শুক্রবার দুপুরে রাজধানীর শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ৬ আন্দোলনকারীকে দেখতে গিয়ে এসব কথা বলেন উমামা ফাতেমা।
জুলাই বিপ্লবের ১০০ দিন পরও আহতদের চিকিৎসায় সুনির্দিষ্ট রোডম্যাপ দিতে পারেনি অন্তর্বর্তী সরকার। আহত-নিহতদের পূর্ণাঙ্গ তালিকাও সরকার করতে পারেনি। যে কারণে ভুক্তভোগীরা ভোগান্তিতে পড়ছে ও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মুখপাত্র উমামা ফাতেমা।
এ সময় বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের মেডিকেল টিম ও রক্তিম জুলাই সংগঠনের স্বেচ্ছাসেবীরা উপস্থিত ছিলেন। তারা আহতদের বর্তমান শারীরিক পরিস্থিতি কেমন, চিকিৎসা কোন পর্যায়ে আছে, কী কী সাহায্য প্রয়োজন এসব বিষয়ে খোঁজখবর নেন। চিকিৎসক ও আহতদের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলেন।
আহতদের পরিদর্শন শেষে হাসপাতাল প্রাঙ্গণে এক সংবাদ সম্মেলন করেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দেলনের নেতারা। এ সময় উমামা ফাতেমা বলেন, গত ৪ মাসে শহীদ সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে জুলাই বিপ্লবে আহত প্রায় ৯২ জন চিকিৎসা নিয়েছেন। বর্তমানে ৬ জন চিকিৎসাধীন রয়েছে। চিকিৎসকরা সর্বোচ্চ চিকিৎসা দিতে চেষ্টা করছে। কিন্তু রোগীরা জানিয়েছেন, অনেক সময় ওষুধ ফুরিয়ে গেলে তাদের বাইরে থেকে কিনতে হয়। ফলে হাসপাতালে সার্বক্ষণিক ওষুধের সরবরাহ করা দরকার।
তিনি বলেন, আহতদের মধ্যে যারা শহরে আছেন তারা কিছুটা হলেও সেবা পাচ্ছেন। কিন্তু শহরের বাইরে সারা দেশের বিভিন্ন এলাকায় ছড়িয়ে আছে সরকার তাদের চিকিৎসার যথাযথ ব্যবস্থা করতে পারেনি। সরকারের উচিত ছিল দেশজুড়ে ছড়িয়ে থাকা আহতদের যথাযথভাবে সার্বক্ষণিক চিকিৎসাব্যবস্থা নিশ্চিত করা। আহতদের পুনর্বাসন ও কর্মসংস্থান করার কথাও বলেন উমামা ফাতেমা।
তিনি আরও বলেন, সরকারের উচিত ছিল ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার পতনের পর একটি টিম করে সমস্যাগুলোর সমাধান করা। আহতদের পূর্নাঙ্গ তালিকা করা। কোন হাসপাতালে কতজন চিকিৎসা নিচ্ছেন ডিজিটাল বোর্ডের মাধ্যমে সেটি প্রদর্শন করা।
উমামা ফাতেমা বলেন, গতকাল আহতরা সচিবালয়ে যে সাত দফা দাবি জানিয়েছেন তা অত্যন্ত যৌক্তিক। সরকারের পাশাপাশি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দেলনের ব্যানারে গঠিত কেন্দ্রিয় কমিটি তাদের পাশে থাকবে। আহতদের সুস্থ্যতার পর কর্মস্থান ও আর্থিক সহযোগিতা প্রদান করা হবে।
আপনার মতামত লিখুন :