শিরোনাম
◈ অতিদ্রুত জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে এটাই আমাদের প্রত্যাশা: মির্জা ফখরুল ◈ প্রথম অধ্যায় শেষ হয়েছে, রাজনৈতিক সংলাপের মাধ্যমে দ্বিতীয় অধ্যায় শুরু হলো: প্রধান উপদেষ্টা ◈ আইরিশ ফুটবলার রাতে বিশ্বরেকর্ড গড়ে সকালে গেলেন স্কুলে ক্লাস করতে ◈ চ্যাম্পিয়নস ট্রফি দেখা যাবে টি-স্পোর্টসসহ যেসব চ্যানেলে ◈ ভারতের চ্যাম্পিয়নস ট্রফির দলে কেনো ৫ স্পিনার, অশ্বিনের প্রশ্ন ◈ বিশেষ অভিযানে ছিনতাইকারীসহ বিভিন্ন অপরাধে জড়িত ১৩ জনকে গ্রেফতার  ◈ জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় সরকার নির্বাচন চাই না: পার্থ (ভিডিও) ◈ ব্যর্থ হলে জাতি আমাদের ক্ষমা করবে না: আলী রীয়াজ (ভিডিও) ◈ বঙ্গবন্ধু নয়, এখন থেকে জাতীয় স্টেডিয়াম ◈ প্রতিজ্ঞা করি আমরা যেন গণঅভ্যুত্থানের যোদ্ধাদের আত্মত্যাগের প্রতি অসম্মান না জানাই: ড. ইউনূস

প্রকাশিত : ০৯ জুলাই, ২০২৪, ০৬:০৭ বিকাল
আপডেট : ১৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, ০২:০০ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

কোটা সংস্কারের দাবিতে বুয়েট শিক্ষার্থীদের নিরব প্রতিবাদ

অপূর্ব চৌধুরী: [২] মঙ্গলবার দুপুর সাড়ে ১২টায় বাংলাদেশ প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের সামনে কোটা সংস্কারের দাবিতে নিরব প্রতিবাদ জানিয়ে মৌন মানববন্ধন করেছেন শিক্ষার্থীরা। শুরুতে তারা দশ মিনিট নিরবে দাঁড়িয়ে থাকেন। চলমান কোটা সংস্কার আন্দোলনের সাথে একাত্মতা ঘোষণা করে এই মানববন্ধন করেন তারা। সূত্র: চ্যানেল ২৪ অনলাইন

[৩] মানববন্ধনে কোন বক্তব্য না দিলেও একটি লিখিত বক্তব্য সাংবাদিকদের দেন শিক্ষার্থীরা। লিখিত বক্তব্যে শিক্ষার্থীরা বলেন, ২০১৮ সালে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের কোটা বাতিলের পরিপত্রটি অবৈধ ঘোষণা করে গত ৫ জুন রায় দেন হাইকোর্ট। এতে সারাদেশের মেধাবী শিক্ষার্থীদের মধ্যে ভবিষ্যৎ সরকারি কর্মসংস্থান নিয়ে অনিশ্চয়তার উদ্রেক ঘটে। সূত্র: জাগো নিউজ

[৪] মুক্তিযুদ্ধ পরবর্তী সময়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান দেশ পুনর্গঠনের দায়িত্ব নিয়ে যুদ্ধে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার এবং নারীদের জন্য যথাক্রমে ৩০ শতাংশ ও ১০ শতাংশ কোটার ব্যবস্থা করেন। মুক্তিযুদ্ধে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের অনেকে শহীদ হওয়াতে তাদের পরিবার উপার্জনক্ষম ব্যক্তিদের হারায়। অনেকে পরিবারের গুরুত্বপূর্ণ সদস্যকে হারান। অনেকে যুদ্ধে অংশগ্রহণ করে পঙ্গুত্ব বরণ করেন। 

[৫] শিক্ষার্থীরা আরও বলেন, তখন বেঁচে থাকা মুক্তিযোদ্ধা এবং শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের পরিবারের জন্য ৩০ শতাংশ কোটা ব্যবস্থা করা সময়োপযোগী সঠিক সিদ্ধান্ত ছিল। তাছাড়াও তৎকালীন নারী শিক্ষায় এই জনপদ অনগ্রসর ছিল। যে নারীরা পড়াশোনা করেছেন, তারা অনেক প্রতিকূলতা অতিক্রম করে পড়ালেখা করেছেন। সে জন্য তাদের জন্যও কোটা থাকা জরুরি ছিল।

[৬] তারা বলেন, বর্তমান সময়ে এসে অধিকাংশ মুক্তিযোদ্ধা পরিবার সচ্ছল জীবনযাপন করছে। তাদের পরিবারের নাতি-নাতনিদের আগের অনগ্রসর পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে হচ্ছে না। এ ক্ষেত্রে মুক্তিযোদ্ধা কোটা পদ্ধতি সংস্কার করা বাধ্যতামূলক। বর্তমানে দেশের সাক্ষরতার হার ৭৬ দশমিক ৮ শতাংশ, সেখানে মেয়েদের সাক্ষরতার হার ৭৩ শতাংশ। দেশে নারীরা শিক্ষা ও যোগ্যতায় অনেক দূর এগিয়ে গেছে। নারীরা তাদের আত্মমর্যাদা ও অধিকারের প্রতি যথেষ্ট সচেতন। ১০ শতাংশ নারী কোটা বজায় রাখা আত্মমর্যাদাশীল নারীদের প্রতি অসম্মানজনক। সম্পাদনা: এম খান

এসি/আইকে/এনএইচ

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়