টানা দ্বিতীয় দিনের মতো দুবাইয়ে স্বর্ণের দামে আগুন। মাত্র একদিনে দুবাই গোল্ড রেটে প্রতি গ্রাম ২২ ক্যারেটের স্বর্ণের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে ১৪ দিরহাম বা প্রায় ৪৬২.৬৪ টাকা। ফলে বর্তমানে ২২ ক্যারেটের এক গ্রাম স্বর্ণের দাম দাঁড়িয়েছে ৩৭২.৫ দিরহাম বা প্রায় ১২,৩০৯ টাকা।
প্রতিদিনই এই দাম নতুন নতুন রেকর্ড সৃষ্টি করছে এবং পরদিনই তা ভেঙে নতুন রেকর্ড সৃষ্টি হচ্ছে। ফলে এ খবর দিয়ে অনলাইন গালফ নিউজ প্রশ্ন তুলেছে, দামের এই ঊর্ধ্বমুখী দৌড় কখন শেষ হবে? এতে আরও বলা হয়েছে, এর আগে কখনো স্বর্ণের দামের ক্ষেত্রে এমন ঘটনা দেখা যায়নি। প্রথমবারে মতো ২৪ ক্যারেটের এক গ্রাম স্বর্ণের দাম দাঁড়িয়েছে ৪০০ দিরহাম। এ বছরের শুরুতে একটি মার্কেট সোর্স বলেছে, এই মূল্যবৃদ্ধি কমপক্ষে সেপ্টেম্বর/অক্টোবর পর্যন্ত চলতে থাকবে।
মালাবার গোল্ড অ্যান্ড ডায়মন্ডস-এর ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল সালাম কে. পি. বলেন, এ বছর দুবাইয়ে স্বর্ণের সর্বনিম্ন ও এখন পর্যন্ত দামের পার্থক্য প্রতি গ্রামে প্রায় ১৫০ দিরহাম। ১৪ই ফেব্রুয়ারি ২২ ক্যারেটের প্রতি গ্রাম স্বর্ণের এ বছর স্থানীয় পর্যায়ে সর্বনিম্ন দাম ছিল ২২৩.২৫ দিরহাম। অন্যদিকে সৌদি আরবে ২২ ক্যারেট ও ২৪ ক্যারেটের প্রতি গ্রাম স্বর্ণের মূল্য যথাক্রমে ২৭৮ রিয়াল ও ৪০৯ রিয়াল। বৈশ্বিক বাজারে স্বর্ণের দাম বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। ১৭ই এপ্রিলের লেখা প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘এক পর্যায়ে এদিন প্রতি আউন্স ৩৩৫০ ডলারের বেশি দামে বিক্রি হয়েছে। এ সময়ে তা ৩৩৩৭ ডলার।
কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো ২৪ ঘন্টা আগে যে দাম ছিল এই দাম তার চেয়ে ১১৫ ডলার বেশি। একজন স্বর্ণ ব্যবসায়ী বলেছেন- আগের দিন আমরা যখন দোকান খুলি তখন হতাশা কাজ করেছিল যে, এই দাম ৩২৮০ ডলারে এসে দাঁড়াবে কিনা। কে ভাবতে পেরেছিল যে, আমরা কয়েক দিনের মধ্যে ৩৩৮০ ডলারে পৌঁছে যাবো?
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প পারস্পরিক শুল্ক আরোপের ঘোষণায় বাজারে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে। এ অবস্থায় অস্থিরতা দেখে বিশ্বের কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলো এবং বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠানগুলো স্বর্ণ কিনে রাখছে। হতে পারে এ কারণে স্বর্ণের এত দাম বাড়ছে। তবে চীন বাদে ট্রাম্প অন্য দেশগুলোর জন্য আরোপিত শুল্ক ৯০ দিনের জন্য স্থগিত করেছেন। এ সময়ের মধ্যে আলোচনা, সমঝোতায় পরিস্থিতি কতটা পরিবর্তন হবে তা নিশ্চিত করে বলা যায় না। ফলে দুবাইয়ের ব্যবসায়ীরা এখন স্বর্ণের দাম সম্পর্কে কোনো পূর্বাভাস দিতে পারছেন না। এমনকি কবে এই দাম স্থিতিশীল হবে তাও তারা বলতে পারছেন না। কারণ, এক ঘন্টার মধ্যে দাম পরিবর্তন হতে পারে। ২৪ ঘন্টার মধ্যে এমন পরিবর্তন দেখা গেছে।