জ্ঞান ছাড়া একটি জাতি সামনের দিকে এগিয়ে যেতে পারে না উল্লেখ করে বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের সভাপতি অধ্যাপক আবদল্লাহ আবু সায়ীদ বলেছেন, ‘উন্নত জাতি গঠনে নতুন নতুন জ্ঞানের প্রয়োজন। বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র বই পড়ার মাধ্যমে নতুন নতুন জ্ঞান সৃষ্টি করে যাচ্ছে।’
শুক্রবার চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন মিউনিসিপ্যাল মডেল হাইস্কুল অ্যান্ড কলেজ প্রাঙ্গণে পুরস্কার বিতরণ উৎসবে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে বলেন, ‘সুন্দর স্বপ্নে ভরা বই আমরা তোমাদের হাতে তুলে দিয়েছি। এসব বই একেকটি জ্ঞানের আধার।’
২০২৩ শিক্ষাবর্ষে চট্টগ্রাম মহানগরের ৯৩টি স্কুলের প্রায় ১৫ হাজার ছাত্র-ছাত্রী বইপড়া কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করেছে। এসব স্কুলের ৫ হাজার ৫০৩ জন ছাত্রছাত্রী মূল্যায়নপর্বে কৃতিত্বের পরিচয় দিয়েছে। আর তাদেরকে পুরস্কার দেওয়ার জন্য অনুষ্ঠানটির আয়োজন করা হয়।
সকালে জাতীয় সংগীত পরিবেশনের মাধ্যমে অনুষ্ঠান উদ্বোধন করা হয়। উৎসবে অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার মো. তোফায়েল ইসলাম, বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের ট্রাস্টি পারভীন মাহমুদ, সেনা কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আবু সাঈদ মোহাম্মদ আলী, রিহ্যাব এর সাবেক প্রেসিডেন্ট প্রকৌশলী মো. আবদুল আউয়াল, গ্রামীণফোন চট্টগ্রাম সার্কেল বিজনেস হেড সামরিন বোখারী, মিউনিসিপ্যাল মডেল হাইস্কুল অ্যান্ড কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ সাহেদুল কবির চৌধুরী ও বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের পরিচালক শামীম আল মামুন।
স্বাগত বক্তব্যে বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের পরিচালক শামীম আল মামুন বলেন, ‘বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র সবসময় আলোকিত মানুষ তৈরির জন্য কাজ করে যাচ্ছে এবং আগামীতেও এ ধারা অব্যাহত থাকবে।’
সেনা কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আবু সাঈদ মোহাম্মদ আলী ভালো কিছুকে ছড়িয়ে দেওয়ার মাধ্যমে আলোকিত বাংলাদেশ গড়ার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন।
বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের ট্রাস্টি পারভীন মাহমুদ নিজের জীবনকে আলোকিত করার জন্য শিক্ষার্থীদের সারাজীবন বইয়ের সাথেই থাকার পরামর্শ দেন।
গ্রামীণফোন চট্টগ্রাম অঞ্চলের সার্কেল বিজনেস হেড সামরিন বোখারী বলেন, গ্রামীণফোন চায় সারা বাংলাদেশে আলোকিত মানুষ তৈরি হোক। গ্রামীণফোন বিশ্বাস করে আলোকিত মানুষ ছাড়া দেশ সামনের দিকে এগিয়ে যাবে না। এখন মাইজিপি অ্যাপের মাধ্যমে বই পড়া যাচ্ছে।
পুরস্কার বিতরণ উৎসবে প্রতিটি স্কুলের ষষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণির ছাত্র-ছাত্রীদের স্বাগত পুরস্কার, শুভেচ্ছা পুরস্কার, অভিনন্দন পুরস্কার ও সেরা পাঠক পুরস্কার শিরোনামের চারটি ক্যাটাগরিতে পুরস্কার প্রদান করা হয়। ষষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণিতে স্বাগত পুরস্কার পেয়েছে ২০০৪ জন, শুভেচ্ছা পুরস্কার পেয়েছে ১৬৭১ জন, অভিনন্দন পুরস্কার পেয়েছে ১৭৪০ জন এবং সেরা পাঠক পুরস্কার পেয়েছে ৮৮ জন। বিজয়ী ৫ হাজার ৫০৩ জন শিক্ষার্থীকে সরাসরি মঞ্চ থেকে পুরস্কার প্রদান করা হয়। কর্মসূচির নিয়মানুসারে সেরা পাঠক বিজয়ীদের মধ্যে লটারির মাধ্যমে প্রতি ১০ জনে একটি বিশেষ পুরস্কার প্রদান করা হয়। এছাড়া প্রতি পর্বে ১ জন অভিভাবককে লটারির মাধ্যমে নির্বাচন করে বিশেষ পুরস্কার প্রদান করা হয়।
আপনার মতামত লিখুন :