বললেন চিফ প্রসিকিউটর (ভিডিও) ◈ রাখাইন রাজ্যের মিলিটারি সদরদপ্তর আরাকান আর্মির দখলে, সতর্ক উখিয়া-টেকনাফ সীমান্ত ◈ লন্ডন-যুক্তরাষ্ট্রে ৩০০ কোটি টাকা পাচার : হাসিনা ও জয়ের বিরুদ্ধে দুদকের অনুসন্ধান শুরু

প্রকাশিত : ০৯ ডিসেম্বর, ২০২৪, ১০:৩২ রাত
আপডেট : ২১ ডিসেম্বর, ২০২৪, ০২:০০ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

চবিতে ১২ ডিসেম্বর শুরু ডোপ টেস্ট, পজিটিভ হলে সিট বাতিল

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) আবাসিক হলের শিক্ষার্থীদের শতভাগ ডোপ টেস্টের আওতায় আনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। ৩৫০ টাকায় নিজস্ব ল্যাবে এই টেস্ট করা হবে। ডোপ টেস্ট পজিটিভ হলে আবাসিক হলের সিট বাতিল হবে জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

সোমবার বেলা ২টা ৩০ মিনিটের দিকে চবি উপ-উপাচার্যের (প্রশাসন) সম্মেলনকক্ষে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. কামাল উদ্দিন।

প্রসঙ্গত, ডোপ টেস্ট হলো একটি প্রক্রিয়া, যার মাধ্যমে কোনো ব্যক্তির শরীরে নিষিদ্ধ বা ক্ষতিকর মাদকদ্রব্য বা অন্যান্য মানসিক উদ্দীপক পদার্থের উপস্থিতি পরীক্ষা করা হয়। সাধারণত এই পরীক্ষা রক্ত, মূত্র, লালারস বা চুলের নমুনা ব্যবহার করে করা হয়।

উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মো. কামাল উদ্দিন বলেন, ‘ক্যাম্পাস এবং আশপাশের এলাকাগুলো একটা সময় মাদকের স্বর্গরাজ্যে পরিণত হয়েছিল। সেই জায়গা থেকে বেরিয়ে আসার জন্য আমরা বেশ কিছু উদ্যোগ নিয়েছি। আমরা দায়িত্ব নেওয়ার পর হলে আসন বরাদ্দ দিয়েছি। আসন বরাদ্দের সময় বলেছিলাম আবাসিক শিক্ষার্থীদের ডোপ টেস্ট বাধ্যতামূলক। তখন ডোপ টেস্ট করে হলে উঠাতে পারিনি, কারণ বিশ্ববিদ্যালয় খুলতে দেরি হবে এ জন্য।’

তিনি আরও বলেন, ‘পূর্বে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজে (চমেক) ডোপ টেস্ট করার কথা ছিল কিন্তু, সেখানে খরচ অনেক বেশি। আমরা প্রাথমিকভাবে নিজস্ব ল্যাবে টেস্ট করার পরিকল্পনা করেছি। এজন্য আবাসিক হলে অবস্থানরত শিক্ষার্থীদের এই টেস্টের আওতায় আনার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এতে কোনো শিক্ষার্থীর টেস্ট পজিটিভ হলে আমরা তার হলের আসন বাতিল করব, বাকি শাস্তি দেশের আইন অনুযায়ী হবে।’

তিনি আরও বলেন, শুধু শিক্ষার্থীরাই না- এখানের নিরাপত্তাকর্মীসহ অনেকেই মাদকাসক্ত। পর্যায়ক্রমে সবাইকে এই পরীক্ষার আওতায় আনা হবে।

ডোপ টেস্ট কমিটির কো-অর্ডিনেটর ও জীববিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. আতিয়ার রহমান বলেন, ‘আগামী ১২ তারিখ আমরা এ এফ রহমান হলের শিক্ষার্থীদের ডোপ টেস্টের মধ্য দিয়ে এ কার্যক্রম শুরু করব। আমরা কাজটি আমাদের শিক্ষার্থীদের মাদকাসক্ত প্রমাণিত করার জন্য করছি না বরং, সচেতনতা সৃষ্টির উদ্দেশ্যে কাজটি করছি। আমরা মাদক থেকে শিক্ষার্থীদের উত্তরণের জন্য এ উদ্যোগ নিয়েছি।’

এ সময় উপস্থিত ছিলেন ডোপ টেস্ট কমিটির কো-অর্ডিনেটর জীববিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. আতিয়ার রহমান, শাহ আমানত হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. মো. গোলাম কিবরিয়া, বিশ্ববিদ্যালয় মেডিকেলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান ডা. মোহাম্মদ আবু তৈয়ব।

হল অনুযায়ী ডোপ টেস্টের তারিখ

এ এফ রহমান হল ১২, ১৩ ও ১৪ ডিসেম্বর; আলাওল হল ১৫, ১৬ ও ১৭ ডিসেম্বর; শহীদ আব্দুর রব হল ১৮, ১৯ ও ২০ ডিসেম্বর; মাস্টার দা সূর্যসেন হল ২১, ২২ ও ২৩ ডিসেম্বর; শাহ আমানত হল ২৫, ২৬, ২৭, ২৮ ও ২৯ ডিসেম্বর; সোহরাওয়ার্দী হল ৩০, ৩১ ডিসেম্বর ও ১, ২ জানুয়ারি; শাহজালাল হল ৩, ৪, ৫ ও ৬ জানুয়ারি এবং শিল্পী রশিদ চৌধুরী হোস্টেল ৭ জানুয়ারি।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়