ভারত সরকার বাংলাদেশের ট্রান্সশিপমেন্ট বাতিলের পর পোশাক রপ্তানি স্বাভাবিক রাখতে ঢাকা ও সিলেট বিমানবন্দর ব্যবহার করা হবে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন। বুধবার মধ্যরাতে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে জরুরি বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের তিনি এমনটি জানান।
বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন সাংবাদিকদের বলেন, নেপাল ও ভুটানে রপ্তানির যে প্রক্রিয়া, তাতে এ সিদ্ধান্তে কোনো প্রভাব পড়বে না। তবে সরকার তৈরি পোশাক রপ্তানিসহ সার্বিক বাণিজ্য স্বাভাবিক রাখতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করছে। ঢাকা ও সিলেট বিমাণবন্দরের নিজস্ব সক্ষমতা ব্যবহার করে এ প্রক্রিয়া স্বাভাবিক রাখা হবে। অন্যান্য ক্ষেত্রে আমাদের সক্ষমতা বাড়াতে কিছু পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
বাণিজ্য উপদেষ্টা আরও জানান, আগামীকাল বৃহস্পতিবার এ বিষয়ে একটি আন্তমন্ত্রণালয় বৈঠক হবে। সেখানে অন্যান্য মন্ত্রণালয়ের পরামর্শ অনুযায়ী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
এর আগে গতকাল মঙ্গলবার ভারতের ভূখণ্ড ব্যবহার করে বাংলাদেশের পণ্য তৃতীয় দেশে যাওয়ার সুবিধা বাতিল করে প্রতিবেশী দেশটি। এর পরিপ্রেক্ষিতে আজ বুধবার রাত সাড়ে ৯টায় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে জরুরি বৈঠক আহ্বান করা হয়।
এদিকে ভারত সরকার ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা প্রত্যাহারের ফলে ৪টি বাংলাদেশি রপ্তানি পণ্য বোঝাই ট্রাক ফেরত এসেছে। আজ বুধবার (০৯ এপ্রিল) দুপুরে বেনাপোল বন্দর থেকে ট্রাকগুলো ঢাকায় ফেরত আসে।
ট্রান্সশিপমেন্টের মাধ্যমে ভারতের ভূখণ্ড ব্যবহার করে বাংলাদেশের পণ্য তৃতীয় দেশে যাওয়ার জন্য ২০২০ সালের ২৯ জুন একটি আদেশ জারি করেছিল ভারত। এতে বাংলাদেশ থেকে তৃতীয় কোনো দেশে পণ্য রপ্তানিতে ট্রান্সশিপমেন্টের মাধ্যমে ভারতের একটি শুল্ক স্টেশন ব্যবহার করে অন্য কোনো বন্দর বা বিমানবন্দর ব্যবহার করার সুযোগ ছিল।
তবে গতকাল মঙ্গলবার এক প্রজ্ঞাপনে সেই আদেশ বাতিল করে ভারতের সেন্ট্রাল বোর্ড অব ইনডাইরেক্ট ট্যাক্সেস অ্যান্ড কাস্টমস (সিবিআইসি)।