জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)-এর তথ্য অনুযায়ী, ২০২৪-২৫ অর্থবছরের মার্চ মাসে রপ্তানি গত বছরের একই মাসের তুলনায় ১১.৪৪ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে ৪.২৫ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছে।
২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রথম ৯ মাসে (জুলাই-মার্চ) বাংলাদেশ রপ্তানি খাতে প্রশংসনীয় উন্নতি করেছে। মোট রপ্তানি আয় হয়েছে ৩৭.১৯ বিলিয়ন ডলার, যা পূর্ববর্তী অর্থবছরের একই সময়ের ৩৩.৬১ বিলিয়ন ডলারের তুলনায় ১০.৬৩ শতাংশ বৃদ্ধি।
২০২৫ সালের মার্চ মাসেই বাংলাদেশের রপ্তানি আয় ছিল ৪.২৫ বিলিয়ন ডলার, যা ২০২৪ সালের মার্চ মাসের ৩.৮১ বিলিয়ন ডলারের তুলনায় ১১.৪৪ শতাংশ বৃদ্ধি।
দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) সাবেক পরিচালক আশিকুর রহমান তুহিন বলেন, ঈদের ছুটির কারণে মার্চ মাসে কিছু পণ্য আগেভাগে পাঠানো হয়েছিল, যার প্রভাব এখন পোশাক রপ্তানি বেড়ে যাওয়ায় মধ্য দিয়ে প্রতিফলিত হচ্ছে।
তিনি আরও জানান, মার্চ ও এপ্রিল মাসে সাধারণত গ্রীষ্মকালীন মৌসুমের চূড়ান্ত চালান পাঠানো হয়।
তবে, হঠাৎ করে ট্রাম্প প্রশাসনের শুল্ক বৃদ্ধির সিদ্ধান্তে খাতটির ভবিষ্যৎ প্রবৃদ্ধি নিয়ে হতাশা প্রকাশ করেন তিনি।
তুহিন বলেন, 'ক্রেতা ও সরবরাহকারী—সবাই এখন শুল্কের মোট প্রভাব সম্পর্কে স্পষ্ট ব্যাখ্যার অপেক্ষায়।'
তিনি আরও বলেন, 'এই মুহূর্তে যদি কোনো ক্রেতা ছাড় বা খরচ ভাগাভাগির কথা বলেন, তা হবে চুক্তি লঙ্ঘন। এটি কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগ নয়। এমন একতরফা সিদ্ধান্ত অনৈতিক বলেই বিবেচিত হবে।'
বাংলাদেশের রপ্তানি খাতের প্রধান ভিত্তি হিসেবে পরিচিত তৈরি পোশাক খাত (আরএমজি) পূর্বের মতোই শীর্ষ অবস্থান ধরে রেখেছে।
২০২৪-২৫ অর্থবছরের জুলাই থেকে মার্চ পর্যন্ত তৈরি পোশাক খাত থেকে রপ্তানি আয় হয়েছে ৩০.২৫ বিলিয়ন ডলার, যা আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ১০.৮৪ শতাংশ বেশি।
শুধু মার্চ মাসেই এই খাতে রপ্তানি আয় দাঁড়িয়েছে ৩.৪৫ বিলিয়ন ডলার, যা গত বছরের মার্চে ছিল ৩.০৭ বিলিয়ন ডলার। এ হিসাবে ১২.৪০ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়েছে বলে এনবিআর জানিয়েছে। উৎস: বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড।