অপূর্ব চৌধুরী: [২] বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশনের মহাসচিব ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক নিজামুল হক ভূঁইয়া বুধবার আমাদের নতুন সময়কে বলেন, সর্বজনীন পেনশনের প্রত্যয় স্কিম বাতিল, বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের সুপার গ্রেডে অন্তর্ভুক্তি ও স্বতন্ত্র বেতন স্কেল প্রবর্তনের দাবিতে আমরা ধারাবাহিকভাবেই সর্বাত্মক কর্মবিরতি পালন করে যাচ্ছি। আমাদের সাথে সরকারের আনুষ্ঠানিক কোন যোগাযোগ হচ্ছে না। তাই মিটিংয়েরও নতুন কোন সিদ্ধান্ত হয়নি। সরকারের সাথে মিটিং হোক বা না হোক, দাবি মানার আগ পর্যন্ত আমরা সর্বাত্মক আন্দোলন চালিয়ে যাব।
[৩] বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশনের সভাপতি অধ্যাপক আখতারুল ইসলাম বলেন, সর্বজনীন পেনশন ব্যবস্থার প্রত্যয় স্কিম শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের জন্য চরম বৈষম্যমূলক ও ক্ষতিকারক। এটি এমন এক ব্যবস্থা যার ফলে মেধাবী শিক্ষার্থীরা শিক্ষকতা পেশায় আসতে চাইবে না। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমাজ এটিকে প্রত্যাখ্যান করেছেন। সুতরাং প্রত্যয় স্কিম বাতিল করতে হবে। পাশাপাশি শিক্ষকদের সুপার গ্রেডে অন্তর্ভুক্তি এবং স্বতন্ত্র স্কেল প্রবর্তনও যৌক্তিক দাবি। এসব দাবি বাস্তবায়নের বিষয়ে দ্রুত শিক্ষকদের সাথে সরকার বৈঠক করতে পারেন নির্দিষ্ট কমিশন গঠন করে।
[৪] জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ড. শেখ মাশরিক হাসান বলেন, মেধাবী শিক্ষার্থীদের শিক্ষকতা পেশায় উৎসাহিত করতে তাদের সামাজিক নিরাপত্তা ও সুযোগ সুবিধা ঠিক রাখতে হবে। আমাদের আন্দোলন শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিতের জন্য। শিক্ষকদের যে তিনটি দাবি রয়েছে তা আদায়ের জন্য সারা দেশের বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের সঙ্গে আমরাও একাত্মতা পোষণ করে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছি।
[৫] এদিকে তিন দফা দাবিতে বুধবার টানা দশম দিনের মতো সর্বাত্মক কর্মবিরতি ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা। বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশনের আহ্বানে সাড়া দিয়ে ৩৫টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতি এই কর্মসূচি পালন করছে।
[৬] শিক্ষকদের পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীরাও প্রত্যয় স্কিম বাতিলের দাবিতে সর্বাত্মক কর্মবিরতি পালন করছেন। শিক্ষক-কর্মচারীদের এই সর্বাত্মক কর্মবিরতিতে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে বন্ধ রয়েছে ক্লাস-পরীক্ষা ও দাপ্তরিক কার্যক্রম। গত সপ্তাহ থেকে বিভিন্ন সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন শিক্ষার্থীরা। এতে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে সৃষ্টি হয়েছে অচলাবস্থা। সম্পাদনা: এম খান
আপনার মতামত লিখুন :