ঢাকায় স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজের শ্রেণিকক্ষে মাথায় কালো কাপড় বেঁধে লাঠি হাতে হঠাৎ ঢুকে পড়া সেই যুবককে আটক করেছে পুলিশ। গতকাল সোমবার সন্ধ্যার আগে কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলার গাইটাল পাক্কার মাথা এলাকা থেকে তাকে আটক করা হয়।
কিশোরগঞ্জ সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল্লাহ আল মামুন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, গতকাল রাতেই ওই যুবককে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
আটক যুবকের নাম জুবায়ের আলী (তকী)। তিনি কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলার গাইটাল পাক্কার মাথা এলাকার সুলতান মিয়ার ছেলে।
ওসি আবদুল্লাহ আল মামুন জানান, সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজে ক্লাস চলাকালে এক যুবক প্রবেশ করেন-এমন একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়। এরপরই ঢাকা থেকে গ্রেপ্তারের নির্দেশনা আসে। ভিডিও ফুটেজ দেখে ওই যুবককে আটক করা হয়। ঢাকার কোতোয়ালি থানার পুলিশের একটি দল গতকাল রাতে তাকে ঢাকায় নিয়ে যায়।
পরিবারের বরাত দিয়ে ওসি বলেন, ‘আটক ব্যক্তির পরিবারের লোকজন জানিয়েছেন, তার কিছুটা মানসিক সমস্যা রয়েছে। তবে আমরা চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া কিছুই বলতে পারছি না।’
এ বিষয়ে আটক জুবায়েরের বড় ভাই তৌহিদ ইলাহি জানান, ২০১৬ সাল থেকে যুবায়ের মানসিক ভারসাম্যহীন। তাকে নিয়মিতই চিকিৎসা করানো হচ্ছে। সে পরিবারের কাউকে কিছু না বলে ২৬ অক্টোবর রাতে বাড়ি থেকে চলে যায়। পরে শুনেছি, স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজের ক্লাসরুমে গিয়ে পাগলামি করেছে। আবার ২৭ তারিখ রাতেই বাড়িতে চলে আসে।
‘পরে সোমবার বিকেলে পুলিশ তাকে বাড়ি থেকে আটক করেছে। আমি তার মানসিক সমস্যার কাগজপত্র নিয়ে ঢাকায় যাচ্ছি’, যোগ করেন জুবায়েরের বড় ভাই।
উল্লেখ্য, গত রবিবার সকালে স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজে ক্লাস চলাকালে লেকচার গ্যালারিতে লাঠি হাতে ঢুকে পড়েন ওই যুবক। তার মাথায় কালো কাপড় বাঁধা ছিল। তখন তিনি চিৎকার করে কিছু বলছিলেন আর লাঠি দিয়ে মেঝেতে আঘাত করছিলেন। ওই ঘটনায় ক্লাসের শিক্ষার্থীরা আতঙ্কিত হয়ে পড়েন।
কলেজ কর্তৃপক্ষ বিষয়টি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে জানালে পুলিশ আসার আগেই ওই যুবক সেখান থেকে চলে যান। পরে একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে।
আপনার মতামত লিখুন :