শিরোনাম
◈ জিম্মিদের ছেড়ে দিতে চায় হামাস, যুদ্ধ সমাপ্তির জন্য পূর্ণাঙ্গ চুক্তির দাবি ◈ চট্টগ্রাম-নারায়ণগঞ্জ পাইপলাইনে জ্বালানি তেল পরিবহন শুরু মে-তে, সাশ্রয় হবে কোটি টাকা ◈ দূতাবাসের সীমাবদ্ধতা সত্ত্বেও প্রবাসীদের সেবা নিশ্চিতের নির্দেশ পররাষ্ট্র উপদেষ্টার ◈ রাজউকের সাবেক চেয়ারম্যানের স্ত্রী সহ দেশ ত্যাগে আদালতের নিষেধাজ্ঞা ◈ ভারতে সংখ্যালঘু সুরক্ষা নিয়ে বাংলাদেশের উদ্বেগ প্রত্যাখ্যান করল দিল্লি, পাল্টা দিল নজর ঘোরানোর অভিযোগ ◈ ফ্লোরিডা স্টেট ইউনিভার্সিটিতে বন্দুকধারীর গুলিতে নিহত ২, ট্রাম্প বললেন ‘বন্দুক নয়, মানুষ গুলি করে’ ◈ পাকিস্তানের খনিজ ভাণ্ডারে ট্রাম্প প্রশাসনের নজর, বিনিয়োগে বাধা নিরাপত্তা ও অবকাঠামো সংকট ◈ এবার চীনের সঙ্গে শুল্ক যুদ্ধ শেষের ইঙ্গিত ট্রাম্পের, টিকটক চুক্তি বিলম্বিত হতে পারে ◈ ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্কে স্থিতিশীলতার ইঙ্গিত, পারস্পরিক স্বার্থে অর্থনৈতিক সম্পর্ক জোরদার করার আহ্বান বিশেষজ্ঞের ◈ হার্ভার্ডে বিদেশি শিক্ষার্থী ভর্তি বন্ধের হুঁশিয়ারি

প্রকাশিত : ১১ এপ্রিল, ২০২৫, ০২:২৭ রাত
আপডেট : ১৬ এপ্রিল, ২০২৫, ০৩:০০ দুপুর

প্রতিবেদক : মনজুর এ আজিজ

যুক্তরাষ্ট্রে পোশাক রপ্তানিতে প্রবৃদ্ধি ২৬.৬৪ শতাংশ

মনজুর এ আজিজ : যুক্তরাষ্ট্রে পোশাক রপ্তানিতে বাংলাদেশ উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জন করেছে। আমেরিকান বাজারে চলতি বছরের এই সময়ে বাংলাদেশ থেকে রপ্তানি হয়েছে ১৫০ কোটি ডলারের পোশাক, যা গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ২৬ দশমিক ৬৪ শতাংশ বেশি। ২০২৪ সালের এ সময়ে বাংলাদেশ থেকে পোশাক আমদানির পরিমাণ ছিল ১১৮ কোটি ডলার।

বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতি (বিজিএমইএ) জানিয়েছে- যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য পরিসংখ্যান সংস্থা ওটেক্সার তথ্য মতে, জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারি মাসে দেশটি বিশ্বজুড়ে মোট ১৩ দশমিক ৫৫ বিলিয়ন ডলারের পোশাক আমদানি করেছে, যা আগের বছরের তুলনায় ১১ দশমিক ২০ শতাংশ বেশি। ২০২৪ সালে জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারি দুই মাসে পোশাক আমদানির পরিমাণ ছিল ১২ দশমিক ১৮ বিলিয়ন ডলার। এর মধ্যে বাংলাদেশের অংশ ছিল উল্লেখযোগ্য। এছাড়া বিশ্বের অন্যান্য প্রধান পোশাক রপ্তানিকারক দেশের মধ্যে ভারতের প্রবৃদ্ধি ছিল ২৫ দশমিক ৭০ শতাংশ, পাকিস্তানের ২৩ দশমিক ০৫ শতাংশ, ভিয়েতনামের ১১ দশমিক ১৪ শতাংশ এবং চীনের ৮ দশমিক ৮৫ শতাংশ।

পরিমাণের দিক থেকে (পিস হিসাবে) বাংলাদেশ থেকে যুক্তরাষ্ট্রের পোশাক আমদানি বেড়েছে। গত বছরের একই সময়ের তুলনায় যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশ থেকে ২৩ দশমিক ৩৮ শতাংশ বেশি পোশাক (পিস) আমদানি করেছে। অন্যদিকে, ভারত থেকে আমদানি বেড়েছে ৩১ দশমিক ৯০ শতাংশ, পাকিস্তান থেকে ২৪ দশমিক ৬৮ শতাংশ, ভিয়েতনাম থেকে ৭ দশমিক ২৫ শতাংশ এবং চীন থেকে ৫ দশমিক ৭৮ শতাংশ। বিশ্বব্যাপী এই প্রবৃদ্ধির হার ছিল ৯ দশমিক ৭৯ শতাংশ।

বাংলাদেশের পোশাকের পিসপ্রতি গড় দাম বেড়েছে ২ দশমিক ৬৪ শতাংশ। ভিয়েতনামের বেড়েছে ৩ দশমিক ৬২ শতাংশ, চীনের ২ দশমিক ৯১ শতাংশ। তবে ভারতের দাম কমেছে ৪ দশমিক ৭১ শতাংশ এবং পাকিস্তানের ১ দশমিক ৩০ শতাংশ। বিশ্বব্যাপী ইউনিট প্রাইস বেড়েছে ১ দশমিক ২৮ শতাংশ।

বিশ্লেষকরা বলছেন, যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে বাংলাদেশের এই অগ্রগতি বৈশ্বিক প্রতিযোগিতায় দেশের অবস্থানকে আরও সুসংহত করবে, তবে আসন্ন চ্যালেঞ্জের জন্য প্রস্তুত থাকাটাও বেশ জরুরি। যাতে আগামীতে এ অবস্থা ধরে রেখে আরও ভাল অবস্থায় যাওয়া যায়।  

এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশ গার্মেন্টস প্রস্তুত ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) সাবেক পরিচালক এবং বাংলাদেশ অ্যাপারেল এক্সচেঞ্জের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মহিউদ্দিন রুবেল বলেন, এই প্রবৃদ্ধি বাংলাদেশি পোশাক খাতের মান ও সক্ষমতার প্রতিফলন। তবে এই ধারা অব্যাহত রাখতে আমাদের প্রতিযোগিতামূলক সুবিধা ধরে রাখা জরুরি। যাতে আগামীতে আমরা আরও ভাল করতে পারি।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়