বৃহস্পতিবার বিকেলে বাংলা একাডেমিতে ব্রেইন ও আদর্শ প্রকাশনী আয়োজিত 'গণতন্ত্রের অভিযাত্রা, আসন্ন চ্যালেঞ্জ ও উত্তরণের উপায়' শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি একথা বলেন।
হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, এই যে আসিফ স্যার এখানে আছেন, উনি আইন উপেদষ্টা, আমি যে কোন দিন রাস্তার মধ্যে উনার বিপক্ষেও দাঁড়িয়ে যেতে পারি বলা যায় না।
সংবিধানকে অস্বীকৃতি জানিয়ে ৫ আগস্টের গণঅভ্যুত্থান হয়েছে উল্লেখ করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আবদুল্লাহ বলেছেন, ৫ আগস্টের পর সে সংবিধানকে স্বীকৃতি দেয়াই বড় ভুল ছিলো।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক বলেন, ৭২ এর সংবিধান এখন অপ্রাসঙ্গিক। গত ১৬ বছরে তিনটি নির্বাচন এই সংবিধানের ধারাবাহিকতার দোহায় দিয়েই করা হয়েছে। এখন ৫ আগস্টের ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের পর আন্দোলনকারীদের সে সংবিধান বহন করা কি দায়িত্ব?
শুধু মতপ্রকাশের স্বাধীনতা দরকার নেই, দ্বিমত প্রকাশের স্বাধীনতা দরকার উল্লেখ করে হাসনাত বলেন, মত আগেও প্রকাশ করা যেতো তবে সেটা ছিলো সহমত। তাই আমরা শুধু মত নয়, দ্বিমত প্রকাশের স্বাধীনতা চাই।
তিনি আরও বলেন, সরকারের উচিত বিশ্বাসযোগ্যতা অর্জন করা। আর সে জন্য সবার আগে আমাদের বিচারকাজগুলোকে নিশ্চিত করতে হবে। সেজন্য বাড়তি কিছু লাগবে না। জার্মানিতেও কিন্তু দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পরে নাতস্যিদের বিভিন্ন জায়গা থেকে বের করে বিচার নিশ্চিত করা হয়েছে। বিভিন্ন দায়িত্ব থেকে বের করে দেয়া হয়েছে।
আওয়ামী লীগে যারা ছিলো তাদের খারিজ করে দিতে পারি না উল্লেখ করে হাসনাত বলেন, তারা যে নতুন করে বায়াত নিচ্ছে তাদের ওপর কীভাবে বিশ্বাস করবো এটা নিশ্চিত করতে হবে। যারা ১৬ বছর ধরে উপকারভোগী ছিলো তারাই এখন বঞ্চিত লীগ হিসেবে সামনে আসছে। তাদের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে হবে নাহয় আমরা সামগ্রিকভাবে অন্যায়ের শিকার হব।
এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন, আইন, বিচার ও সংসদ উপদেষ্টা আসিফ নজরুল, সংবিধান সংস্কার কমিটির প্রধান আলী রিয়াজ, রাজনীতি বিশ্লেষক জাহেদ উর রহমান, সাহেদ আলম, মনির হায়দার, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সমন্বয়ক উমামা ফাতেমা, হাসনাত আব্দুল্লাহ, সারজিস আলম ও সাইয়্যেদ আব্দুল্লাহ।