শিরোনাম
◈ জাতীয় সংসদের আসন ৬০০ করার সুপারিশ নারী সংস্কার কমিশনের ◈ ১১ ওভারের মধ্যে জিতেও বিদায় ওয়েস্ট ইন্ডিজের, বিশ্বকাপে বাংলাদেশ ◈ অফিস সময়ে সভা করতে সম্মানী নয়: জ্বালানি উপদেষ্টা ◈ হজ ফ্লাইট ২৯ এপ্রিল, বিড়ম্বনা ও দুর্ভোগ ছাড়াই হজে যাবেন যাত্রীরা ◈ নারী সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন ছাপিয়ে বিলি করা হবে: ড. ইউনূস ◈ ৪ বিয়ে করে বিপাকে বৃদ্ধ, থানায় দেখা স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার সঙ্গে ◈ প্রধানমন্ত্রী নয়, মন্ত্রিপরিষদ শাসিত সরকার চায় এনসিপি: নাহিদ ইসলাম ◈ ইসরাইলিদের আল-আকসা মসজিদ ধ্বংস করার গুঞ্জন, ফিলিস্তিনের সতর্কবার্তা ◈ শেখ মুজিবের ছবি অপসারণের ঘটনায় শিক্ষার্থী বহিষ্কার, ছাত্রদলের প্রতিবাদ ◈ বড় হারে অনিশ্চয়তায় বাংলাদেশের বিশ্বকাপ স্বপ্ন 

প্রকাশিত : ১৮ মার্চ, ২০২৫, ০৩:২১ রাত
আপডেট : ১৮ এপ্রিল, ২০২৫, ০৮:০০ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

 কয়েক দফায় মূল্য বৃদ্ধি: ইতিহাসের সর্বোচ্চ দামে বিক্রি হচ্ছে চাল

ইতিহাসের সর্বোচ্চ দামে বিক্রি হচ্ছে বাঙালির প্রধান খাবার চাল। গত দু’মাসে কয়েক দফায় দাম বেড়ে মিনিকেট চাল বিক্রি হচ্ছে ৮৫ টাকায়। ১০ টাকা বেড়ে বিআর-২৮ চালের দাম উঠেছে ৬২ টাকায়। নাজিরশাইল ও মোটা চালে বেড়েছে ৪ থেকে ৮ টাকা। খুরচা পর্যায়ের বিক্রেতারা এমন পরিস্থিতিতে দুষছেন সিন্ডিকেটকে। আর মিল মালিকরা বলছেন বড়বড় কর্পোরেট কোম্পানি গুলোর কারসাজিতে বাড়ছে চালের দাম।

চালের এমন দাম বৃদ্ধিতে ক্ষোভ প্রকাশ করছেন সাধারণ ক্রেতারা। কারওয়ান বাজারে চাল কিনতে এসেছেন আবুল হোসেন। তিনি একটি বেসরকারি কোম্পানিতে চাকুরি করেন। তিনি বলেন: আমি যে কামাই করি সেটা তো আর বাড়ছে না। কামাই বাড়ছে না চালের দাম কিন্তু ঠিকই বাড়ছে। চালের দাম বাড়ার কারণে নিম্নমধ্যবিত্ত পরিবারগুলো খুব কষ্টে আছে।

খুচরার পর্যায়ের বিক্রেতারাও হতবাক চালের এমন চালবাজিতে। একই বাজারের চাল বিক্রেতা কবির হোসেন বলছেন: এবার দাম বেড়েছে মাত্রা ছাড়া। মিলারদের একটাই কথা ধান পাওয়া যাচ্ছে না। ধান যা পাওয়া যাচ্ছে তার অতিরিক্ত দাম। তাদের উৎপাদন খরচের পর তারা একটা রেট দেয় সে দামে আমরা কিনি। তবে এবার দাম বেড়েছে মাত্রাতিরিক্ত। যে মিনিকেট চাউল ছিলো ৬৮ থেকে ৭০ টাকা সেই মিনিকেট এখন হয়ে গেছে ৮৫ টাকা। নাজিরশাইল ৭৫ থেকে হয়ে গেছে ৮৫ টাকা। আটাশ হয়ে গেছে ৬২ টাকা, গুটি স্বর্ণা ছিলো ৪৮ টাকা এখন হয়ে গেছে ৫২ থেকে ৫৪ টাকা।

এদিকে দেশের সব থেকে বড় চালে মোকাম কুষ্টিয়ার খাজানগরের হাজী এন্টার প্রাইজের স্বত্বাধিকারী রাজু আহম্মেদ চালের এমন দাম বৃদ্ধির জন্য দায়ী করছেন বড় কর্পোরেট কোম্পানি গুলোকে। তিনি বলছেন: হঠাৎ ধানের দাম ২০০ টাকা প্রতি মনে বাড়ছে এ কারণে চালের দাম বৃদ্ধি পেয়ে গেছে। কর্পোরেট কোম্পানিগুলো এসে প্রথম পর্যয়ে চাষীদের কাছ থেকে সব ধান তারা কিনে নেয়। আমরা ছোট খাটো যে মিলার আছি তাদের সঙ্গে পুঁজি খাটিয়ে তো আমরা পারছি না। এখন আমাদের কোন মিলারের কাছে কোন ধান মজুদ পাবেন না। এখন আমরা তাদের কাছ থেকে ধান কিনে এনে চাল বানিয়ে বিক্রি করছি।

যদিও আমদানিকারকরা বলছে: বন্দরে প্রচুর চাল পড়ে থাকলেও তারা বিক্রি করার জন্য ক্রেতা পাচ্ছেন না।

বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সিপিডির গবেষণা পরিচালক ড. খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম বলছেন: আমদানি, মজুত ও বিপণন পরিস্থিতি পর্যায়ে নজরদারি বাড়াতে হবে। আমদানি করা চাল কীভাবে বিক্রি হচ্ছে, সেটিও নজরদারি করতে হবে। চালের উৎপাদন ও চাহিদার নির্ভুল তথ্যভান্ডার করতে হবে। তথ্যের সুরক্ষা ও প্রাপ্যতা নিশ্চিত করতে বাজার ব্যবস্থাপনাকে ডিজিটাল করা দরকার।

তবে প্রতিবছর রোজায় শাকসবিজ, মাছ-মাংসসহ প্রায় সব নিত্যপণ্যের দাম বাড়লেও। এবার এসব পণ্যের দর অনেকটা ক্রেতার নাগালে। কোনো কোনো পণ্যের দাম এতটাই কম, কৃষকের উৎপাদন খরচও উঠছে না। শুধু উল্টো পথে চালের বাজার। আর কিছুটা সরবরাহ সঙ্কট রয়েছে ভোজ্য তেলের বাজারে। খবর: চ্যানেল আই অনলাইন।

 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়