অপূর্ব চৌধুরী, জবি: [২] কোটা সংস্কারের দাবিতে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের ওপর গুলির ঘটনায় চার শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন। মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) বিকেল সাড়ে তিনটার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
[৩] প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, 'বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন' এর ব্যানারে ডাকা বিক্ষোভ কর্মসূচির অংশ হিসেবে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ মিছিল বের করেন। মিছিলটি চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালত সংলগ্ন সড়কের সামনে পৌঁছালে তাদের ওপর দুর্বৃত্তরা হামলা করে। এ সময় হামলাকারীরা শিক্ষার্থীদের ওপর গুলিবর্ষণ করে।
[৪] এতে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৮ ব্যাচের শিক্ষার্থী ফেরদৌস, ১৭ ব্যাচের অন্তু ও অনিকসহ চারজন গুলিবিদ্ধ হন। আহতদের উদ্ধার করে প্রথমে ঢাকা ন্যাশনাল মেডিকেল ইনস্টিটিউট হাসপাতালে নেওয়া হয়। এরপর সেখান থেকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়।
[৫] এ বিষয়ে কোতোয়ালি জোনের সহকারী কমিশনার (এসি) নজরুল ইসলাম বলেন, গুলির খবর শুনেছি। তবে আমরা এক গ্রুপই মিছিল করতে দেখেছি। অন্য গ্রুপ দেখিনি।
[৬] প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার বিকেল ৩টার দিকে স্ট্যাম্প, লাঠিসোঁটা নিয়ে জবি ক্যাম্পাসে অবস্থান নেন শিক্ষার্থীরা। তারা 'আন্দোলনে হামলা কেন? প্রশাসন জবাব চাই', 'কোটা না মেধা, মেধা, মেধা', 'দালালি না রাজপথ, রাজপথ, রাজপথসহ নানা স্লোগান দিতে থাকেন।
[৭] জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা ছাত্রলীগের পূর্বঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসির উদ্দেশ্যে দুপুর ২টা ৪৫ মিনিটের দিকে বাসে করে ক্যাম্পাস ছেড়ে চলে যান। তবে আন্দোলকারী শিক্ষার্থীরা অবস্থান নেওয়ায় পুরান ঢাকার স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের ক্যাম্পাসের সামনে শোডাউন দিতে দেখা যায়।
একে