শিরোনাম
◈ এবার শাহবাগে বিক্ষোভ করছে আউটসোর্সিং কর্মচারীরা : চাকরি জাতীয়করণের দাবি ◈ স্পিন বোলিং কোচ মুশতাক আহমেদ আবার ফিরেছেন বাংলাদেশ দলে ◈ দক্ষিণখানে পুলিশের পোশাক,নকল পিস্তলসহ মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার ◈ ৪ স্ত্রী ও দুই গার্লফ্রেন্ডের টাকায় চলে সংসার, খুঁজছেন নতুন স্ত্রী ! ◈ রোনালদোর গোলে আল নাসরের নাটকীয় জয় ◈ ঝিনাইদহে পিকআপভ্যানের চাপায় নারী নিহত ◈ আড়াই মাস পর প্রকাশ্যে, মধ্যরাতে চট্টগ্রামে আওয়ামী লীগের মিছিল (ভিডিও) ◈ আমার কাছে বিশ্বকাপ খেলা মুখ্য নয়, ক্যারিয়ারের বাকি সময়টা উপভোগ করতে চাই: মেসি ◈ অভিনেত্রী তামান্না ভাটিয়াকে টানা ৮ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ ◈ ‘এলিয়েনরা সত্যিই আছে’, নাসার ফিল্ম নির্মাতা সাইমন হল‌্যান্ডের দাবি

প্রকাশিত : ০৮ অক্টোবর, ২০২৪, ০৪:৪৩ দুপুর
আপডেট : ১৮ অক্টোবর, ২০২৪, ০২:০০ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

জাতীয় পার্টিকে সংলাপে চায় না সমন্বয়ক হাসনাত ও সারজিস

জাতীয় পার্টিকে স্বৈরাচারের দোসর দাবি করে দলটির সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার সংলাপের বিরোধিতা করেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। সংগঠনটির দুই সমন্বয়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ ও সারজিস আলম ফেসবুকে দেওয়া স্ট্যাটাসে এ বিরোধিতা করেন। 

বিএনপির বর্জনের মধ্যে অনুষ্ঠিত ২০১৪ ও ২০২৪ সালের নির্বাচনে জাতীয় পার্টি দ্বিতীয় সর্বোচ্চ সংখ্যা গরিষ্ঠতা অর্জন করে। আর ২০১৮ সালের নির্বাচনেও তারা প্রধান বিরোধী দল হিসেবে মর্যাদা পায়। এই নির্বাচনে ব্যাপক কারচুপির অভিযোগ এনেছিল বিএনপি। এই তিনটি নির্বাচন নিয়েই ব্যাপক সমালোচনা আছে।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ ফেসবুকে লিখেছেন, ‘স্বৈরাচারের দোসর জাতীয় পার্টিকে সংলাপে আমন্ত্রণ জানানো হলে, আমরা সেই আত্মঘাতী সিদ্ধান্তের তীব্র প্রতিবাদ ও কঠোর বিরোধিতা করব।’

আরেক সমন্বয়ক সারজিস আলম লিখেছেন, ‘জাতীয় পার্টির মতো মেরুদণ্ডহীন ফ্যাসিস্টের দালালদেরকে প্রধান উপদেষ্টা কীভাবে আলোচনায় ডাকে?’ 

দেশে এখন নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের সংখ্যা ৪৫। গত ৫ আগস্ট ক্ষমতার পটপরিবর্তনের পর রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে এখন পর্যন্ত তিন দফায় আলোচনা বসেছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। সবশেষ বৈঠক হয় গত শনিবার। এতে অংশ নেয় বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী, গণতন্ত্র মঞ্চ, বাম গণতান্ত্রিক জোট, হেফাজতে ইসলাম, ইসলামী আন্দোলন, এবি পার্টি, গণঅধিকার পরিষদসহ বেশ কয়েকটি রাজনৈতিক দল। এ বৈঠকে জাতীয় পার্টিকে ডাকা হয়নি। 

এর আগে গত ৩১ আগস্ট রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে একদফা বসেছিলেন প্রধান উপদেষ্টা। সেই বৈঠকে জাতীয় পার্টিকে দেখা যায়নি। এখন পর্যন্ত প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকে আওয়ামী লীগের কোনো প্রতিনিধিকেও দেখা যায়নি। 

আগামী শনিবার আরও কয়েকটি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে বৈঠক করবেন প্রধান উপদেষ্টা। রাজনৈতিক দলগুলোর তালিকায় জাতীয় পার্টি আছে কিনা তা জানা যায়নি। 

১৯৮৬ সালে সাবেক স্বৈরশাসক হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ জাতীয় পার্টি প্রতিষ্ঠা করেন। ১৯৯৬ সালের নির্বাচনে সরকার গঠনের জন্য বিএনপি বা আওয়ামী লীগ কেউই একক সংখ্যা গরিষ্ঠতা পায় নি। পরে জাতীয় পার্টির সমর্থন নিয়ে সরকার গঠন করে শেখ হাসিনা নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ।

২০০৮ সালের নির্বাচনে জাতীয় পার্টি আওয়ামী লীগের বৃহত্তর নির্বাচনি জোট মহাজোটে যুক্ত হয়। সেই নির্বাচনে জয়ের পর সরকার গঠন করে আওয়ামী লীগ। সে সময় জাতীয় পার্টির বর্তমান চেয়ারম্যান জিএম কাদেরসহ কয়েকজন মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীও হন। 

জিএম কাদের সম্প্রতি গণমাধ্যমকে বলেছেন, প্রতিটি দল তাদের ওপর অত্যাচার করেছে। জাতীয় পার্টিকে অনেক কিছুতেই আওয়ামী লীগ সরকার বাধ্য করেছে বলেও দাবি করেন এই নেতা।

জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান বলেন, ‘আমরা সবসময় নির্যাতিত হয়েছি। আমাদেরকে অন্যায়ভাবে অনেককিছু করতে বাধ্য করা হয়েছে, যেটা হয়ত আমরা করতে চাইনি। বিভিন্নভাবে আমাদের নিষ্পেষণ করা হয়েছে। বড় বড় রাজনৈতিক দলগুলো নব্বইয়ের পর থেকে প্রতিটি দল আমাদের অত্যাচার, নিপীড়ন ও নির্যাতন করেছে।’

সাবেক বিরোধী দলীয় নেতা আরও বলেন, ‘২০১৪ জাতীয় নির্বাচনে বিএনপি অংশ না নেওয়ায় হুসেইন মুহম্মদ এরশাদও নির্বাচন বর্জন করেছিলেন। কিন্তু জাতীয় পার্টিকে জোর করে আনা হয়েছিল। ২০১৪-এর পর থেকে জাতীয় পার্টিকে দুই ভাগ করে ব্ল্যাকমেইল করা হয়েছে।’ উৎস: ইনডিপেনডেন্ট 

 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়