শিরোনাম
◈ নারী সংস্কার কমিশনের কিছু সুপারিশ কোরআন-হাদিসের লঙ্ঘন, বললেন জামায়াতে ইসলামীর আমির ◈ রামপালের চেয়ে ৬০% কম: মাতারবাড়ী বিদ্যুৎকেন্দ্রে প্রতি ইউনিট বিদ্যুতের দাম ৮.৪৫ টাকা ◈ সোনার খোঁজে নেপাল যা‌চ্ছে বাংলাদেশ টেবিল টেনিস দল ◈ সংসদীয় সংস্কারে রাষ্ট্রপতির স্বাধীন সিদ্ধান্তের পক্ষে বিএনপি, ২২ এপ্রিল তৃতীয় দফা বৈঠক ◈ ডিসেম্বরে নির্বাচন আদায়ে সোচ্চার বিএনপি, সর্বদলীয় জনমত গঠনে জোর, চলছে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপ ◈ সিলেটে বাংলা‌দেশ অলআউট ১৯১ রা‌নে, দিন শে‌ষে জিম্বাবুয়ের সংগ্রহ বিনা উই‌কে‌টে ৬৭ ◈ সংসদ সদস্যদের দলীয় সিদ্ধান্তের বাইরে ভোট দেওয়ার সুযোগ চায় বিএনপি: চারটি বিষয়ে ব্যতিক্রম প্রস্তাব ◈ যাত্রাবাড়ী ও শাহবাগে আওয়ামী লীগের ঝটিকা মিছিল, গ্রেপ্তার ৫ ◈ রিজার্ভ বেড়ে পৌনে ২৭ বিলিয়ন ডলার ◈ বেড়ে দেড় লাখ টাকার মাইলফলকে পৌঁছাল স্মারক স্বর্ণমুদ্রার দাম

প্রকাশিত : ২০ এপ্রিল, ২০২৫, ১০:০৫ রাত
আপডেট : ২০ এপ্রিল, ২০২৫, ১১:০০ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

রামপালের চেয়ে ৬০% কম: মাতারবাড়ী বিদ্যুৎকেন্দ্রে প্রতি ইউনিট বিদ্যুতের দাম ৮.৪৫ টাকা

টিবিএস প্রতিবেদন: ২০২২-২৩ অর্থবছরে বিপিডিবি জানায়, পায়রা বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে প্রতি ইউনিট বিদ্যুৎ উৎপাদনে খরচ হয়েছে ১২ টাকা। সেই তুলনায় মাতারবাড়ীর বিদ্যুতের দাম পায়রা ও এসএস বিদ্যুৎকেন্দ্রের চেয়ে প্রায় ৪২ শতাংশ কম।

পাইকারি (বাল্ক) বিদ্যুৎমূল্যের কাঠামোতে বড় পরিবর্তন এনে ১,২০০ মেগাওয়াট সক্ষমতার মাতারবাড়ী আলট্রা সুপার ক্রিটিক্যাল কয়লা-চালিত বিদ্যুৎকেন্দ্রে উৎপাদিত প্রতি ইউনিট বিদ্যুতের দাম রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্রের চেয়ে প্রায় ৬০ শতাংশ কমিয়ে আনতে পেরেছে বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (বিপিডিবি)। 

আলোচনার মাধ্যমে বিপিডিবি মাতারবাড়ী বিদ্যুৎকেন্দ্রের মূল কোম্পানি কোল পাওয়ার জেনারেশন কোম্পানি অভ বাংলাদেশ লিমিটেড-এর (সিপিজিসিবিএল) সঙ্গে ট্যারিফ (মূল্য) কাঠামো চূড়ান্ত করেছে। এতে প্রতি ইউনিট বিদ্যুতের মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ৮.৪৫ টাকা, যা রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্রের ১৩.৫৭ টাকা ইউনিটমূল্যের চেয়ে ৫.১২ টাকা কম।

সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, মাতারবাড়ীর বিদ্যুতের এই মূল্য চূড়ান্ত করতে সরকারি ক্রয়-সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটিতে প্রস্তাব পাঠিয়েছে বিদ্যুৎ বিভাগ। প্রস্তাবটি এখন পরবর্তী বৈঠকে পর্যালোচনার অপেক্ষায় রয়েছে।

বিদ্যুৎ ও জ্বালানি উপদেষ্টা মোহাম্মদ ফাওজুল কবির খান দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডকে বলেন, 'আমরা মাতারবাড়ী বিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রতি ইউনিট বিদ্যুতের দাম ৮.৪৫ টাকা নির্ধারণ করেছি, যা অন্যান্য কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের চেয়ে অনেক কম। এই নতুন ট্যারিফ কাঠামো শিগগিরই অনুমোদন পাবে বলে আশা করছি।'

অন্যান্য কয়লাভিত্তিক কেন্দ্রের সঙ্গে ফের দরকষাকষির চিন্তা সরকারের

মাতারবাড়ী এখন কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের মধ্যে এক ধরনের মানদণ্ড হিসেবে দাঁড়ানোয় সরকার এখন এসএস পাওয়ার (এস আলম গ্রুপের মালিকানাধীন), রামপাল, পায়রা, ভারতের আদানিসহ অন্যান্য কয়লাবিদ্যুৎকেন্দ্রের সঙ্গেও বিদ্যুতের দাম নিয়ে নতুন করে আলোচনার প্রস্তুতি নিচ্ছে।

কর্মকর্তারা বলছেন, এ আলোচনার মূল যুক্তি হলো: মাতারবাড়ী যদি ৮.৪৫ টাকা ইউনিট দরে বিদ্যুৎ দিতে পারে, অন্যরা কেন পারবে না?

ফাওজুল কবির খান বলেন, 'মাতারবাড়ীর এই ট্যারিফ কাঠামোই আলোচনার বেঞ্চমার্ক হবে। স্পষ্ট রেফারেন্স পয়েন্ট ছাড়া আমরা যথাযথভাবে [মূল্য কাঠামো] পুনর্গঠনের প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরতে পারব না। কেউ যেন মনে না করে আমরা অযৌক্তিকভাবে সিদ্ধান্ত চাপিয়ে দিচ্ছি।'

বর্তমানে অন্যান্য কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে বিদ্যুৎ কিনতে ইউনিটপ্রতি ১২ থেকে ১৪ টাকা খরচ পড়ে বলে জানিয়েছেন বিদ্যুৎ বিভাগের কর্মকর্তারা।

এদিকে মাতারবাড়ীর চূড়ান্ত মূল্য কাঠামো এখনও অনুমোদন না পাওয়ায় বিপিডিবি আপাতত কেবল কয়লা আমদানির খরচ মেটানোর জন্যই সিপিজিসিবিএলকে অর্থ পরিশোধ করছে। মূল্য কাঠামো ক্রয়-সংক্রান্ত কমিটির অনুমোদন পাওয়ার পর মাতারবাড়ী কেন্দ্র থেকে সরবরাহকৃত বিদ্যুতের জন্য বকেয়া হিসাব করে পুরো বিল পরিশোধ করবে বিপিডিবি।

মূল্য সম্পর্কে জানতে চাইলে বিপিডিবি চেয়ারম্যান মো. রেজাউল করিম বলেন, 'আমরা এখন কেবল মাতারবাড়ী বিদ্যুৎকেন্দ্রের জন্য কয়লা আমদানি করতে এককালীন অর্থ দিচ্ছি। ট্যারিফ অনুমোদন পাওয়ার পর চুক্তি অনুযায়ী সিপিজিসিবিএলের বকেয়া বিল মিটিয়ে দেওয়া হবে।'

তিনি আরও বলেন, 'আমরা এখন যে অর্থ পরিশোধ করছি, তা নির্ধারিত ট্যারিফের চেয়ে কম। এই টাকা কেবল কয়লা আমদানির খরচ মেটাতে এবং বিদ্যুৎকেন্দ্রটি সচল রাখতে দেওয়া হচ্ছে। কেন্দ্রটি থেকে এখন পর্যন্ত কী পরিমাণ বিদ্যুৎ পেয়েছি, তার হিসাব করে পরে পুরো বকেয়া পরিশোধ করা হবে।'

প্রকল্পটির ইঞ্জিনিয়ারিং, প্রোকিওরমেন্ট অ্যান্ড কনস্ট্রাকশন (ইপিসি) চুক্তি পর্যায়ে অনেকেই আশঙ্কা করেছিলেন, বারবার বিলম্বের কারণে মাতারবাড়ী বিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রতি ইউনিট বিদ্যুতের মূল্য ১৩ টাকা পর্যন্ত উঠে যেতে পারে।

রেজাউল করিম বলেন, 'বিদ্যুৎ খাতে আমরা একটি ব্যয়-সাশ্রয়ী পদ্ধতি গ্রহণ করেছি। আমরা মাতারবাড়ী বিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রকৃত খরচ বিশ্লেষণ করে সেই ফলাফলের ওপর ভিত্তি করে একটি ট্যারিফ কাঠামো প্রস্তুত করেছি, যাতে সরকারি ভর্তুকি সর্বনিম্ন রাখা যায়।'

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়