অপূর্ব চৌধুরী: [২] বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশনের মহাসচিব ও ঢাবি শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক নিজামুল হক ভূঁইয়া আমাদের নতুন সময়কে বলেন, সর্বজনীন পেনশনের প্রত্যয় স্কিম বাতিল, বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের সুপার গ্রেডে অন্তর্ভুক্তি ও স্বতন্ত্র বেতন স্কেল প্রবর্তনের দাবিতে আমরা নয় দিন ধরে সর্বাত্মক আন্দোলন অব্যাহত রেখেছি। সরকারের পক্ষ থেকে আমাদের সাথে নিয়মিতই পরোক্ষভাবে যোগাযোগ করা হচ্ছে। তবে আনুষ্ঠানিকভাবে বৈঠকের বিষয়ে কোন কিছু নির্ধারিত হয়নি।
[৩] তিনি বলেন, বৈঠকে আমরা এই দাবিগুলোর পক্ষে যুক্তি প্রদর্শন করতে পারলে সরকার এগুলো মেনে নিবেন বলে আশা করা যায়। তবে কোন প্রকার সাড়া না পেলে কিংবা দাবিগুলো না মানা পর্যন্ত আমাদের চলমান আন্দোলন অব্যাহত থাকবে। আপাতত এটিই আমাদের পরিকল্পনা। প্রয়োজন সাপেক্ষে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশনের অন্যান্য নেতৃবৃন্দের সাথে বৈঠক করে নতুন কর্মসূচি নির্ধারণ করা হবে।
[৪] জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ড. শেখ মাশরিক হাসান বলেন, আমাদের এই আন্দোলন সরকারের বিরুদ্ধে নয়, বৈষম্যের বিরুদ্ধে। আমরা আন্দোলন করে যাচ্ছি শিক্ষার্থীদের জন্য ও বাংলাদেশের উচ্চশিক্ষাকে বাঁচানোর জন্য। সরকারের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি দ্রুত দাবিগুলো বিবেচনাপূর্বক মেনে নিয়ে আমাদের ক্লাসরুমে ফিরে যাওয়ার পথ সুগম করা হোক।
[৫] তিন দফা দাবিতে মঙ্গলবার নবম দিনের মতো সর্বাত্মক কর্মবিরতি ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা। বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশনের আহ্বানে সাড়া দিয়ে ৩৫টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতি এই কর্মসূচি পালন করছে।
[৬] শিক্ষকদের পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীরাও প্রত্যয় স্কিম বাতিলের দাবিতে সর্বাত্মক কর্মবিরতি পালন করছেন। শিক্ষক-কর্মচারীদের এই সর্বাত্মক কর্মবিরতিতে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে বন্ধ রয়েছে ক্লাস-পরীক্ষা ও দাপ্তরিক কার্যক্রম। গত সপ্তাহ থেকে বিভিন্ন সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন শিক্ষার্থীরা। এতে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে সৃষ্টি হয়েছে অচলাবস্থা। সম্পাদনা: সালেহ্ বিপ্লব
এসবি২
আপনার মতামত লিখুন :