শিরোনাম
◈ দুই নারীকে প্রকাশ্যে পেটালেন যুবলীগ নেতা, ভিডিও ভাইরাল ◈ হাসিনাকে ফেরাতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে চিঠি দেয়া হয়েছে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা ◈ বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক ডেপুটি গভর্নর এসকে সুর ও তার স্ত্রী-কন্যার বিরুদ্ধে দুদকের মামলা ◈ উচ্চ আদালতে বিচারক নিয়োগ বাংলাদেশের সর্বনাশের কারণ: আসিফ নজরুল (ভিডিও) ◈ ব্রাজিলে বিমান বিধ্বস্ত হয়ে সব আরোহী নিহত ◈ বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে চিরনিদ্রায় শায়িত হলেন উপদেষ্টা হাসান আরিফ (ভিডিও) ◈ মুক্তিযোদ্ধার মানহানি : ‘তীব্র নিন্দা’ জানাল প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং ◈ এবার স্ত্রীকেও ‘হারাচ্ছেন’ সিরিয়ার ক্ষমত্যাচ্যুত প্রেসিডেন্ট আসাদ? ◈ দেশে দেশে স্বৈরতান্ত্রিক সরকার প্রতিষ্ঠা বা নৈরাজ্য সৃষ্টি‌ই আমেরিকার পরিকল্পনা ◈ অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ: যুক্তরাজ্যে টিউলিপ সিদ্দিককে জিজ্ঞাসাবাদ

প্রকাশিত : ০৪ নভেম্বর, ২০২৪, ০৭:২৪ বিকাল
আপডেট : ১৮ ডিসেম্বর, ২০২৪, ০৯:০০ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

‘আমার কোনো সমস্যা নেই’ বললেন ঢাবি শিক্ষার্থীদের পেটানো সেই ছাত্রলীগ নেতা

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) সাধারণ শিক্ষার্থীদের পেটানো ছাত্রলীগের এক নেতা বললেন- ‘আমার কোনো সমস্যা নেই। ঢাকাতেই আছি, নিরাপদে আছি’। একটি জাতীয় দৈনিকের হাতে আসা ভিডিও থেকে তাকে শনাক্ত করা হয়েছে। পরে তার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি এ কথা বলেন।

ঢাবিতে সাধারণ শিক্ষার্থীদের পেটানো ওই ছাত্রলীগ নেতার নাম জিহাদ আহম্মেদ। তিনি পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার নাজিরপুর ইউনিয়নের বাসিন্দা। পটুয়াখালীর বাউফল পৌর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক পদপ্রত্যাশী তিনি (আগের কমিটি ভাঙার পরে জুন মাসে সিভি জমা দিয়েছিল)।

ভিডিওতে দেখা যায়, গত ১৬ জুলাই ঢাবি ছাত্র-ছাত্রীদের বেধড়ক পিটিয়ে রক্তাক্ত করেছে জিহাদ আহম্মেদ। হামলার সময় তার হিংস্রতার দৃশ্য ভিডিওতে স্পষ্ট ফুটে উঠেছে।

সেদিন বিক্ষোভের সময় দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালায়। ঢাবিতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কর্মসূচিতে হামলায় বহিরাগতরাও যোগ দেয়। তাদের নৃশংস হামলায় ঢাবির প্রায় তিন শতাধিক ছাত্র-ছাত্রী আহত হন। ওইদিন হাসপাতালে গিয়ে ছাত্র-ছাত্রীদের পেটায় বহিরাগত ছাত্রলীগ। জিহাদও তাদের মধ্যে অন্যতম একজন।

ঢাকায় গ্রিন ইউনিভার্সিটির আইন বিভাগের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন জিহাদ। ১৬ জুলাই ঢাবিতে তার কর্মকাণ্ডের কারণে নিজ ক্যাম্পাসের শিক্ষার্থীরা তাকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেছে। আজ পর্যন্ত তিনি নিজ ক্যাম্পাসে যেতে পারেনি। বাউফলে ছাত্রলীগের একাংশের সব সভা-সমাবেশে প্রথম কাতারে দেখা যেত তাকে। বাউফল সরকারি কলেজে পড়াকালীন মারপিটসহ উচ্ছৃঙ্খল কর্মকাণ্ডে জড়িত ছিলেন তিনি।

ছাত্রলীগ নেতা জিহাদ আহম্মেদের সঙ্গে তার মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করলে তিনি কালবেলাকে বলেন, আমার কোনো সমস্যা নেই। ঢাকাতেই আছি, নিরাপদে আছি। সেদিন আমরা কয়েকজন ছিলাম। নিজেদের আত্মরক্ষার জন্য করেছি, নাহলে ওরা আমাদেরকেই মেরে ফেলত। ইউনিভার্সিটি থেকে ভর্তি বাতিল করেছি, ওখানে যাওয়া নিজের জীবনের রিস্ক, তাই যাইনি।

বাউফল উপজেলা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সংগঠক মুনতাসীর তাসরিপ বলেন, ঢাবিতে হামলার মধ্য দিয়েই দেশ উত্তপ্ত হয়। ওই হামলা চালায় ছাত্রলীগ। বাউফলসহ দেশের বিভিন্ন স্থানের যে বহিরাগতরা হামলায় জড়িত ছিল, তাদের শাস্তি নিশ্চিত করতেই হবে। তারা এখনও নানাভাবে দেশকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করছে।

এ বিষয়ে বাউফল থানার ওসি মো. কামাল হোসেন বলেন, যে ঘটনায় আমরা তাকে অভিযুক্ত করব, সেই ঘটনা আমার থানা অঞ্চলে হতে হবে। অন্য থানায় তার বিরুদ্ধে অভিযোগ থাকলে সেই থানা চাইলে আমরা সহযোগিতা করতে পারি। উৎস: যমুনাটেলিভিশন।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়